পাসপোর্ট সংশোধণ করার নিয়ম ২০২২ । দেশে ও বিদেশে পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদন নিষ্পত্তিকরণ নির্দেশনা

পাসপোর্ট সংশোধণ করার নিয়ম । দেশে ও বিদেশে পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদন নিষ্পত্তিকরণ নির্দেশনা

পাসপোর্ট সংশোধনের জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডিকে গুরুত্ব দিতে হবে – দুটি’র মধ্যে তথ্যের গরমিল থাকতে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুসরণ করতে হবে– পাসপোর্ট সংশোধণ করার নিয়ম

তথ্য সংশোধনের অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হয়? হ্যাঁ-তথ্য সংশোধনের যথাযথ ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন জমা দিতে হবে এবং অঙ্গীকার নামা জমা দেয়া আবশ্যক। যদি জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তবে জন্ম নিবন্ধন বা পাবলিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট প্রমানক হিসেবে দাখিল করতে হবে। পাসপোর্টের তথ্য পরিবর্তন/সংশোধন আবেদন ফরম PDF Download করে নিন।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের মধ্যে তথ্যের গরমিল হলে জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত তথ্য (নাম, পিতা-মাতার নাম, বয়স ইত্যাদি) অনুযায়ী পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে হবে। তবে, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ বিবেচনা করতে হবে; প্রয়োজনে জেএসসি/জেডিসি/এসএসসি/দাখিল/কারিগরি/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমান-এর যে কোন একটি সনদপত্র বিবেচনা করা যেতে পারে। Passport renewal fee। পাসপোর্ট নবায়ন ফি ২০২২

সংশোধনের ক্ষেত্রে লিখিত আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট/সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শিত নমুনা অনুযায়ী আবেদনকারীকে একটি অঙ্গীকারনামা যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষরপূর্বক দাখিল করতে হবে। সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে ২৮/০৪/২০২১, ০৯ /১২/২০২১ এবং ০৩/১১/২০২২ খ্রিস্টাব্দ তারিখে জারীকৃত এতদসংক্রান্ত পরিপত্রসমূহ এতদ্বারা বাতিল করা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পাসপোর্ট সংশোধন বা রিইস্যু নির্দেশনা / জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসরণ করতে হবে।

প্রতিটি সংশোধনের ক্ষেত্রে অঙ্গীকার নামা জমা দিতে হবে।

Caption: Passport Correction Order

নতুন পাসপোর্ট বা পাসপোর্ট রি-ইস্যু ফি কি একই? পাসপোর্ট সংশোধন ফি

  1. তথ্য সংশােধনপূর্বক দেশে ও বিদেশে পাসপাের্ট রি-ইস্যুর আবেদনসমূহ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত নির্দেশনা নিম্নরুপঃ পাসপাের্টে নাম (নিজ, পিতা ও মাতা) ও বয়স সংশােধনের জন্য প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র/জেএসসি/জেডিসি/এসএসসি/এইচএসসি/দাখিল/কারিগরি/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমান-এর সনদপত্র বিবেচনা করতে হবে। যাদের এ ধরনের সনদপত্র নেই তাদের ক্ষেত্রে জন্মসনদ বিবেচনা করতে হবে।
  2. অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মসনদ বিবেচনা করতে হবে।
  3. প্রয়ােজনে স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও অন্যান্য গােয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে প্রদত্ত তথ্য যাচাই করা যেতে পারে।
    আবেদনে বয়স পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বছরের ব্যবধান পর্যন্ত বিবেচনা করা যাবে। সরকারি চাকুরিজীবীগণ চাকুরিতে প্রবেশের সময় তথ্যাদি জমা দেন বিধায় এ ধরনের তথ্য পরিবর্তনের আবেদন বিবেচনার কোন অবকাশ নেই। তবে সরকারি চাকুরিজীবী যারা চাকুরির পূর্বে পাসপাের্ট গ্রহণ করেছেন, তাদের প্রমাণক পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক তথ্য সংশােধন করা যেতে পারে।
    বিদেশস্থ দূতাবাসে আবেদন করা হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের অবস্থান/বসবাসের প্রমাণক, ছবি, নাম এবং বয়স সম্বলিত প্রমাণক যেমন Permanent Resident Card/Job ID Card/Student ID Card/Driving Licence ইত্যাদি। সংযােজন করতে হবে, যা দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।
  4. বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকগণ এই পরিপত্র জারির ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে তথ্য সংশােধনের আবেদন করতে পারবেন। তবে যৌক্তিক কারণে এ সময়সীমা ১ (এক) বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য সংশােধনের আবেদনে ব্যর্থ হলে আর সুযােগ থাকবে না।
  5. MRP-তে কোন সংশােধনী না থাকলে রি-ইস্যু করার সময় পুলিশ ভেরিফিকেশন আবশ্যক নয়। পাসপাের্ট হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী হারানাে পাসপাের্টের পুলিশ প্রতিবেদনসহ রি-ইস্যুর আবেদন দাখিল করতে আবেদনকারীকে তথ্য পরিবর্তনের জন্য লিখিত আবেদন করতে হবে এবং হলফনামা প্রদান করতে হবে।
    ভবিষ্যতে কোন আইনী জটিলতা হলে আবেদনকারী দায়ী থাকবেন এই মর্মে ঘােষণা থাকতে হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমােদনক্রমে এ পরিপত্র জারি করা হয়েছে। সূত্র দেখে নিন

পেশাজীবীর তথ্য সংশোধনে কি লাগবে?

সরকারি, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাষিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা/ কর্মচারী ও সরকারি চাকুরীজীবির স্বামী/স্ত্রী, এবং সরকারি চাকুরীজীবির নির্ভরশীল ১৫ (পনের) বৎসরের কম বয়সী সন্তান সাধারণ ফি জমা করে জরুরি সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে অনাপত্তি সনদ (NOC) ওয়েব সাইটে আপলোড পূর্বক দাখিল করতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবি ও তাদের স্বামী/স্ত্রী সাধারণ ফি জমা করে জরুরি সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে অবসরের সনদ জমা দিতে হবে।

বিঃ দ্রঃ- সকল আবেদনকারীকে আবেদনপত্র স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জমা দিতে হবে এবং ইস্যুকৃত পাসপোর্ট গ্রহণের সময় পুরাতন পাসপোর্ট অবশ্যই সাথে আনতে হবে।

Passport Correction According to NID । পাসপোর্ট এবং NID এর তথ্যের মধ্যে তারতম্য ঠিক করা যাবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *