২০২২-২০২৩ চলতি বাজেটে যদি টিন ছাড়া ২ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনার প্রজ্ঞাপন জারি হয়..সেক্ষেত্রে বিগত অর্থবছরে যারা ১ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেছিলো তারা কি এবার টিন ছাড়া ১ লাখ নাকি ২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে।
টিন সার্টিফিকেট নিতে কত টাকা চার্জ দিতে হয়? না। শুধু যে ব্যাংকে সঞ্চয়পত্রের সুদ যাবে সেই অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট সহ রিটার্ন জমা দিবে। অনেকেই মনে করেন সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের জন্য যে টিআইন সার্টিফিকেট নিতে হয় সেটির জন্য প্রতি বছর চার্জ দেওয়া লাগে। কোন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে ১০০/২০০ টাকা চার্জ দিয়ে TIN সার্টিফিকেট করিয়ে নেয়া যায়। অথবা আপনি নিজেই ঘরে বসে কম্পিউটারে অথবা মোবাইলেই টিন সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন করে এটি পেতে পারেন।
রিটার্ণ দাখিল ছাড়া টিনের জন্য কি প্রতিবছর কোন চার্জ দিতে হয়? TIN certificate এর জন্যে কোন চার্জ দিতে হয় না। বছর বছর আয়কর রিটার্ন দিতে হয় মাত্র। করযোগ্য আয় না থাকলে সেখানে আয়করও ধার্য্য হয় না। আর সঞ্চয়পত্রের উৎস কর মুনাফা দেবার সময়ই কেটে রাখা হয়। তাই এক্ষেত্রে আলাদা কর নেই, কেবল কর্তিত উৎস করের তথ্য পরিশোধিত কর হিসাবে আয়কর রিটার্নে দেখাতে হয়।
.
আয়কর রিটার্নে আয় ব্যয়ের তথ্য এবং সম্পদ / দায়-দেনা বিবরনী সঠিকভাবে দিলেই যথেষ্ট। পাটীগণিত পারে আর বাংলা লেখা পড়ে বোঝে (পরিপত্র পড়ে সে অনুযায়ী রিটার্ন তৈরি করতে) এমন কারো নিজের রিটার্ন নিজে তৈরিতে অসুবিধা হবার কথা নয়। অবশ্য কারো যদি অপ্রদর্শিত আয় থেকে থাকে কিংবা আয়কর কম পরিশোধের ইচ্ছে থাকে সেটা ভিন্ন কথা।
শেষ কথা হচ্ছে টিন সার্টিফিকেট ধারীদের প্রতিবছর অবশ্যই রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। এক্ষেত্রে ভয় বা পেরেশানীর কিছু নাই, সরকার অযোগ্য বিনিয়োগকারী ও অসৎ বিনিয়োগকারীদের সনাক্ত এবং বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র বানিজ্যধারদের প্রতিরোধে এবং রাষ্ট্রীয় আয় বৃদ্ধির জন্য সঞ্চয়পত্রধারদের রিটার্ণ ব্যবস্থা চালু করেছে। চলতি অর্থ বছরে বাজেটে সঞ্চয়পত্র সম্পর্কে আর কোন বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।
সঞ্চয়পত্র কেনার আগে অবশ্যই ভাল করে পড়ে নিন।