জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার ফি – ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌর সভা ম্যানুয়ালি ফি আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়। তাই অনলাইনে পরিশোধ না করে আপনি ফি আদায় সিলেক্ট করে আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় ফি পরিশোধ করুন। আবেদন অনলাইন বা অফলাইন বা ম্যানুয়াল যাই করুন না কেন ফি পরিশোধ করতেই হবে। ফি সহ আবেদনপত্র জমা দেয়ার ৫-৭ দিনের মধ্যে আবেদন মঞ্জুর হয়ে সনদ পাওয়া যায়।

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ চালানের মাধ্যমে জমা সংক্রান্ত তথ্য BDRIS-এ প্রবেশ করাতে গেলে অনেক সময় ফাইল আপলোড করা যায় না বা নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।  জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ২১ (৬) অনুযায়ী প্রতি মাসে আদায়কৃত অর্থ পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে সরকারি তহবিলে জমা প্রদান বাধ্যতামূলক। 

চালানেও জমা দিতে পারেন কিন্তু এতে কিছু জটিলতা রয়েছে। BDRIS-এ চালান সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করতে না পারার দুইটি কারণ থাকতে পারে: ক) চালানের তথ্যের সঙ্গে সংযুক্ত ফাইলের পরিমাণ ১০২৪ কিলোবাইট এর বেশি হওয়া। (প্রতিটি ফাইলের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০২৪ কিলোবাইট বা এর নিচে হতে হবে। ) খ) চালানের টাকার পরিমাণ ব্যালান্স-এর পরিমাণের চেয়ে বেশি হওয়া। ( চালানের টাকার পরিমাণ সর্বদা ব্যলান্স-এর সমান অথবা এর কম হতে হবে।) এখানে উল্লেখ্য যে, বদলি বা অন্য কোন কারণে ‘অথরাইজড ইউজার’কে রিলিজ করতে হলে বিধি ২১ (১) অনুযায়ী আদায়কৃত সমুদয় টাকা চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে ব্যালান্স শুন্য করে তারপর জেলা/উপজেলা অ্যাডমিনের মাধ্যমে তাকে রিলিজ করা যাবে।

জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করলে কোন প্রকার ফি প্রদান করতে হয় না  / বিনা ফি’তে কি জন্ম নিবন্ধন করা যায়?

মৃত্যু নিবন্ধন করতে গেলে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। পূর্বে না করে থাকলেও মৃত্যু নিবন্ধন করতে গেলে আগে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। ২০১৭ সালের পরে আর আপডেট কোন ফি হার পুন: নির্ধারণ করা হয়নি।

 জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার ফি

Caption: Birth Registration Fee which has been declared at 2017

জন্ম নিবন্ধন পসিবল ডুপ্লিকেট’ দেখানোর কারণ কি?

  1. জন্ম নিবন্ধনের আবেদন পত্র দাখিল করার পর কোনো আবেদনাধীন বাক্তির নাম, পিতার নাম এবং মাতার নাম জন্ম নিবন্ধন ডেটাবেসে সংরক্ষিত কোন নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির সঙ্গে হুবহু মিলে গেলে সফটওয়্যার সয়ংক্রিয়ভাবে “সম্ভাব্য সদৃশ” বা ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ স্ট্যাটাস দেখায়। নিম্নে বর্ণিত ৫টি নির্ণায়ক বা ‘প্যারামিটার’ মিলে গেলে ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ ১০০% ‘ডুপ্লিকেট’ হিসাবে প্রতীয়মান হয়ঃ 
  2. ক. আবেদনাধীন বাক্তির নাম; 
  3. খ. পিতার নাম; 
  4. গ. মাতার নাম; 
  5. ঘ. নিবন্ধন কার্যালয়ের নাম; এবং 
  6. ঙ. জন্ম তারিখ। 
  7. উল্লেখ্য যে ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ হিসাবে চিহ্নিত ব্যক্তিগণের জন্ম তারিখের ব্যবধান ৮ থেকে ১০ বছর বা তার বেশি হলে বা স্থায়ী ঠিকানা না মিললে সেই ক্ষেত্রে ‘ডুপ্লিকেট’ হবার সম্ভাবনা সাধারণত ০% হয়ে যায়। ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’টি একই জেলায় হলে অথরাইজড ইউজার বা ক্ষেত্র বিশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) প্রয়োজনীয় অনু্সন্ধান বা তদন্ত কিংবা সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন। 
  8. ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’টি একই জেলায় না হলে প্রথমে প্রশাসনিকভাবে ভিন্ন জেলার সাথে যোগাযোগ করে অনু্সন্ধান বা তদন্ত করতে হবে। এতে ডুপ্লিকেট হওয়ার অনুকুলে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলে আবেদনকারীকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছে থেকে অন্যত্র তার জন্ম নিবন্ধন করা হয়নি মর্মে লিখিত নিয়ে আবেদনটি মঞ্জুর করা যেতে পারে। 
  9. এ ক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, আবেদনপত্রটি বাতিল বা মঞ্জুর যা-ই করা হোক না কেন, এর লগ (log) স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকবে।

পিতা-মাতার যে কোন একজন বিদেশী হলে কীভাবে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা হবে ?

জন্ম নিবন্ধন আইন ২০১৮–মাতা অথবা পিতার যে কোন একজন বিদেশী হলে যিনি বাংলাদেশী তার স্থায়ী ঠিকানার প্রয়োজনীয় দলিলাদি নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তখন নিবন্ধক প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে নিবন্ধন করে দিবেন।

https://technicalalamin.com/%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%ae-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87/