প্রবাসী ভোটিং প্রক্রিয়া ২০২৫ । বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে পোস্টাল ভোটিংয়ের সুযোগ?
পোস্টাল ভোটিং প্রক্রিয়ায় নিবন্ধনের জন্য ‘POSTAL VOTE BD’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হচ্ছে । এই অ্যাপটি বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার একটি দ্রুত ও সহজ প্রক্রিয়া প্রদান করে । অ্যাপটির মাধ্যমে নিবন্ধনের প্রক্রিয়াটি বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে সম্পন্ন করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে:
নিবন্ধন এবং লগইন প্রক্রিয়া
অ্যাকাউন্ট তৈরি: ব্যবহারকারীকে প্রথমে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয় ।
দেশ নির্বাচন: নিবন্ধনের সময় ব্যবহারকারীকে তার অবস্থানরত দেশ নির্বাচন করতে হয়, যেমন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য ।
ওটিপি যাচাইকরণ (OTP Verification): একটি নির্দিষ্ট নম্বরে (যেমন, (+44) 000 0000) ওটিপি (OTP) পাঠানো হয়, যা ব্যবহারকারীকে যাচাইকরণের জন্য লিখতে হয় । যদি ওটিপি না পাওয়া যায়, তবে তা পুনরায় পাঠানোরও সুযোগ রয়েছে ।
লগইন: বিদ্যমান ব্যবহারকারীরা দেশের কোড এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে পারেন । নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য রেজিস্ট্রেশন করার নির্দেশনা দেওয়া হয় ।
ব্যক্তিগত তথ্য ও নথিপত্র প্রদান
ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহারকারীকে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য এবং নথিপত্র আপলোড করতে হয়:
জাতীয় পরিচয়পত্র: নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি তুলতে হয়, যেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিচয়পত্রের উদাহরণ দেখানো হয়েছে ।
সজীবতা পরীক্ষা (Liveliness Check) ও সেলফি: অ্যাপটি ‘সজীবতা পরীক্ষা’ পরিচালনা করে । এর অংশ হিসেবে বাম পাশের ছবি এবং ডান পাশের ছবি এবং একটি সেলফি তুলতে হয় ।
পাসপোর্টের তথ্য: ব্যবহারকারীকে তাদের পাসপোর্টের তথ্য যেমন বংশগত নাম/Surename, প্রদত্ত নাম/Given Name, এবং পাসপোর্ট নম্বর প্রদান করতে হয় ।
ব্যালট প্রাপ্তির ঠিকানা
পোস্টাল ব্যালট পেপার পাঠানোর জন্য ব্যবহারকারীকে ব্যালট প্রাপ্তির ঠিকানা সরবরাহ করতে হয় । এর মধ্যে বাসা নম্বর, ফ্ল্যাট/অ্যাপার্টমেন্ট নম্বর, এবং ব্লক অন্তর্ভুক্ত ।
আবেদন অনুমোদন
সমস্ত প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হলে, ব্যবহারকারীকে জানানো হয় যে তাদের পোস্টাল ব্যালট পেপারের আবেদন অনুমোদন হয়েছে । এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে, বিদেশে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকেরা সহজেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য পোস্টাল ভোটিংয়ে নাম লেখাতে পারছেন।

ব্যালট পেপার কি বিদেশী ঠিকানায় যাবে?
হ্যাঁ, ব্যালট পেপারটি বিদেশী ঠিকানায় পাঠানো হবে। পোস্টাল ভোটিংয়ের জন্য নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় স্পষ্টভাবে “ব্যালট প্রাপ্তির ঠিকানা” চাওয়া হয়েছে এবং পাশে উল্লেখ করা হয়েছে যে “(এই ঠিকানায় ব্যালট পাঠানো হবে)” । যেহেতু এই অ্যাপটি বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য তৈরি, এবং নিবন্ধনের শুরুতে দেশ নির্বাচন করুন অপশনে মার্কিন যুক্তরাজ্য-এর মতো দেশের নাম উল্লেখ করা আছে, তাই “ব্যালট প্রাপ্তির ঠিকানা” বলতে আপনার বিদেশে অবস্থানরত বর্তমান ঠিকানাটিকেই বোঝানো হয়েছে।

