সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্বখাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে- মোট ৫,৪৫৬ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন-DPE Teacher Recruitment Final Result 2024
কতটি জেলায় নিয়োগ হলো? প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্বখাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩ এর ২য় গ্রুপের (রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগ) গত ২০ মার্চ ২০২৩ তারিখের ৩৮.০১.০০০০.১৪৩.১১.০০৮.২৩-১০৫ নং স্মারকে জারীকৃত বিজ্ঞাপনের আলোকে ২২ জেলায় (রাজশাহী, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা) জেলায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপে কতজন টিকেছে? –গৃহীত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বমোট ৫,৪৫৬ (পাঁচ হাজার চারশত ছাপান্ন) জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচনপূর্বক প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) পাওয়া যাবে ।
কতজন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল? সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপে মোট ২০ হাজার ৬৪৭ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এই পরীক্ষাটি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরীক্ষায় মোট ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। উত্তীর্ণ প্রার্থীরা পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মোট ৫ হাজার ৪৫৬ জন প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফাইনাল রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে। উত্তীর্ণদের মোবাইল নম্বরে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে তাদের রেজাল্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের কাজের দায়িত্ব বেশ ব্যাপক এবং গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের শেখা নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে বিদ্যালয় পরিচালনায় সহায়তা করা পর্যন্ত, তাদের বিভিন্ন কাজ করতে হয়।
Caption: Download Full PDF Link
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের কর্মকান্ড ২০২৪। প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষকের কাজ কি?
- শিক্ষকের অধীনে নির্দিষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা।
- পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
- শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা এবং তাদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা।
- অতিরিক্ত শিক্ষাদান ও সহায়তা প্রদান করা।
- শিক্ষার্থীদের নিয়মিতি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
- শিক্ষকদের সহায়তা করা, যেমন পাঠ্যসামগ্রী প্রস্তুত করা, ক্লাসরুম পরিচালনা করা, এবং পরীক্ষা নেওয়া।
- বিদ্যালয়ের নথিপত্র ও রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা।
- ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির তালিকা তৈরি করা।
- লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা।
- বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা।
- প্রয়োজনে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা।
- অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা এবং তাদের শিক্ষার্থীর অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত রাখা।
- বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা।
- বিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
- স্কুলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সারাদেশে শুন্য পদ কতটি?
গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ১৭ জুন। প্রথম ধাপে তিন লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে চার লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে তিন লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। বর্তমানে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৮ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে।