নতুন পেনশন আইন ২০২৪ । সরকারি প্রতিষ্ঠানে কি পেনশন সুবিধা থাকছে না?
সরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে গেজেটটি জারি হয় বরং সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী জুলাই হতে যোগদান করবেন তারা আর পেনশনের আওতায় থাকবে না-পেনশন নিয়ে নতুন আইন ২০২৪
পেনশন নিয়ে নতুন আইনে কি আছে? এস.আর.ও. নং-৪৭-আইন/২০২৪ । — সরকার, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৪নং আইন) এর ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (২) এর শর্তাংশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাহারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন, ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নূতন যোগদান করিবেন, তাহাদেরকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
যারা বর্তমানে কর্মরত তারা তো পেনশন পাবে? হ্যাঁ। বর্তমানে যারা স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে আছেন তারা যথারীতি পেনশন পাইবেন। স্বশাসিত সকল প্রতিষ্ঠানে পেনশন চালু নাই তবে সে সকল প্রতিষ্ঠানে চালু আছে সেগুলো সর্বজনীন পেনশনের আওতায় চলে আসবে অর্থাৎ চাকরিজীবী একটি অংশ প্রতিমাসে জমা রাখবেন এবং নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ একটি অংশ জমা রাখবেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে সর্বজনীন পেনশন আইন অনুসারে পেনশন পাবেন।
দেশে কতগুলো স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে? স্বশাসিত মানে সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। সরকারি ব্যাংক সহ স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মিলে প্রায় ৪০০ সংস্থা রয়েছে, যেগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ৪ লাখের বেশি। এ ধরনের সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ সব করপোরেশন, পেট্রোবাংলা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), বিএসটিআই ইত্যাদি।
পেনশন কি সরকার বন্ধ করে দিল? / না এমনটি নয় বরং স্বশাসিত সকল প্রতিষ্ঠানকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হয়েছে।
সর্বজনীন পেনশন হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি অবসরভাতা প্রকল্প, যেখানে দেশের সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক নিয়মিত চাঁদা প্রদানের মাধ্যমে বয়সের পর পেনশন পেতে পারবেন। অংশগ্রহণকারী: ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।Caption: New Pension Scheme 2024
প্রত্যয় পেনশন স্কিম ২০২৪ । স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রত্যয় নামে কি নতুন পেনশন স্কিম আসবে?
- ১. প্রবাস স্কীম: এই স্কীমটি শুধুমাত্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য।
- ২. প্রগতি স্কীম: বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য।
- ৩. সুরক্ষা স্কীম: রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য।
- ৪. সমতা স্কীম: নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য।
- ৫. প্রত্যয় স্কীম: স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য।
স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য কি নতুন স্কিম আসবে?
হ্যাঁ। বর্তমানে চালু আছে প্রগতি, সুরক্ষা, প্রবাস ও সমতা। প্রগতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের জন্য। সমতা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী (যাঁদের আয়সীমা বার্ষিক অনূর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা) স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য। প্রবাস শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। আর সুরক্ষা রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে সরকার, তারই অংশ হিসেবে এ দফায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংস্থাগুলোতে আগামী ১ জুলাইয়ের পর যাঁরা নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন, তাঁদের জন্য ‘প্রত্যয়’ নামের একটি কর্মসূচি চালুর চিন্তা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। জানা গেছে, বর্তমানে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা যে পেনশন সুবিধার আওতাভুক্ত রয়েছেন, তাঁদেরও প্রত্যয় নামের নতুন পেনশন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ রাখা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিদ্যমান পেনশনের সুবিধা সমর্পণ করতে হবে।
https://bdservicerules.info/%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%b6%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a8/সরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে গেজেটটি জারি হয় বরং সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী জুলাই হতে যোগদান করবেন তারা আর পেনশনের আওতায় থাকবে না-পেনশন নিয়ে নতুন আইন ২০২৪
পেনশন নিয়ে নতুন আইনে কি আছে? এস.আর.ও. নং-৪৭-আইন/২০২৪ । — সরকার, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৪নং আইন) এর ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (২) এর শর্তাংশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাহারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন, ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নূতন যোগদান করিবেন, তাহাদেরকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
যারা বর্তমানে কর্মরত তারা তো পেনশন পাবে? হ্যাঁ। বর্তমানে যারা স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে আছেন তারা যথারীতি পেনশন পাইবেন। স্বশাসিত সকল প্রতিষ্ঠানে পেনশন চালু নাই তবে সে সকল প্রতিষ্ঠানে চালু আছে সেগুলো সর্বজনীন পেনশনের আওতায় চলে আসবে অর্থাৎ চাকরিজীবী একটি অংশ প্রতিমাসে জমা রাখবেন এবং নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ একটি অংশ জমা রাখবেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে সর্বজনীন পেনশন আইন অনুসারে পেনশন পাবেন।
দেশে কতগুলো স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে? স্বশাসিত মানে সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। সরকারি ব্যাংক সহ স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মিলে প্রায় ৪০০ সংস্থা রয়েছে, যেগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ৪ লাখের বেশি। এ ধরনের সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ সব করপোরেশন, পেট্রোবাংলা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), বিএসটিআই ইত্যাদি।
পেনশন কি সরকার বন্ধ করে দিল? / না এমনটি নয় বরং স্বশাসিত সকল প্রতিষ্ঠানকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হয়েছে।
সর্বজনীন পেনশন হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি অবসরভাতা প্রকল্প, যেখানে দেশের সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক নিয়মিত চাঁদা প্রদানের মাধ্যমে বয়সের পর পেনশন পেতে পারবেন। অংশগ্রহণকারী: ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।Caption: New Pension Scheme 2024
প্রত্যয় পেনশন স্কিম ২০২৪ । স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রত্যয় নামে কি নতুন পেনশন স্কিম আসবে?
- ১. প্রবাস স্কীম: এই স্কীমটি শুধুমাত্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য।
- ২. প্রগতি স্কীম: বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য।
- ৩. সুরক্ষা স্কীম: রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য।
- ৪. সমতা স্কীম: নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য।
- ৫. প্রত্যয় স্কীম: স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য।
স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য কি নতুন স্কিম আসবে?
হ্যাঁ। বর্তমানে চালু আছে প্রগতি, সুরক্ষা, প্রবাস ও সমতা। প্রগতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের জন্য। সমতা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী (যাঁদের আয়সীমা বার্ষিক অনূর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা) স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য। প্রবাস শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। আর সুরক্ষা রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে সরকার, তারই অংশ হিসেবে এ দফায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংস্থাগুলোতে আগামী ১ জুলাইয়ের পর যাঁরা নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন, তাঁদের জন্য ‘প্রত্যয়’ নামের একটি কর্মসূচি চালুর চিন্তা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। জানা গেছে, বর্তমানে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা যে পেনশন সুবিধার আওতাভুক্ত রয়েছেন, তাঁদেরও প্রত্যয় নামের নতুন পেনশন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ রাখা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিদ্যমান পেনশনের সুবিধা সমর্পণ করতে হবে।
https://bdservicerules.info/%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%b6%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a8/
আসসালামু আলাইকুম স্যার,
তাহলে নতুন যারা ১ জুলাইয়ে পরে সরকারি প্রাইমারী স্কুলের চাকরিতে জয়েন করবে তারাও কি,,, এককালিন পেনশন পাবে না?
সরকারি প্রাইমারী স্কুল পেনশনের আওতাধীন। সুতরাং পাবে।