মেঘনা ব্যাংকের বিভিন্ন ডিপোজিট স্কিম ২০২৫ । ১১.৪৫% হারে কোটিপতি স্কিম করার সুযোগ রয়েছে? - Technical Alamin
ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ

মেঘনা ব্যাংকের বিভিন্ন ডিপোজিট স্কিম ২০২৫ । ১১.৪৫% হারে কোটিপতি স্কিম করার সুযোগ রয়েছে?

সূচীপত্র

মেঘনা ব্যাংক বর্তমানে ১১.৪৫% সুদের হারে কোটিপতি স্কিম সহ বিভিন্ন ডিপোজিট স্কিম দিচ্ছে কিনা, তা জানতে হলে, মেঘনা ব্যাংকের ওয়েবসাইটে অথবা তাদের নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে। সাধারণত, বিভিন্ন ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্কিম চালু করে থাকে এবং সুদের হারও পরিবর্তন হতে পারে। তাই, সরাসরি ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করাই উত্তম– মেঘনা ব্যাংকের বিভিন্ন ডিপোজিট স্কিম ২০২৫

কোটিপতি স্কিম কি? কিছু ব্যাংক “কোটিপতি স্কিম” নামে বিশেষ ডিপোজিট স্কিম অফার করে, যেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রেখে মেয়াদ শেষে একটি কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ অর্থ (যেমন ১ কোটি টাকা) পাওয়ার সুযোগ থাকে। ওয়ান ব্যাংক (ওবিপিএলসি) এর “ওবিপিএলসি কোটিপতি ডিপোজিট স্কিম” (ওকেডিএস) একটি উদাহরণ। ওয়ান ব্যাংক এর ওয়েবসাইটে এই স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।

মেঘনা ডিপোজিট স্কিম কি কি? ব্যাংকগুলো সাধারণত ফিক্সড ডিপোজিট (এফডি), ডাবল বেনিফিট স্কিম, মাসিক ইনকাম স্কিম, ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস) ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ডিপোজিট স্কিম অফার করে থাকে। বিভিন্ন স্কিমের সুদের হার ভিন্ন হয় এবং এটি বাজারের অবস্থার উপর নির্ভর করে। যেকোনো স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বর্তমান সুদের হার জানতে, মেঘনা ব্যাংকের ওয়েবসাইটে অথবা তাদের নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করা উচিত। আপনার প্রশ্নের উত্তর পেতে, মেঘনা ব্যাংকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে নিশ্চিত হোন যে তারা বর্তমানে ১১.৪৫% সুদের হারে কোটিপতি স্কিম দিচ্ছে কিনা এবং অন্যান্য ডিপোজিট স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।

কোনটি ভালো ব্যাংক? ভালো ব্যাংক কোনটি, তা নির্ভর করে আপনার প্রয়োজন এবং পছন্দের উপর। কিছু ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য উচ্চ সুদ প্রদান করে, আবার কিছু ব্যাংক আধুনিক প্রযুক্তি এবং গ্রাহক সেবার জন্য পরিচিত। আপনার জন্য সেরা ব্যাংকটি বেছে নিতে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে।বিভিন্ন ব্যাংকে সুদের হার ভিন্ন হয়ে থাকে। কিছু ব্যাংক বেশি সুদ দেয়, আবার কিছু ব্যাংক কম সুদ দেয়। আপনার আমানতের উপর সর্বোচ্চ সুদ পেতে চাইলে, বিভিন্ন ব্যাংকের সুদের হার তুলনা করে দেখতে পারেন। ভালো ব্যাংক সবসময় গ্রাহকদের উন্নত মানের পরিষেবা দিয়ে থাকে। গ্রাহক পরিষেবা উন্নত হলে আপনার যেকোনো প্রয়োজনে ব্যাংক দ্রুত সাড়া দেবে। ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়া জরুরি। যে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ভালো, সেই ব্যাংকে টাকা রাখলে আপনার টাকা নিরাপদ থাকবে। আপনি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিবেদন ও ক্রেডিট রেটিং দেখে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। বর্তমানে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের চাহিদা বাড়ছে। যে ব্যাংক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, সেই ব্যাংকে লেনদেন করা সহজ হয়।
শাখা ও এটিএম নেটওয়ার্ক যত বেশি, ব্যাংকিং তত সহজ। আপনার কাছাকাছি এলাকায় ব্যাংকের শাখা ও এটিএম থাকলে লেনদেন করা সুবিধা হবে।

১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে মাসে কত টাকা পাওয়া যায় / লাখ টাকা ডিপোজিটে মাসিক ৯০০ টাকা পাওয়া যাবে?

ব্যাংকে টাকা রাখলে নাকি টাকা কমে যায়? না, ব্যাংকে টাকা রাখলে সাধারণত টাকা কমে না। বরং, ব্যাংক আপনার জমা রাখা টাকার উপর সুদ দেয়, যা আপনার মূল টাকা থেকে কিছুটা বেশি হয়। তবে, মূল্যস্ফীতির কারণে টাকার ক্রয়ক্ষমতা কমতে পারে, যার ফলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে টাকা কমে যাচ্ছে।

Caption: Megna Bank Interest Rate bd

মেঘনা ব্যাংক ডিপোজিট স্কিম ২০২৫ । বিভিন্ন ডিপোজিটের উপর রয়েছে অনেক সুবিধা কি?

  1. Saving Account এ রয়েছে মুনাফাসহ ১ কোটি টাকার ইন্সুইরেন্স সুবিধা।
  2. Business Account এ রয়েছে আকষর্ণীয় মুনাফাসহ DPS সুবিধা।
  3. Monthly income Scheme(MIS) প্রতি মাসে ১২% হারে লভ্যাংশ প্রদান করছে অর্থাৎ প্রতি লাখে ১০০০ টাকা।
  4. Double Benefit Scheme(DBS) এখন মাত্র ৫ বছরেই দ্বিগুণ হচ্ছে। অর্থাৎ ১ লাখ টাকা জমা রাখলে পাঁচ বছর পরে ২ লাখ পাবেন।
  5. সকল ধরনের DPS (মেয়াদ ২ বছর থেকে ১০ বছর)এর উপর ১২% হারে মুনাফা প্রদান করা হয়।
  6. FDR এর মেয়াদ ১ মাস, ৩ মাস, ৬ মাস, ৯ মাস ও ১২ মাস এবং মুনাফার হার ১১% থেকে ১২.৫০% প্রদান করা হয়।
  7. Fixed Deposit করে 90% লোন বা ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সুযোগ। CIB খারাপ হলেও এই সুবিধা পাবেন।
  8. মিলেনিয়াম আয়ের সুবিধা। ৩ বছরে মিলেনিয়াম এবং ৫ বছরে কোটিপতি।
  9. INTERNATIONAL debit card প্রদান করা হয় এবং ১২০০০ যে কোন ব্যাংকের বুথ থেকে চার্জবিহীন টাকা উত্তোলন করার সুবিধা।
  10. Meghna Bank Loan সমূহ: >পার্সোনাল লোন(জব/ভাড়া > হোম লোন, > কার লোন > এসএমই লোন > মহিলাদের জন্য 4% হারে নারী উদ্যোক্তা লোন। বিঃদ্রঃ 16735 নম্বরে ২৪ ঘন্টা ফ্রী কল সুবিধা।

লাখ টাকায় ব্যাংক নাকি সঞ্চয়পত্র কোনটা ভালো লাভ দেয়?

লাখ টাকার হিসেবে ব্যাংক এবং সঞ্চয়পত্র উভয় ক্ষেত্রে লাভ পাওয়া গেলেও, সাধারণত সঞ্চয়পত্রে লাভের হার বেশি থাকে। তবে, দুটি ক্ষেত্রেই কিছু বিষয় বিবেচনা করা দরকার। ব্যাংকগুলোতে সাধারণত ফিক্সড ডিপোজিট (FDR) এবং সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা যায়, যেখানে সুদের হার তুলনামূলকভাবে কম থাকে। অন্যদিকে, সঞ্চয়পত্রে বিভিন্ন স্কিম রয়েছে, যেমন: পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, এবং তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, যেখানে সুদের হার বেশি হয়ে থাকে। যদি আপনি নিশ্চিত রিটার্ন এবং কম ঝুঁকি পছন্দ করেন, তাহলে ব্যাংক হতে পারে একটি ভালো পছন্দ। অন্যদিকে, যদি আপনি উচ্চতর লাভের জন্য কিছুটা ঝুঁকি নিতে রাজি থাকেন, তাহলে সঞ্চয়পত্র আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। তবে, সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন রয়েছে যা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যেমন: ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে হলে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হতে পারে। এছাড়াও, ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা গ্রহণ করা সুদ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যা অনেক মুসলিমের জন্য গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। তাই, আপনার ব্যক্তিগত পরিস্থিতি এবং পছন্দ অনুযায়ী, ব্যাংক এবং সঞ্চয়পত্রের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *