ঈদ যাত্রার টিকিট শুধুমাত্র অনলাইনেই কাটা যাবে-কাউন্টারে কোন টিকিট পাওয়া যাবে না – ট্রেন টিকিট অনলাইনে ক্রয়ের নিয়ম ২০২৩
কবে থেকে ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু হবে? – বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্মানিত যাত্রী সাধারণের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এ আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রীম টিকিট (২৫-২৮ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত) শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় করা যাবে। এছাড়াও বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেটিং ব্যবস্থা ও অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয়কৃত টিকেট অনলাইনে রিফান্ড এর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ঈদ শেষে কাউন্টার ও অনলাইন দুটি পদ্ধতিতেই টিকিট ক্রয় করা যাবে।
যাত্রীদের প্রতি নির্দেশনা ও শর্তাবলী- আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট প্রত্যাশীগণ দ্রুত জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন যাচাই পূর্বক নিবন্ধন করবেন। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে BR <space> NID নম্বর < space > জন্ম তারিখ (জন্ম তারিখের ফরম্যাট- জন্ম সাল / মাস/দিন) লিখে ২৬৯৬৯ নম্বরে এসএমএস প্রেরণ করতে হবে। ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে নিবন্ধন সফল বা ব্যর্থ হয়েছে কিনা তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
কোন লিংক থেকে টিকোন লিংক হতে টিকিট ক্রয় করা যাবে? https://eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট অথবা “Rail Sheba” app এ সঠিক NID নম্বর ও জন্ম তারিখ verify পূর্বক অন্যান্য তথ্য প্রদান সাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে। বিদেশী নাগরিকগণ পাসপোর্ট নম্বর প্রদান ও পাসপোর্টের ছবি আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। ১২-১৮ বছর বয়সী যাত্রীগণ জন্মনিবন্ধন নম্বর প্রদান ও জন্মনিবন্ধন সনদ আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।
ঈদের টিকিট শুধুমাত্র অনলাইনেই কাটা যাবে /টিকিট যার ভ্রমণ তার তাই কোন ভাবেই অন্যের টিকিট দিয়ে ভ্রমণ করতে যাবেন না
রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের মাধ্যমে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে। রেলের কর্মকর্তারা পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনের মাধ্যমে টিকিট যাচাই করবেন। কেউ অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কেটে ভ্রমণ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যবস্থাকে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ বলছে রেলওয়ে। টিকিট কালোবাজারি বন্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সরকারি উদ্যোগের অংশ এটি।
অফলাইন/এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধন পদ্ধতি কি? মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে BR<space>NID নম্বর <space> জন্ম তারিখ (জন্ম তারিখের ফরম্যাট-জন্মের সাল/মাস/দিন) এসএমএস পাঠাতে হবে ২৬৯৬৯ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধন সফল বা ব্যর্থ হয়েছে কি না, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
অনলাইনে টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৩ । যেভাবে অনলাইনে টিকিট কাটবেন
- বর্তমান Username ও Password দিয়ে https://eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট বা rail sheba app–এ সাইন ইন (Sign In) করতে হবে।
- NID নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখে verify বাটনে ক্লিক করতে হবে। NID নম্বর ও জন্ম তারিখ সঠিকভাবে প্রবেশ করালে যদি এনআইডি নম্বরটি আগে ব্যবহার করা না হয়ে থাকে, তাহলে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হবে।
- নতুন নিবন্ধনকারীর ক্ষেত্রে https://eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট অথবা rail sheba app–এ গিয়ে সাইন আপ (Sign Up) করতে হবে এবং সঠিক NID নম্বর ও জন্ম তারিখ verify পূর্বক অন্যান্য তথ্য প্রদান সাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
- ট্রেন ও সিট সিলেক্ট করে বুকিং দিয়ে পেমেন্ট করলেই মিলবে টিকিট।
এনআইডি’র মিল না থাকলে বিনা টিকিটের জরিমানা গুনতে হবে?
সফলভাবে এনআইডি/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন যাচাই পূর্বক নিবন্ধন ব্যতীত কোনো যাত্রী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট ক্রয় করতে পারবেন না। স্ট্যান্ডিং যাত্রীদের ক্ষেত্রেও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। তবে অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের সময় সহযাত্রীদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিপিবদ্ধ করতে হবে। ভ্রমণকালে সকল যাত্রীকে অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি/সফটকপি অথবা পাসপোর্ট/ছবি সম্বলিত আইডি কার্ড সাথে রাখতে হবে। টিকেটের উপরে মুদ্রিত যাত্রীর নাম ও NID নম্বর যাত্রী কর্তৃক প্রদর্শিত পরিচয়পত্রের সাথে না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকেট ভ্রমণ-এর দায়ে অভিযুক্ত করা হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে টিকেট ইস্যু ২০২৩ । NID মিল না পাওয়া গেলে জরিমানা সহ ভাড়া আদায় করা হবে
2 comments