প্রাইজবন্ড জেতার উপায় ২০২৩ । প্রতিবার ড্র'তে পুরস্কার বিজয়ীর সংখ্যা কত?

প্রাইজবন্ড জেতার উপায় ২০২৩ । প্রতিবার ড্র’তে পুরস্কার বিজয়ীর সংখ্যা কত?

প্রাইজবন্ড কেনার ক্ষেত্রে কোন লিমিট নাই- অন্যান্য সকল বিনিয়োগ সম্পন্ন করে আপনি প্রাইজবন্ড কিনে রাখতে পারেন এবং প্রাইজবন্ড চেক করার দায়িত্ব দিতে পারে প্রাচুর্য ডট কম কে – প্রাইজবন্ড জেতার উপায় ২০২৩

প্রাইজবন্ড কোথায় পাওয়া যায়? সরকারি গেজেট অনুযায়ী যেসব অফিসে প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিসে প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়। সরকারী বেসরকারী সব ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাংকের সব শাখা অফিসে প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়। তবে ইসলামী শরিয়াভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংক সমূহে প্রাইজবন্ড পাওয়া যায় না। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীন সারাদেশে ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো অফিসে প্রাইজবন্ড পাওয়া যায় এবং পোস্ট অফিসে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়। তবে সব সময় সব ব্যাংকের সব শাখা অফিসে প্রাইজবন্ড নাও পাওয়া যেতে পারে। আপনি যদি অল্প সংখ্যক যেমন ১০০/২০০ বা ৫০০টি প্রাইজবন্ড সংগ্রহ করতে চান এবং আপনার নিকটস্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন শাখা না থাকে, তাহলে আপনাকে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে ঘুড়ে ঘুড়ে, একটু কষ্ট সহ্য করে প্রাইজবন্ড সংগ্রহ করতে হবে। আপনি যদি বেশী অল্প সংখ্যক যেমন ১০০০/২০০০ বা ৫০০০টি প্রাইজবন্ড সংগ্রহ করতে চান, তাহলে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে ঘুড়ে ঘুড়ে প্রাইজবন্ড সংগ্রহ করা, অনেক কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ্য কাজ। তাহলে সমাধান কি? প্রোব্লেম যত বড়ই হোক না কেন, সমাধান কিন্তু ছোটই থাকে, সেজন্য কৌশল জানতে হয়। সারাদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি শাখা অফিস আছে, এই সব অফিস থেকে সারা বছর এবং সব সময় যেকোন পরিমানের প্রাইজবন্ড কেনা যায়। প্রাইজবন্ড কিনতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অন্য কোন কাগজপত্র লাগে না। শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে প্রাইজবন্ড কেনা যায়।

প্রাইজবন্ড এর টাকা কিভাবে পাবো? পুরস্কারের অর্থ দাবী করার জন্য একটি নির্ধারিত ফরমে বাংলাদেশ ব্যাংক বা যে কোন তফসিলী ব্যাংক বা ডাকঘরে আবেদন করতে হয়। জেতার পর মূল বন্ডসহ নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করলে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে বিজয়ীকে পে-অর্ডার দেওয়া হয়। জেতার পর মূল বন্ডসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে বিজয়ীকে পে-অর্ডার দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালের ১ জুলাই থেকে এর মুনাফার ওপর ২০ শতাংশ উৎসে কর আরোপ করে সরকার। ”ড্র” অনুষ্ঠানের দুই বছর পর্যন্ত পুরস্কারের টাকা দাবি করা যায়। এর মধ্যে কেউ দাবি না করলে পুরস্কারের অর্থ তামাদি (বিলুপ্ত বা অচল) হয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত যায়। দাবি করার দুই মাসের মধ্যে পুরস্কার দিয়ে থাকে কর্তৃপক্ষ। প্রাপকের ব্যাংক হিসাবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে পুরস্কারের অর্থ দেয়া হয়।

প্রাইজবন্ডের পুরস্কার নেয়ার সময় কি কি ডকুমেন্ট লাগে? অরিজিনাল প্রাইজবন্ড। প্রাইজবন্ডের এককপি সত্যায়িত ফটোকপি। নির্ধারিত ফরম পুরুণ করে তা সত্যায়িত করে নিতে হবে। পাসপোর্ট সাইজের ২ (দুই) কপি সত্যায়িত ছবি।ন্যাশনাল আই. ডি কার্ডের এক কপি সত্যায়িত ফটোকপি। ব্যাংকের চেকবই পাতা এক কপি সত্যায়িত ফটোকপি। মনে রাখতে হবে (১) গ্রাহকের চেকবইয়ে যে নাম আছে, ফরমের উপর যেন সেই একই নাম হবুহু লেখা হয়। (২) সকল কাগজপত্র ১ম শ্রেণী গেজেটেড কর্মকর্তা কতৃক সত্যায়িত হতে হবে।

প্রাইজবন্ড রেজিষ্ট্রেশন ২০২৩ । প্রাইজবন্ড এর জানা অজানা তথ্য সম্ভার

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ লিমিটেডের (এসপিসিবিএল) গাজীপুরে অবস্থিত কারখানা থেকে প্রাইজবন্ড ছাপানো হয়। প্রাইজবন্ডের পুরস্কার পরিশোধ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতদিন শুধু ঢাকার মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের অর্থ দেওয়া হত। এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অফিসের মাধ্যমেই প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের অর্থ পরিশোধ করা হবে।

যে কেউ চাইলেই প্রাইজবন্ড কিনতে পারেন। যেহেতু প্রাইজবন্ড কিনতে কোন ধরনের কাগজ পত্র লাগে না, কোন আইডি কার্ড লাগে না, সরকারের কোন ধরনের ট্রাকিং থাকে না কার কাছে কতগুলো প্রাইজবন্ড বিক্রয় করেছে। একজন গ্রাহক চাইলে যেকোনো পরিমাণের ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড নগদ টাকায় কিনতে পারবেন।

প্রতিবার ড্র’তে পুরস্কার বিজয়ীর সংখ্যা । প্রাইজবন্ড জেতার উপায় কি?

  1. প্রতি ১০ লাখ প্রাইজবন্ডের মধ্যে বিজয়ী হয় মাত্র ৪৬টি নাম্বার, অন্যভাবে বলতে গেলে প্রতি ২১,৭৩৯টি’র মধ্যে ১টি নাম্বার বা ০.০০৪৬% । প্রমানীত সত্য যে প্রাইজবন্ড যত বেশী সংখ্যক থাকবে তার বিজয়ী হবার সম্ভবনা তত বেড়ে যাবে।
  2. পুরাতন প্রাইজবন্ড ক্রয় – পুরাতন প্রাইজবন্ড কেনা নিয়ে কোন মতভেদ নাই। পুরাতন প্রাইজবন্ডের কিছু উপকারীতা আছে, যেমন- পুরাতন প্রাইজবন্ড কেনার পর থেকেই ড্র’র আওতায় থাকে, কিন্তু নতুন প্রাইজবন্ড ড্র’র আওতায় আসতে কেনার পর দুই মাস অপেক্ষা করতে হয়।
  3. পুরানো সিরিজের প্রাইজবন্ডের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী দুই বছরের মোট ৮টি ড্র’র সাথে মিলিয়ে দেখার সুযোগ আছে (যদি পূর্ববর্তী বিক্রেতা নাম্বারগুলি না মিলিয়েই বিক্রয় করে থাকে), কিন্তু নতুন সিরিজের ক্ষেত্রে কেবল মাত্র পরবর্তী ড্র’র সাথে মিলিয়ে দেখা যাবে পূর্ববর্তী ড্র’র সাথে মিলিয়ে দেখার সুযোগ নাই।
  4. এক সিরিয়ালে প্রাইজবন্ড – এক সিরিয়ালে নূন্যতম ১০০টি প্রাইজবন্ড ক্রয় করা। ১০০টির অধিক প্রাইজবন্ড ক্রয় করতে চাইলে এক সিরিয়ালে ১০০টি ক্রয় করার পর কিছু গ্যাপ দিয়ে আবার এক সিরিয়ালে ১০০টি কিনতে হবে এইভাবে চলতে থাকবে।

ব্যাংকে যেগুলো রির্টান করার হয়, সেগুলো কি ড্র এর আওতাভুক্ত?

হ্যাঁ। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যেগুলি একবার বিক্রি হবে সেগুলো ড্র‘র আওতাভুক্ত। আমি আপনি কেনার পর আবার কোন ব্যাংকে রিটার্ন করলে সেগুলি ড্র এর আওতাভুক্ত। সেখান থেকে কোন নাম্বার বিজয়ী হলে ব্যাংক কতৃপক্ষ তার দাবীদার। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিক্রি হবার পর যার কাছে প্রাইজবন্ড থাকবে সেই এটার মালিক। প্রাইজবন্ড ক্রয় করলে কোন ধরনের বিনিয়োগ কর রেয়াত বা সুদ/ লভ্যাংশ পাওয়া যায় না। আয়কর আইন, ষষ্ঠ সিডিউল, পার্ট বি, ২৮ এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ট্রেজারী বন্ড বিনিয়োগে কর রেয়াত পাওয়া যায়। যেহেতু প্রাইজবন্ড ট্রেজারী বন্ডের অন্তর্ভুক্ত নয়, সেহেতু প্রাইজবন্ড ক্রয়, বিনিয়োগ কররেয়াতযোগ্য নয়। সরকার অনুমোদিত ট্রেজারী বন্ড শুধুমাত্র বাংলাদেশে ব্যাংকে নিবন্ধিত Primary Dealers (PD) নিলামের মাধ্যমে কিনতে পারে।

প্রাইজ বন্ড প্রতিবার চেক করার দায়িত্ব দিয়ে দিন স্বল্প টাকা ফি দিয়েই : রেজিষ্ট্রেশন করুন এখনই

প্রতিবার ড্র’তে পুরস্কার বিজয়ীর সংখ্যা কত?

  • ১১২তম ড্র’তে ৭৪ টি সিরিজের জন্য ৭৪টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ৩,৪০৪টি।
  • ১১১তম ড্র’তে ৭৩ টি সিরিজের জন্য ৭৩টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ৩,৩৫৮টি।
  • ১১০তম ড্র’তে ৭২ টি সিরিজের জন্য ৭২টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ৩,৩১২টি।
  • ১০৯তম ড্র’তে ৭০ টি সিরিজের জন্য ৭০টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ৩,২২০টি।
  • ১০৮তম ড্র’তে ৬৯ টি সিরিজের জন্য ৬৯টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ৩,১৭৪টি।
  • ১০৭তম ড্র’তে ৬৮ টি সিরিজের জন্য ৬৮টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ৩,১২৮টি।
  • ১০৬তম ড্র’তে ৬৭ টি সিরিজের জন্য ৬৭টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ৩,০৮২টি।
  • ১০৫তম ড্র’তে ৬৫ টি সিরিজের জন্য ৬৫টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ২,৯৯০টি।
  • ১০৪তম ড্র’তে ৬৫ টি সিরিজের জন্য ৬৫টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ২,৯৯০টি।
  • ১০৩তম ড্র’তে ৬৪ টি সিরিজের জন্য ৬৪টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ২,৯৪৪টি।
  • ১০২তম ড্র’তে ৬৩ টি সিরিজের জন্য ৬৩টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ২,৮৯৮টি।
  • ১০১তম ড্র’তে ৬২ টি সিরিজের জন্য ৬২টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ২,৮৫২টি।
  • ১০০তম ড্র’তে ৬১ টি সিরিজের জন্য ৬১টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ২,৮০৬টি।
  • ৯৯তম ড্র’তে ৬১ টি সিরিজের জন্য ৬১টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ২,৮০৬টি।
  • ৯৮তম ড্র’তে ৫৮ টি সিরিজের জন্য ৫৮টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ২,৬৬৮টি।
  • ৯৭তম ড্র’তে ৫৮ টি সিরিজের জন্য ৫৮টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ২,৬৬৮টি।
  • ৯৬তম ড্র’তে ৫৫ টি সিরিজের জন্য ৫৫টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ২,৫৩০টি।
  • ৯৫তম ড্র’তে ৫৫ টি সিরিজের জন্য ৫৫টি প্রথম পুরস্কার সহ মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ২,৫৩০টি।

বাংলাদেশে বর্তমানে ৭৪টি সিরিজ চালু আছে আগস্ট ২০২৩ সাল পর্যন্ত যেমন কক, কখ, খগ, খখ, গচ…..ইত্যাদি। একই নাম্বার ৭৪টি সিরিজের প্রত্যেকটিতেই আছে। প্রথম পুরস্কার পাবে প্রতিটি সিরিজের একজন করে অর্থাৎ ৭৪ জন, অনুরুপ ভাবে ২য় পুরস্কার পাবে ৭৪ জন, ৩য় পুরস্কার পাবে ১৪৮ জন ৪র্থ পুরস্কার পাবে ১৪৮ জন এবং ৫ম পুরস্কার পাবে ২,৯৬০ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *