জমিদার বাড়ির ছবি । মহেরা জমিদার বাড়ি কিভাবে যাব?
বর্তমানে টাঙ্গাইলের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দৃষ্টি নন্দন জমিদার বাড়ি মহেরা জমিদার বাড়ী – মিউজিয়াম, প্রসাদ এবং স্থাপত্যের সংরক্ষণ ও উন্নয়নের কারণে এটি আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে – জমিদার বাড়ির ছবি
মহেরা জমিদার বাড়ি কোথায়? –মহেরা জমিদার বাড়ি হচ্ছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে অবস্থিত কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে একটি। আপনি ঢাকা শহর থেকে টাঙ্গাইল যাওয়া পথে পাকুল্যার পর এবং নাটিয়া পাড়ার আগেই পুলিশ লাইন বাস থামালেই মহেরা জমিদার বাড়ি যাওয়ার জন্য মিনি রাস্তা পেয়ে যাবেন। যেখানে অটোরিক্সা, সিএনজি তে জমিদার বাড়ি পৌছাতে পারবেন।
মহেরা জমিদার বাড়ীর নাম কি? ১৮৯০ দশকের পূর্বে স্পেনের করডোভা নগরীর আদলে জমিদার বাড়ীটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকবাহিনী মহেড়া জমিদার বাড়ীতে হামলা করে এবং জমিদার বাড়ীর কূলবধূ সহ পাঁচজন গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে (১৯৭১)। পরবর্তীতে তারা লৌহজং নদীর নৌপথে এ দেশ ত্যাগ করেন। এখানেই তখন মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। এ জমিদার বাড়ীটি পুলিশ ট্রেনিং স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় (১৯৭২)। এবং পুলিশ ট্রেনিং স্কুলকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে উন্নীত করা হয় (১৯৯০)। বিস্তারিত জানুন
মহেরা জমিদার বাড়ি কত বড়? মহেড়া জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে প্রায় আট (৮) একর জায়গা জুড়ে এই মহেড়া জমিদার বাড়ি বিস্তৃত। ঢাকা – টাংগাইল মহাসড়কে নাটিয়াপাড়া বাজার হতে আনুমানিক ৪ কিলোমিটার পূর্বে মহেড়া জমিদার বাড়ি অবস্থিত।
জমিদার বাড়িতে কি কি আছে? এই জমিদার বাড়ির সামনে প্রবেশ পথের আগেই রয়েছে ‘বিশাখা সাগর’ নামে বিশাল এক দীঘি এবং বাড়িতে প্রবেশের জন্য রয়েছে ২টি সুরম্য গেট। এছাড়াও মূল ভবনে পিছনের দিকে পাসরা পুকুর ও রানী পুকুর নামে আরো দুইটি পুকুর রয়েছে এবং শোভাবর্ধনে রয়েছে সুন্দর ফুলের বাগান। বিশাখা সাগর সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বে রয়েছে বিশাল আম্র কানন ও বিশাল তিনটি প্রধান ভবনের সাথে রয়েছে নায়েব সাহেবের ঘর, কাছারি ঘর, গোমস্তাদের ঘর, দীঘিসহ ও আরো তিনটি লজ। সেখানে একটি ফোয়ারা আছে সেটা ১৮৯০ সালে র্নিমান করা হয়েছে।
সুলতানি আমল ও মোগল আমল? বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য। প্রাচীন ও মধ্যযুগে এ দেশে রাজ্য শাসন পরিচালনায় আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর অস্তিত্ব ছিল। সুলতানি আমলে পরগণা বা জেলার সদর দপ্তর যে স্থানে স্থাপিত হত সে স্থানের নাম ছিল শহর কসবা। সুলতানি আমলে প্রাদেশিক আইন-শৃঙ্খলা কর্মকর্তা মোহতাসিব এবং শিক বা সরকার বা মহাল (বিভাগ) এর কর্মকর্তা ফৌজদার ও পরগনা (জেলা) কর্মকর্তা থানাদার নামে পরিচিত হতেন।
মোগল আমলে বিচার বিভাগের অনুষঙ্গ হিসেবে গড়ে উঠে শক্তিশালী এক পুলিশ বাহিনী। এ সময়ে রাজধানী বা বড় শহর পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে কোতোয়ালের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়োজিত ছিলেন। কোতোয়াল, দারোগা, জমাদার, হাবিলদার, নায়েক, সওয়ার ও বরকন্দাজ (কনস্টেবল) পদমর্যাদায় তারা ক্রমবিন্যস্ত ছিলেন। মোগল শাসনামলে প্রত্যেক সরকারের প্রধান শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রধান দায়িত্বে একজন ফৌজদার নিয়োজিত থাকত। মোগল সাম্রাজ্যের পতনের ফলে অরাজকতা গোটা উপমহাদেশকে গ্রাস করে ফেললে প্রশাসন যন্ত্রও ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। প্রাক-ব্রিটিশ আমলে অবিভক্ত বাংলাদেশে দু’রকম পুলিশ ছিল: (১) ফৌজদারি পুলিশ ও (২) জমিনদারি পুলিশ।
Mohera Jomidar Bari (Tangail) / চলুন ঘুরে আসি মহেড়া জমিদার বাড়ি
একা অথবা পরিবারসহ আপনি এই জমিদার বাড়িতে ঘুরে বেড়াতে আসতে পারেন। শিশুদের জন্য শিশু পার্ক ছাড়াও ৬-৮টি রাইড রয়েছে- নাগদদোলা, ট্রেন, নৌকা, ঝুল ও দোলনা খেলা বা রাইডের ব্যবস্থা রয়েছে।
Caption: Mohera jamidar bari । বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জমিদার বাড়ি
মহেরা জমিদার বাড়ির স্থাপত্য । স্থাপত্য ছাড়াও আপনি শিশু ও বড়দের জন্য এমিউজমেন্ট পার্ক রয়েছে
- চৌধুরী লজঃ জমিদার বাড়ি প্রবেশের পরেই মূল ফটক দিয়ে দেখা যায় চৌধুরী লজ। এটির গোলাপি রঙের ভবনটির পিলার গুলো রোমান স্থাপত্য শৈলীতে নির্মাণ করা হয়েছে। সুন্দর নকশাখচিত এই ভবনের ভেতরে রয়েছে ঢেউ খেলানো ছাদ। দোতলা বিশিষ্ট এই ভবনটির সামনে রয়েছে সুন্দর বাগান ও সবুজ মাঠ।
- মহারাজ লজঃ বাইজেনটাইন স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত মহারাজ লজ ভবনের সামনে ছয়টি (৬) টি কলাম রয়েছে। সেখানে গোলাপি রঙের মহারাজ লজের সামনে রয়েছে সিঁড়ির বাঁকানো রেলিং ও ঝুলন্ত বারান্দা যা ভবনের শোভা বৃদ্ধি করেছে। ভবনটিতে মোট কক্ষ আছে বারো (১২) টি, সামনে বাগান ও পেছনে একটি টেনিসসহ কোর্ট রয়েছে। এই ভবনটি বর্তমানে শুটিং স্পট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনিন্দ্য স্থাপত্যশৈলী অনুপম এক নিদর্শন মহারাজ লজ। সুবিশাল জমিদার বাড়ীর সর্বপশ্চিমে অবস্থিত মহারাজ লজ একটি দ্বিতল ভবন। এতে রয়েছে সুপ্রশস্ত মোট ১০টি কক্ষ, যার মধ্যে ৬টি কক্ষ দর্শনার্থীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রয়েছ। পশ্চিমা স্থাপত্যকলার মধ্যে প্রাচীর সৌন্দর্যের অপরূপ মিশলে নির্মিত মহারাজ লজ। মহারাজ লজের সম্মুখ ভাগে রয়েছে প্রশস্ত মুক্তাঙ্গন, যার বড় অংশ জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে পুষ্প কানন। মহারাজ লজের পশ্চাৎভাগে রয়েছে সুগার প্রান্তর। রয়েছে সুপ্রশস্থ টেনিস মাঠ। টেনিস মাঠের পশ্চিম অংশ জুড়ে রয়েছে শিশু পার্ক। বর্তমান টেনিস মাঠটি ছিল জমিদারদের নাট মন্দির। এর উত্তর পাশে ছিল দূর্গা মন্দির। উক্ত নাট্যমন্দিরে কলকাতার যাত্রাপালা বছরে চলতো প্রায় ১০দিন এবং পূজোর সময় বিশাখা সাগরের পাড়ে বসত বিশাল মেলা। মহারাজ লজ ও আনন্দ লজের উত্তরে বিশাল মাঠের পরে পাসরা পুকুরের অবস্থান।
- আনন্দ লজঃ মহেরা জমিদার বাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভবন হলো আনন্দ লজ। নীল ও সাদা রঙের মিশ্রনে ভরা ভবনটির সামনে আট (৮) টি সুদৃশ্য কলাম রয়েছে। তিন তলা বিশিষ্ট ঝুলন্ত বারান্দা এ ভবনকে করেছে আরো দৃষ্টিনন্দন। আনন্দ লজের সামনে হরিণ, বাঘ ও পশু-পাখির ভাস্কর্যসহ একটি চমৎকার বাগান আছে। জমিদার বাড়ীর দ্বিতীয় তরফের আবাসস্থলের নাম আনন্দ দলজ। পশ্চিম ও প্রাচ্যের অনুপম স্থাপত্যশৈলীর সুনিপণ মিশেলে নির্মিত আনন্দ লজ একটি দ্বিতল বাড়ী। এটিতে মোট ১২টি কক্ষ আছে। সুপরিসর কক্ষসমূহ উন্নত জীবন-যাপনের জন্য পরম মমতায় নির্মাণ করা হয়েছিল। আনন্দ ভবনের ঝুল বারান্দার নয়নাভিরাম নির্মাণশৈলী এর অন্যতম অনুষঙ্গ। বর্তমানে ভবনটির নীচ তলা পিটিসি’র প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
- কালীচরণ লজঃ জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির শেষের দিকে নির্মিত এই কালীচরণ লজ অন্য ভবন থেকে অনেকটা আলাদা। ইংরেজি ‘ইউ’ (U) অক্ষরের আদলে এই ভবনটি ইংরেজ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত। অন্যোন্য স্থাপত্য শৈলীর জন্য বিকেল বেলা ভবনের ভেতর থেকে সুন্দর আলোর ঝলকানি দেখা যায়।
মহেরা জমিদার বাড়িতে ঢুকতে টিকিট কত করে?
জনপ্রতি টিকিট ১০০ টাকা। আপনার সাথে থাকা শিশুর বয়স যদি ৫ বছরের নিচে হয় তবে ফ্রি। ৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য প্রবেশ ফি। আপনি মাত্র ২০ টাকায় মোটর সাইকেল পার্কিং করতে পারবেন। এখানে পিকনিক স্পট ভাড়া বা ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়। আপনি সারাদিন কাটানোর জন্য মিউজিয়াম, পুকুর পাড়, স্থাপত্য দেখা এবং চিড়িয়া খানা দেখে সময় পার করতে পারেন। এছাড়া রেস্টুরেন্স ও থাকা খাওয়ার জন্য জায়গা রয়েছে।
Sultanate and Mughal Period- Bangladesh Police has a glorious history. History reveals existence of law enforcers during old and medieval. During the periods of the great sultans, Centre of Zilla or Pargana was named as Shahar kosba. An official holding the position of Muhtasib used to be the chief of police of Province. Shik or principal representative of the Emperor were named as Fouzdar and district (Pargana) officer as Thanadar. In association with Judicial department, Police force was sequacious in Mughal period. Kotwals were responsible for performing police duties. Their subordinates were engaged in Different position of capital or major towns. Kotwal, Inspector, Zamadar, Havilder, Naik, Cavalry force, Barkandaja (Constable) were immensely important posts one fouzdar was assigned as head of judicial departments. Anarchy after dawn of Mughals tattered whole subcontinant along with administrative systems. Two types of police were present during Pre-British period-1.Fauzdari, 2.Zamindari.
লর্ড কর্নওয়লিসি আমলের জনৈক কোতোয়াল অষ্টাদশ শতাব্দী (Kotwal of 18th Century Lord Cornwallis’s period) ব্রিটিশ দারোগা, ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্থ (British Constable, On the beginning of 19th Century)