বজ্রপাতে প্রতি বছর বাংলাদেশে গড়ে বজ্রপাতে কমবেশি ২৬৫ জনের মৃত্যু হয় – Thunderstorm effects on land
বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে কি করবেন? এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রবৃষ্টি বেশি হয়; বজ্রপাতের সময়সীমা সাধারণত ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করুন। ঘন কালো মেঘ দেখা দিলে ঘরের বাহির হবেন না; অতি জরুরি প্রয়োজনে রবারের জুতা পড়ে বাইরে বের হতে পারেন। বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গী, খোলা মাঠ অথবা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
খোলা মাঠে থাকলে কি করবেন? বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙ্গুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকুন। যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংইক্রটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। টিনের চালা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। উঁচু গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার বা ধাতব খুটি, মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দুরে থাকুন।
বজ্রপাতে পানি কি নিরাপদ? না। কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা বা জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।বজ্রপাতের সময় গাড়ীর ভেতর অবস্থান করলে, গাড়ির ধাতব অংশের সাথে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না; সম্ভব হলে গাড়ীটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি ও বারান্দায় থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভিতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।বজ্রপাতের সময় মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং এগুলো বন্ধ রাখুন।
প্রতিটি বিল্ডিং-এ বজ্র নিরোধক দন্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন। খোলা স্হানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দুরে দুরে সরে যান।
কোন বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্হা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।
বজ্রপাতে কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মত করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। বজ্র আহত ব্যক্তির শাস-প্রশ্বাস ও হদ স্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
ব্রজপাতের সময় আপনার করণীয় এবং বর্জনীয় দেখুন
- প্রিল-জুন মাসে বজ্রবৃষ্টি বেশি হয়, বজ্রপাতের সময়সীমা ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময় ঘরে অবস্থান করুন।
- ঘন কালো মেঘ দেখা দিলে ঘরের বাহির হবেন না। অতি জরুরী প্রয়োজনে রাবারের জুতা পড়ে বাহিরে যান। বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, খোলা মাঠ অথবা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
- বজ্রপাতের সময় ধান ক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে এবং কানে “আঙ্গুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকুন।
- যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। টিনের চালা যথা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। উঁচু গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার বা ধাতব খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
- কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা বা জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।
- বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভিতরে অবস্থান করলে গাড়ির ধাতব অংশের সাথে শরীরে সংযোগ ঘটাবেন না, সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোন কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
- বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি ও বারান্দায় থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং
- ঘরের ভিতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
- বজ্রপাতের সময় মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ সকল বৈদ্যুতিক
- সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং এগুলো বন্ধ রাখুন।
- বজ্রপাতের সময় ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। জরুরী প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।
- বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন ।
- বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাবেন না। তবে এ সময় সমুদ্র বা নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।
- বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্রনিরোধক দন্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন। - খোলা স্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে
যান। - কোন বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে অবস্থান করুন।
- বজ্রপাতে কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মত করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। বজ্র আহত ব্যাক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদ
- স্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
বজ্রপাতের সময় মাঝিরা কি করবে?
বজ্রপাতের সময় ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। জরুরি প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে পারবেন। বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন। বজ্রপাতের সময় ছাউনি বিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাবেন না, তবে এ সময় সমুদ্র বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন। বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
বজ্রপাত কি ফসলের ক্ষতি করে? বজ্রঝড়ের ফলে সৃষ্ট উচ্চ বাতাস ঘরবাড়ির ক্ষতি করতে পারে, যানবাহন উল্টে দিতে পারে, গাছ উপড়ে ফেলতে বা ক্ষতি করতে পারে বা ইউটিলিটি খুঁটি উড়িয়ে দিতে পারে যার ফলে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে । শিলাবৃষ্টি প্রতি বছর বিলিয়ন ডলারের ফসল এবং সম্পত্তির ক্ষতি করে এবং বাইরে রেখে যাওয়া মানুষ বা প্রাণীকে আহত করতে পারে।