নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৪ । অনলাইনেই কি ভোটার হওয়ার আবেদন করা যায়?

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৪ । অনলাইনেই কি ভোটার হওয়ার আবেদন করা যায়?

তথ্য শুদ্ধতার জন্য অনলাইনে প্রথম ভোটার হওয়ার আবেদনটা সেড়ে নিতে পারেন – অন্যের ডাটা এন্ট্রি ভুল হতে পারে কিন্তু নিজেরটা তো আর নিজে ভুল করবেন না নিশ্চয়ই-নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন – আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে আপনি নতুন নিবন্ধন করতে পারেন। আপনি কিন্তু দেশের বাইরে থেকেও নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি সম্প্রতি দেশে আসার চিন্তা করছেন তবে আপনি বিদেশে বসেই ভোটার হওয়ার আবেদন সম্পন্ন করুন। দেশে এসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্থানীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে চলে যান। যদি আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিদেশ চলে যান তবুও কিন্তু আপনি অনলাইনেই জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

আপনার যদি জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তাহলে আপনি কয়েকটি সাধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নতুন ভোটার হতে পারবেন। নতুন ভোটার হওয়ার পর ভোটার স্লিপ বা এনআইডি নম্বর পেলে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবেন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি ডাউনলোড করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, স্বাক্ষর বা ছবি পরিবর্তন বা তথ্য সংশোধন আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে সংশোধনের আবেদন ও মঞ্জুর করে নিতে পারবেন। আবেদন মঞ্জুর শেষে অনলাইন হতেই এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও চাইলে স্মার্ট কার্ডের জন্য রি-ইস্যু করে হারানো এনআইডি তুলতে পারবেন অনলাইন আবেদনের মাধ্যমেই। যদিও এনআইডি ডাক বিভাগের মাধ্যমে ঘরে পৌছে যাবে।

অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করে PDF ফাইল প্রিন্ট করে সংযুক্তি হিসেবে জন্ম নিবন্ধন সনদ, এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), ঠিকানা প্রমাণের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি, নাগরিক সনদ, বাবা-মা এবং বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, টিআইএন (TIN) নম্বর (যদি থাকে) নিয়ে যে এলাকা সিলেক্ট ভোটার নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করেছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস চলে যান।

নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন প্রক্রিয়াটি কি? / নতুন নিবন্ধন প্রক্রিয়ার নির্দেশনাবলী

নিচের ধাপগুলো মনোযোগ সহকারে পড়লেই আপনি নিজে নিজেই নতুন ভোটার হওয়া আবেদন করতে পারবেন।

নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন ২০২২

ক্যাপশন: “আমি রাজি ও নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে চাই” এতে ক্লিক করলে বা services.nidw.gov.bd/nid-pub/register-account এই লিংকে প্রবেশ করেও আপনি ফরম পূরণ কাজ শুরু করতে পারেন।

নতুন ভোটার হওয়ার অনলাইন নিবন্ধন পদ্ধতি বা ধাপ গুলো দেখে নিন।

  1. প্রথমে services.nidw.gov.bd/nid-pub/register-account এই লিংকে ভিজিট করুন।
  2. অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন ফরম পুরো নাম, জন্ম তারিখ, ক্যাপচা এন্ট্রি করে বহাল এ ক্লিক করুন।
  3. মোবাইল নম্বর চাইবে দিয়ে বার্তা পাঠান এ ক্লিক করুন।
  4. যাচাইকরণ কোডটি দিন (মোবাইলে এসএমএস তে পাওয়া কোডটি দিন) এবং বহাল ক্লিক করুন।
  5. ইউনিক ইউজারনেম দিন এবং দুইবার পাসওয়ার্ড দিন। (মনে রাখবেন, ইউজারনেই Jamalhoss200112 এমন হতে হবে এবং পাসওয়ার্ড Hossain#1250 এমন হতে হবে- ইউজারনেম এ ক্যাপিটাল লেটার ও সংখ্যা এবং পাসওয়ার্ড এ ক্যাপিটাল লেটার, চিহ্ন ও সংখ্যা ব্যবহার করতেই হবে) এবং বহাল ক্লিক করুন।
  6. বিস্তারিত প্রোফাইল বা প্রোফাইলে ক্লিক করলেই একটি ফরম আসবে এবং ফর্মের কোনে এডিট ক্লিক করলেই ঘরগুলো পূরণ করতে পারবেন। 
  7. ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য ট্যাব, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য ইনপুট দিন-জন্ম নিবন্ধন, পিতামাতার এনআইডি, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ইত্যাদি অনুসারে।
  8. সকল তথ্য ইনপুট দেয়া হলে গেলে পরবর্তী ক্লিক করুন।
  9. লেখা দেখাবে ” কাগজপত্রের প্রয়োজন নেই”। (কারণ আপনি তো হার্ড কপি প্রিন্ট করে কাগজপত্র স্থানীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে ভেরিফিকেশনের জন্য জমা দিবেনই তাই অনলাইনে স্ক্যান কপি যুক্ত করতে হবে না।
  10. পরবর্তী ক্লিক করুন এবং সাবমিট করুন।
  11. লেখা দেখাবে আপনার একটি অ্যাপ্লিকেশন পেন্ডিং রয়েছে। পার্শ্বে ডাউনলোড এ ক্লিক করুন ফর্ম সংগ্রহ করুন।
  12. যে ফরমটি দেখবেন সেটি পেনডাইভে করে কম্পিউটারের দোকানে নিয়ে প্রিন্ট করুন। 
  13. আবেদনকারীর স্বাক্ষর দিন,  শনাক্তকারী হিসাবে পরিবারের কারও এনআইডি, তথ্য সংগ্রহকারী এবং সুপারভাইজার হিসাবে আপনার এলাকার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের এনআইডি নম্বর ও স্বাক্ষর নিন। যাচাইকারী হিসাবে ইউনিয়ন মেম্বার বা পৌর সভার কাউন্সিলর এর এনআাইডি ও স্বাক্ষর নিয়ে সমস্ত কাগজপত্র সত্যায়িত করে সংযুক্ত করুন।
  14. সর্বশেষ আবেদনপত্রটি স্থানীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিন। নির্ধারিত দিনে গিয়ে আইরিশ এবং ফিংগারপ্রিন্ট দিয়ে আসুন।

আপনার মনে হতেই পারে এতকিছু করা লাগলে অনলাইনে আমি কেন আবেদন করবো?

হ্যাঁ আপনি হাতে লেখা ফরম পূরণ করে কাগজপত্রসহ নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে আসুন। তবে তথ্য ইনপুট দিতে স্থানীয় অফিস ভুল করলে আপনাকে দৌড়ঝাপ পারতে হবে। ভুল সংশোধনের জন্য আপনাকেই আবার ফি গুণতে হবে এবং দৌড়াদৌড়ি করতে হবে। তাই অনলাইনে নিজের তথ্য নিজে পূরণ করে স্থানীয় অফিসে জমা দিয়ে অনুমোদন করিয়ে আইরিশ ও ফিংগার দিয়ে আসুন। ঝামেলামুক্ত ও ভুলমুক্ত এনআইডি তৈরি করে নিন।

প্রশ্নোত্তর পর্ব

প্রশ্ন: অনলাইনেই কি আবেদন করা যায়?

উত্তর: হ্যাঁ।

প্রশ্ন: হার্ড কপি কি নির্বাচন কমিশন অফিসের জমা দিতে হবে?

উত্তর: অবশ্যই। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ।

প্রশ্ন: ছবি ও ফিঙ্গার দিতে হবে না?

উত্তর: হ্যাঁ। দিতে হবে। আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করার পর মোবাইলে মেসেজ গেলে ষ্বশরীরে অফিসে গিয়ে ছবি ও ফিঙ্গার সম্পন্ন করতে হবে।

NID কার্ড ডাউনলোড । নতুন ভোটারদের NID SMS আসতে কত দিন সময় লাগে?

One comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *