১০/১০০ টাকার হিসাবধারীদের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা সংক্রান্ত।
সিজিএস ইউনিট ও ব্যাংক এর মধ্যে সম্পাদিত দ্বি-পাক্ষিক অংশগ্রহণ চুক্তির আওতায় প্রত্যেক ব্যাংককে নিজস্ব উৎস হতে বাৎসরিক ভিত্তিতে গ্যারান্টি ফি পরিশােধ করতে হবে। এক্ষেত্রে উহা সংশ্লিষ্ট ঋণবিনিয়োেগ গ্রহীতার নিকট হতে আদায় করা যাবে না। ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা প্রদানের নামে গ্রাহকের উপরে অন্য কোন ফি/চার্জ যে নামেই অভিহিত হউক না কেন তা আরােপ করা যাবে না।
এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রােগ্রামস্ ডিপার্টমেন্ট
সিজিএস ইউনিট বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়, ঢাকা।
এসএমইএসপিডি সার্কুলার নং-০১ তারিখঃ – ২৩ জানুয়ারি, ২০২১
ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংক
প্রিয় মহােদয়,
১০/৫০/১০০ টাকার হিসাবধারী প্রান্তিকভূমিহীন কৃষক, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা প্রসঙ্গে।
শিরােনামমাক্ত বিষয়ে এফআইডি সার্কুলার নং-০১, তারিখ: ০৫/৯/২০২১ এবং এফআইডি সার্কুলার লেটার নং-০১, তারিখ: ০৫/০১/২০২২ এর প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে।
২. কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের ফলে দেশের প্রান্তিক জনগােষ্ঠির আয়-উৎসারী কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া, বর্তমানে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরূপ প্রভাবে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে আর্থিক সেবাভুক্তি কার্যক্রমের আওতায় “১০ টাকার হিসাবধারী প্রান্তিক/ভূমিহীন কৃষক, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পুনরুদ্ধার/অব্যাহত রাখা এবং ঋণের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি ও ঋণের শর্তাবলী সহজীকরণের লক্ষ্যে বিদ্যমান পুনঃঅর্থায়ন স্কিমটি ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করে এফআইডি সার্কুলার নং-০১, তারিখঃ ০৫/০৯/২০২১ এর মাধ্যমে পুনর্গঠন করা হয়েছে।” পুনর্গঠিত স্কিমের আওতায় ১০/৫০/১০০ টাকার হিসাবধারী প্রান্তিক/ভূমিহীন কৃষক, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোন নিরাপত্তা জামানত নেয়া যাবে না। তবে, প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে ঋণ গ্রহীতাসহ অনধিক দু’জনের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি গ্রহণ করা যাবে। এতদ্ব্যতীত, স্কিমটির আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহের ঝুঁকির মাত্রা হ্রাস ও অভীষ্ট গ্রাহকদের ঋণ অধিগম্যতা বৃদ্ধিকল্পে ০৫/০১/২০২২ তারিখের এফআইডি সার্কুলার লেটার নং-০১ এর মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা ও তদুর্ধ্ব পরিমাণ ঋণ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংক নিজস্ব বিবেচনায় বর্ণিত স্কিমের আওতায় প্রদেয়/প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে, ব্যাংক নিজস্ব উৎস হতে গ্যারান্টি ফি পরিশােধ করবে মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
৩. এতদৃপ্রেক্ষিতে, এফআইডি’র উক্ত সার্কুলারে বর্ণিত গ্রাহকদের পুনঃঅর্থায়নের আওতায় ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সিজিএস ইউনিটের বিদ্যমান ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের অনুকরণে “আর্থিক সেবাভুক্তি ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম” নামে একটি নতুন ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালু করা হলাে। উক্ত পুনঃঅর্থায়ন স্কিম এর আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ/বিনিয়ােগের বিপরীতে ক্রেডিট গ্যারান্টি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃক অনুসরণীয় নীতিমালা নিম্নরূপঃ
৩.১. ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা গ্রহণের জন্য ব্যাংকসমূহকে সিজিএস ইউনিটের সাথে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি (Participation Agreement) সম্পাদন করতে হবে। উপরােক্ত এফআইডি সার্কুলার নং-০১/২০২১ এর আওতায় ফাইন্যান্সিয়াল ইনকুশন ডিপার্টমেন্ট এর সাথে চুক্তিবদ্ধ সকল Participating Financial Institutions (PFI) সিজিএস ইউনিটের সাথে অংশগ্রহণ চুক্তি (Participation Agreement) সম্পাদন করার জন্য যােগ্য বলে বিবেচিত হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহের আবেদনের ভিত্তিতে গভর্নর মহােদয়ের অনুমােদন সাপেক্ষে বছরের যে কোন সময়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
৩.২. অত্র সার্কুলারের নির্দেশনা এবং এ সার্কুলারে উল্লেখ নেই এমন ক্রেডিট গ্যারান্টি সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে সিজিএস ইউনিট কর্তৃক ০৩/১১/২০২০ তারিখে জারীকৃত Manual of Credit Guarantee Scheme এবং অন্যান্য নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৩.৩. এ স্কিমের আওতায় ঋণ/বিনিয়ােগের জন্য অত্র ইউনিট কর্তৃক প্রদত্ত মােট গ্যারান্টির সর্বোচ্চ ত্রিশ (৩০) শতাংশ পর্যন্ত পাের্টফোলিও গ্যারান্টি ক্যাপ (কভারেজ) প্রদান করা হবে। উক্ত পাের্টফোলিও গ্যারান্টি ক্যাপের আওতায় কোন একক উদোক্তা বা ঋণ/বিনিয়ােগ গ্রহীতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮০ (আশি) শতাংশ পর্যন্ত গ্যারান্টি কভারেজ প্রদান করা হবে।
৩.৪. উপরােক্ত এফআইডি সার্কুলার নং-০১/২০২১ এ বর্ণিত প্রকৃতির উদ্যোক্তাগণ এফআইডি হতে সংশ্লিষ্ট স্কিমের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রাপ্তির আওতায় ঋণ/বিনিয়ােগের বিপরীতে অত্র স্কিম হতে ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা গ্রহণের যােগ্য মর্মে বিবেচিত হবে। ঋণ/বিনিয়ােগের জন্য নির্ধারিত মেয়াদই হবে এ স্কিম এর আওতায় প্রাথমিকভাবে গ্যারান্টির মেয়াদ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ/বিনিয়ােগ সম্পূর্ণ আদায় হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট ঋণ/বিনিয়ােগের গ্যারান্টির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তবে, কোন ঋণ/ বিনিয়ােগ পুনঃতফসিল/ পুনর্গঠন (Restructure) করা হলে উক্ত পুনঃতফসিল/পুনর্গঠন সময়কাল গ্যারান্টির মেয়াদ হিসেবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে ঋণ/বিনিয়ােগের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং পুনঃতফসিল/পুনর্গঠন এর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে সিজিএস ইউনিট হতে গ্যারান্টির মেয়াদ বৃদ্ধি করে নিতে হবে এবং বর্ধিত সময়ের জন্য গ্যারান্টি ফি প্রদান করতে হবে।
৩.৫. ক্রেডিট গ্যারান্টির আবেদন প্রক্রিয়া ও গ্যারান্টি রেজিস্ট্রেশন ইস্যুর পদ্ধতিঃ ৩.৫.১. এফআইডি সার্কুলার নং-০১/২০২১ এর আওতায় প্রদেয় ঋণ/বিনিয়ােগের বিপরীতে ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা গ্রহণের বিষয়ে পিএফআইসমূহকে ক্যালেন্ডার বছর ভিত্তিক টার্গেট (পরিমান) বছরের শুরুতে ঘােষণা এবং সংশ্লিষ্ট বছরের মধ্যে উহা ব্যবহার করতে হবে। পিএফআই কর্তৃক ঘােষিত টার্গেট যাচাই-বাছাই এবং সিজিএস ফান্ডের পর্যাপ্ততা বিবেচনা করে সিজিএস ইউনিটে উহা লিপিবদ্ধ (Record)করা হবে যা ঘােষিত টার্গেটের চেয়ে কম/বেশী হলে পত্র মারফত পিএফআইকে অবহিত করা হবে।
৩.৫.২. গ্যারান্টি রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে মাসে আবেদন করবে তার অব্যবহিত পূর্ববর্তী মাসে মঞ্জুরীকৃত ঋণ/বিনিয়ােগ এর আবেদনসমূহের তথ্যাদিসহ প্রতি মাসের ১৫(পনের) তারিখের মধ্যে পিএফআই কর্তৃর্ক সিজিএস ইউনিট বরাবরে নির্ধারিত ছকে (পরিশিষ্ট ‘ক) আবেদন করতে হবে।
৩.৫.৩. গ্যারান্টি রেজিস্ট্রেশন আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক তাদের অনুমােদিত ঋণ নীতিমালার আওতায় গ্রাহকের ঋণ/বিনিয়ােগ আবেদনসমূহ যথাযথভাবে যাচাই-বাছাইপূর্বক প্রাথমিকভাবে মঞ্জুর করা হয়েছে মর্মে প্রত্যায়নপত্র দাখিল করতে হবে।
৩.৫.৪. আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর সিজিএস ইউনিট হতে প্রয়ােজনীয় যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করে দ্রুততার সাথে যােগ্য উদ্যোক্তাদের গ্যারান্টি রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে সংশ্লিষ্ট পিএফআই-কে তা অবহিত করা হবে। রেজিস্ট্রেশনের ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে পিএফআই-কে সিজিএস ইউনিটের অনুকূলে গ্যারান্টি ফি পরিশােধ করতে হবে। পরবর্তীতে চলমান গ্যারান্টির ক্ষেত্রে প্রতি বছর তার অব্যবহিত পূর্ববর্তী বছর সমাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে গ্যারান্টি ফি আগাম পরিশােধ করতে হবে। অন্যথায়, সংশ্লিষ্ট পিএফআই কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিচালিত তাদের লতি হিসাব হতে উহা বিকলন করে আদায় করা যাবে।
৩.৫.৫. সিজিএস ইউনিট হতে রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক যথাযথ ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে উদ্যোক্তা/গ্রাহকের অনুকূলে ঋণ/বিনিয়ােগ সুবিধা বিতরণ করবে।
৩.৫.৬. ফাইন্যান্সিয়াল ইনকুশন ডিপার্টমেন্ট এর সাথে যেকোন পিএফআই এর সম্পাদিত অংশগ্রহণ চুক্তি কোন কারণে বাতিল/স্থগিত হলে সেক্ষেত্রে সিজিএস ইউনিট কর্তৃক উক্ত পিএফআই-কে নতুন কোন গ্যারান্টি ইস্যু করা হবে না। তাছাড়া, সিজিএস ইউনিটের সাথে সম্পাদিত চুক্তির কোন শর্ত ভংগ করলে অত্র ইউনিট পিএফআই এর সাথে সম্পাদিত অংশগ্রহণ চুক্তি প্রয়ােজনে কোন কারণ দর্শানাে ছাড়াই বাতিল/স্থগিত করা যাবে।
৩.৬. ক্রেডিট গ্যারান্টির ফিঃ
৩.৬.১. সিজিএস ইউনিট ও ব্যাংক এর মধ্যে সম্পাদিত দ্বি-পাক্ষিক অংশগ্রহণ চুক্তির আওতায় প্রত্যেক ব্যাংককে নিজস্ব উৎস হতে বাৎসরিক ভিত্তিতে গ্যারান্টি ফি পরিশােধ করতে হবে। এক্ষেত্রে উহা সংশ্লিষ্ট ঋণবিনিয়োেগ গ্রহীতার নিকট হতে আদায় করা যাবে না। ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা প্রদানের নামে গ্রাহকের উপরে অন্য কোন ফি/চার্জ যে নামেই অভিহিত হউক না কেন তা আরােপ করা যাবে না।
৩.৬.২. স্কিমে অংশগ্রহণকারী ব্যাংককে চলতি বছরের জন্য এবং পরবর্তী প্রতি বছরের জন্য ঘােষিত মােট টার্গেট সীমার আওতায় গ্যারান্টি রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত ঋণ/বিনিয়ােগের উপর ১% হারে ০১ (এক) বছরের জন্য গ্যারান্টি কি পরিশােধ করতে হবে। গ্যারান্টি চলমান থাকা সাপেক্ষে ০১ (এক) বছর অতিবাহিত হওয়ার পর পরবর্তী সময় হতে অব্যবহিত পূর্ববর্তী দিনের গ্যারান্টিলব্ধ ঋণ/বিনিয়ােগ স্থিতির উপর বার্ষিক ভিত্তিতে গ্যারান্টি ফি পরিশােধ করতে হবে। এক্ষেত্রে যে সকল ব্যাংকের অব্যবহিত পূর্ববর্তী বছরের ৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিক শ্রেণীকৃত ঋণবিনিয়ােগের (NPL)হার ৫ শতাংশ বা এর কম তাদের জন্য বার্ষিক ০.৫০% হারে এবং যে সকল ব্যাংকের শ্রেণীকৃত ঋণ/বিনিয়ােগের হার ৫ শতাংশের বেশী তাদের জন্য বার্ষিক ০.৭৫% হারে গ্যারান্টি ফি প্রদান করতে হবে।
৩.৭. ক্রেডিট গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণ/বিনিয়ােগের সুদমুনাফার হার ও ঋণ/বিনিয়ােগের বিপরীতে গ্যারান্টি প্রদান করা হলেও উক্ত ঋণ/বিনিয়ােগের জন্য গ্রাহক পর্যায়ে নির্ধারিত সুদ/মুনাফা হারের কোন পরিবর্তন হবে না।।
৩.৮. ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধালব্ধ উদ্যোগের জন্য ব্যাংকের দায়-দায়িত্বঃ
৩.৮.১. অর্থায়নকারী ব্যাংক নিজস্ব নিয়মাচার (Due diligence) যথাযথভাবে পরিপালনপূর্বক ঋণ/বিনিয়ােগ মঞ্জুরী/বিতরণ আদায় করবে। ঋণ/বিনিয়ােগ বিতরণের পর স্বীয় উদ্যোগে উহা তদারকী ও পরিবীক্ষণ করবে। ঋণ/বিনিয়ােগের সদ্ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক উদ্যোক্তাগণকে/গ্রাহকগণকে যথাযথ সেবা/সহায়তা প্রদান করবে।
৩.৮.২. ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধলব্ধ গ্রাহকদের সংগে সিজিএস ইউনিটের সরাসরি কোন যােগাযােগ থাকবে না। তবে গ্যারান্টির যথার্থতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে যাচিত তথ্যাদিসহ প্রয়ােজনীয় দলিলাদি বাংলাদেশ ব্যাংককে পিএফআই সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে। তাছাড়া, পিএফআই-কে অবহিত করে সিজিএস ইউনিট যে কোন সময় সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিদর্শন করতে পারবে এবং পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দলকে পিএফআই সকল প্রকার সহযােগিতা প্রদান করবে।
৩.৯, ক্রেডিট গ্যারান্টির দাবি এবং নিস্পত্তি প্রক্রিয়াঃ
৩.৯.১. এ স্কীমের আওতায় গ্যারান্টিলব্ধ কোন ঋণ/বিনিয়ােগ বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী মন্দমানে শ্রেণীকৃত হওয়ার পর বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী পুনঃতফসিল/পুনর্গঠন করা যাবে। পুনঃতফসিল/পুনর্গঠন করার (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে) পরও ঋণ/বিনিয়ােগের অর্থ আদায় না হয়ে পুনরায় মন্দমানে শ্ৰেণীকৃত হলে গ্যারান্টির বিপরীতে প্রাপ্য অর্থ দাবির (Claim) আবেদন করা যাবে। তবে, গ্যারান্টি দাবির আবেদন করার পূর্বে ব্যাংককে ঋণবিনিয়ােগ আদায়ের সকল প্রচেষ্টা গ্রহণসহ প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রযােজ্য ক্ষেত্রে মামলা দায়ের এবং অন্যান্য আইনী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ ব্যাংক কর্তৃক ঋণ/বিনিয়ােগ আদায়ের লক্ষ্যে প্রযােজ্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও যদি ঋণ/বিনিয়ােগ হিসাব মন্দমানে শ্রেণীকৃত হয় কেবল তখনি প্রযােজ্য ক্ষেত্রে আইনী প্রক্রিয়া শুরু (মামলা দায়ের করে গ্যারান্টির বিপরীতে দাবি উত্থাপন করতে পারবে।
৩.৯.২. গ্যারান্টির বিপরীতে প্রদত্ত ঋণ/বিনিয়ােগ মন্দমানে শ্রেণীকৃত হলে সেক্ষেত্রে দাবির পরিমাণ মন্দমানে শ্রেণীকৃত ঋণবিনিয়ােগের আসলের গ্যারান্টিকৃত অংশ (Guaranteed Proportion of Principal Amount) একক উদ্যোক্তা বা ঋণ/বিনিয়ােগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ অথবা পিএফআই-কে প্রদত্ত মােট গ্যারান্টি রেজিস্ট্রেশনের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ এর অদাবিকৃত অংশ (যেটি কম) এর বেশী হতে পারবে না। অনাদায়ী সুদ/মুনাফার জন্য কোনভাবেই গ্যারান্টি দাবি করা যাবে না।
৩.৯.৩. গ্যারান্টির দাবি নিষ্পত্তির পরেও ঋণবিনিয়ােগ আদায়ের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে আইনী পদক্ষেপসহ সকল ধরনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। গ্যারান্টির দাবি নিস্পত্তির পর ঋণ/বিনিয়ােগের বিপরীতে উদ্যোক্তা/গ্রাহক হতে কোন অর্থ আদায় হলে তা গ্যারান্টি কভারেজের আনুপাতিক হারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে ফেরত প্রদান করতে হবে।
৩.৯.৪. কোন ব্যাংক কর্তৃক গ্যারান্টির আওতায় ঝুঁকি নির্ণয়ে সহায়ক এমন কোন তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে গােপন করলে অথবা ভুল কোন তথ্য প্রদান করলে বাংলাদেশ ব্যাংক বিদ্যমান আইন/বিধি/নীতিমালার আওতায় প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৩৯.৫. কোন কারণে গ্যারান্টিলব্ধ ঋণ বিনিয়ােগের পুনঃতফসিলের প্রয়োজন হলে তদসময়ে বিদ্যমান (প্রচলিত) নীতিমালার আওতায় পুনঃতফসিল করা যাবে এবং তা সিজিএস ইউনিটকে অবহিত করতে হবে।।
৩.৯.৬. ঋণ বিনিয়ােগ অনাদায়ে বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণীকরণপূর্বক যথাযথভাবে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। মর্মে নির্দেশনা থাকলেও এ স্কিমের আওতায় গ্যারান্টি রেজিস্ট্রেশনকৃত ঋণ বিনিয়োগ শ্রেণীকৃত হলে সেক্ষেত্রে গ্যারান্টি রেজিস্ট্রেশনকৃত মােট ঋণ বিনিয়ােগের ৩০ (ত্রিশ) শতাংশ পর্যন্ত স্পেসিফিক প্রভিশন সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা গ্যারান্টির মেয়াদকালের জন্য অব্যাহতি প্রাপ্ত হবে।
৪. বিবিধ
৪.১. ঋণ বিতরণ ও আদায় সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সময় সময় জারীকৃত নির্দেশনাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।।
৪.২. এ নীতিমালায় উল্লেখ নেই এরপ যে কোন বিষয়ে অথবা নীতিমালায় বর্ণিত কোন বিষয়ে অধিকর স্পষ্টীকরণের আবশ্যকতা দেখা দিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
৪.৩, এ নীতিমালার যে কোন ধরণের পরিবর্তন বা সংশােধনে ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংক সংরক্ষণ করে।
৪.৪. ঋণ বিনিয়ােগ প্রদানের ক্ষেত্রে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করা না হলে বা কোন শর্ত লংঘন করা হলে বা গ্যারান্টি আবেদনের সময়ে কোন তথ্য গোপন করলে বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে বা গ্যারান্টি ফি পরিশােধ না করলে সংশ্লিষ্ট ঋণ বিনিয়ােগের বিপরীতে প্রদত্ত গ্যারান্টি বাতিল করার ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংক এতদ্বারা সংরক্ষণ করে।
৫. ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলাে।
এ নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আপনাদের বিশন্তু,
(এসএম মােহদীন হােসেন)
মহাব্যবস্থাপিক
ফোনঃ ৯৫৩০২২১
১০/১০০ টাকার হিসাবধারীদের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা সংক্রান্ত: ডাউনলোড