সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয় প্রতিবছরই। সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত কর্মকর্তা কর্মচারীর অনধিক দু’সন্তানকে নবম শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধ্যয়নের জন্য শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। শিক্ষাবৃত্তির আবেদন ফরম ২০২২ না অফলাইন বা ম্যানুয়াল আবেদনের মাধ্যমে এখন আর শিক্ষা বৃত্তির আবেদন গ্রহণ করা হয় না। কল্যাণ তহবিলের শিক্ষা বৃত্তি পেতে হলে অনলাইনেই আবেদন করতে হবে এবং কোন হার্ড কপি প্রেরণ করতে হয় না।
২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য (1) সরকারের অসামরিক খাতের ১৩ হতে ২০ গ্রেডে কর্মরত কর্মচারীর (ডাক, তার ও দূরালাপনী, বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে নিযুক্ত কর্মচারীগণ ব্যতীত) ও বাের্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় কর্মরত (১৩ হতে ২০ গ্রেড) কর্মচারীর সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি’ (২) সরকারি ও বাের্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত কর্মচারীর সন্তানদের ‘শিক্ষাবৃত্তির জন্য অনলাইনে দরখাস্ত আহবান করা যাচ্ছে। আবেদনকারীকে দরখাস্ত দাখিলের শর্ত ও নিয়মাবলী অনুসরণ করে URL: eservice.bkkb.gov.bd এর মাধ্যমে যথাযথভাবে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। দরখাস্ত/আবেদন করার শর্ত ও নিয়মাবলী বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ডের ওয়েবসাইটে (www.bkkb.gov.bd) পাওয়া যাবে।
কল্যাণ তহবিল শিক্ষা বৃত্তির আবেদন করার সময় সীমা ২০২৩
সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত কর্মকর্তা কর্মচারীর আবেদন জমা নেয়া হয় সাধারণত জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারি মাসে তবে এ বছর কোভিড সিচুয়েশন ও সার্ভার জনিত সমস্যার কারণে দেরিতে আবেদন শুরু হলো। চলতি বছর এখন আবেদন অনলাইনে করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিক্ষা বৃত্তির আবেদনের ওয়েবসাইট: http://eservice.bkkb.gov.bd তে এখন আবেদন করতে পারবেন। সরকারের অসামরিক খাতের ১৩ হতে ২০ গ্রেডে কর্মরত সরকারি কর্মচারী এবং বাের্ডের তালিকাভুক্ত
স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় কর্মরত (১৩ হতে ২০ গ্রেড) কর্মচারীর সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি (২) সরকারি ও বোর্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত কর্মচারীর সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি’র দরখাস্ত আহবান করা হয়েছে। শর্তাবলী দেখুন এখানে।
আবেদনের শেষ তারিখ?
১৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ সকাল ৯.০০টা থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বিকাল ৫.০০ টার মধ্যে দাখিলকৃত আবেদনসমূহ বিবেচনার জন্য গৃহীত হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে কোন ভাবে অনলাইন আবেদন করা যাবে না। তাই আজই আবেদন করুন। বন্ধের সময়ের মধ্যে আবেদন করে রাখলে আপনি অফিস খোলার সাথে সাথেই পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন।
বাছাই ও অনুমোদন প্রক্রিয়া ২০২৩
সাধারণত জানুয়ারি হতে ফেব্রুয়ারি মাসে আবেদন গ্রহণ করা যায় এবং ১ মার্চ – ২০ জুন মাসের মধ্যে যাচাই বাছাই শেষ করা হয়। বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, প্রধান কার্যালয়, ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় কার্যালয় রয়েছে।বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, ঢাকার ২টি কমিটি কর্তৃক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়। কমিটি ২টি প্রথমে বাছাই কমিটির সভার সুপারিশ কার্য সম্পন্ন করে এবং পরবর্তী বা শেষ ধাপে উপকমিটির সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
সেবা প্রদানের সংক্ষিপ্ত প্রক্রিয়া আদি হতে অন্ত ২০২৩
সকল গ্রেডের অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত কর্মচারীর ৯ম শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধ্যায়নরত সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির জন্য বোর্ডের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে অনলাইনে দরখাস্ত আহবান করা হয়। অনলাইনে প্রাপ্ত শিক্ষাবৃত্তির আবেদনসমূহ প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করা হয়। প্রধান কার্যালয় ও বিভাগীয় কার্যালয়ে অনলাইন সফটওয়্যার হতে প্রাপ্ত আবেদনসমূহের শ্রেণিভিত্তিক তালিকা বোর্ডের বাছাই কমিটির সভায় পেশ করা হয়। উপ কমিটির সভায় যোগ্য ছাত্র/ছাত্রীর অনুকূলে নির্ধারিত হার অনুযায়ী শিক্ষাবৃত্তির চূড়ান্ত অর্থ মঞ্জুরি প্রদান করা হয়। শিক্ষাবৃত্তির জন্য মঞ্জুরিকৃত অর্থ EFT এর মাধ্যমে আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করে আবেদনকারীর মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে মঞ্জুরিকৃত অর্থের পরিমাণ জানিয়ে দেয়া হয়। আবেদন কারী অর্থ ব্যাংক হিসাবে পেলে নিচের ফর্মের মাধ্যমে রেভিনিউ স্ট্যাম্প যুক্ত করে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র প্রেরণ করেন। এ সংক্রান্ত সকল তথ্য বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.bkkb.gov.bd) থেকে জানা যায়।
Acknowledgement of Form No_10
ক্যাপশন: ব্যাংক হিসাবে অর্থ পাওয়ার পর উপরের প্রাপ্তি স্বীকার বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডে প্রেরণ করতে হয়। যদি এ কাজটি খুব কম সংখ্যক কর্মচারীই করে থাকে।
শিক্ষাবৃত্তির হার ২০২৩
- ৯ম ও ১০ম শ্রেণি বা সমমানের জন্য প্রতি মাসে ২০০/- টাকা। সে হিসেবে বার্ষিক ২৪০০ টাকা।
- একাদশ ও দ্বাদশ বা সমমানের শ্রেণির জন্য প্রতি মাসে ৩০০/- টাকা। সে হিসেবে বার্ষিক ৩৬০০ টাকা।
- স্মাতক বা সমমানের জন্য প্রতি মাসে ৪০০/- টাকা। সে হিসেবে বার্ষিক ৪৮০০ টাকা।
- স্মাতকোত্তর বা সমমানের জন্য প্রতি মাসে ৫০০/- টাকা। সে হিসেবে বার্ষিক ৬০০০ টাকা।
কল্যাণ তহবিল শিক্ষা বৃত্তি প্রাপ্তির শর্তাবলি ২০২৩
- সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত কর্মচারীর অনধিক দু’সন্তানকে নবম শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধ্যয়নের জন্য শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়;
- বছরে একবার শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়;
- কর্মকর্তা কর্মচারীগণের যে সকল সন্তান পূর্ববর্তী পরীক্ষায় ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট বি পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা শিক্ষাবৃত্তি লাভের যোগ্য হবে;
- কর্মকর্তা কর্মচারীর বয়স ৬৯ বছর পর্যন্ত এ সাহায্য প্রদান করা হয়;
- স্বামী/স্ত্রী উভয়ই সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত হলে, কেবল একজনই সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন;
- অনলাইনে পুরনকৃত শিক্ষাবৃত্তির আবেদন ফরমের মুদ্রিত কপির নির্ধারিত স্থানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর ও সীল, কর্মচারীর স্বাক্ষর, কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ও সীল এবং স্মারক নং ও তারিখ দিয়ে ফরমের স্ক্যান কপি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করে চূড়ান্তভাবে দাখিল করতে হয়।
কল্যাণ তহবিল শিক্ষা বৃত্তির আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ২০২২
- ছাত্র-ছাত্রী বিগত বছরে যে পরীক্ষায় পাস করেছে তার মূল মার্কশীটের সত্যায়িত কপি স্ক্যান করে আপলোড করতে হয়;
- কর্মচারী অবসরপ্রাপ্ত হলে অবসরে যাওয়ার আদেশ বা মৃত হলে মৃত্যুর সনদের সত্যায়িত কপি স্ক্যান করে আপলোড করতে হয়;
- আবেদনকারীর ছবি স্ক্যান করে আপলোড করতে হয়।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০০৪ এবং বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (তহবিলসমূহ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী কল্যাণ তহবিল শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়। মনে রাখবেন এ জন্য কোন ফি গুণতে হয় না।