গম ও ভূট্টা চাষে কত টাকা ঋণ বরাদ্দ রয়েছে?– দেশে গম ও ভুট্টার পর্যাপ্ত চাহিদা থাকা সত্ত্বেও উক্ত শস্যগুলাের উৎপাদনের পরিমাণ যথেষ্ট নয়। এ কারণে দেশে গম, ভুট্টা ও এগুলাে হতে উৎপাদিত খাদ্য দ্রব্যাদির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে প্রতি বছর গম ও ভুট্টা আমদানি করার জন্য উল্লেখযােগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়। এপ্রেক্ষিতে, দেশে গম ও ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে ১,০০০.০০ (এক হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

ঋণ বিতরণ কার্যক্রম- এ স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহকে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরাসরি কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। গম ও ভুট্টা চাষের উপযােগী অঞ্চলসমূহে এ স্কিমের আওতায় ঋণ বিতরণে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় উল্লেখিত গম ও ভুট্টা চাষের ঋণ নিয়মাচার অনুযায়ী ব্যাংকসমূহ কৃষকদের অনুকূলে ঋণ বিতরণ করতে পারবে।

সর্বোচ্চ কত টাকা কৃষি ঋণ প্রদান করা হবে? ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা’র ৬.১৯.৬ অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত ভূমিহীন কৃষক (যাদের জমির পরিমাণ ০.৪৯৪ একরের কম), ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক (যাদের জমির পরিমাণ ০.৪৯৪ একর থেকে ২.৪৭ একর) এবং বর্গাচাষিদেরকে এ স্কিমের আওতায় এককভাবে জামানত বিহীন (শুধুমাত্র ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে) সর্বোচ্চ ২.০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা যাবে। এ স্কিমের আওতায় গৃহীত ঋণ দ্বারা কোনভাবেই পুরাতন ঋণ সমন্বয় করা যাবে না। সিআইবি রিপাের্ট অনুযায়ী কোন কৃষক/গ্রাহক খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হলে এ স্কিমের আওতায় ঋণ প্রাপ্তির জন্য যােগ্য বিবেচিত হবে না।।

কৃষি ঋণ পেতে জমির পরিমান কতটুকু থাকতে হবে? / বর্গাচাষিদেরকে এ স্কিমের আওতায় এককভাবে জামানত বিহীন (শুধুমাত্র ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে) সর্বোচ্চ ২.০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা যাবে।

স্কিমের মেয়াদ ৩০ জুন, ২০২৫ পর্যন্ত কিন্তু প্রয়ােজনে স্কিমের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে।

কৃষি ব্যাংক ঋণ সুদের হার ২০২২ । গম ও ভূট্টা উৎপাদনে ৪% সুদে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা

স্কিমের আওতায় প্রদত্ত ঋণের অর্থ বা এর কোন অংশের সদ্ব্যবহার হয়নি মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রতীয়মান হলে এবং বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে ৪% এর অধিক সুদ/মুনাফা আদায় করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সে পরিমাণ অর্থের ওপর নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত ২% হারে সুদ/মুনাফা ধাৰ্যপূর্বক এককালীন আদায় করা হবে।

গম ও ভূট্টা চার্ষে কৃষি ঋণের সুদ/মুনাফা হার কত হবে?

  • এ স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংক হতে নির্ধারিত ০.৫০% সুদ/মুনাফা হারে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবে।
  • কৃষক পর্যায়ে সুদ/মুনাফা হার হবে সর্বোচ্চ ৪% (সরল হারে)। উক্ত সুদ/মুনাফা হার সকল গ্রাহকের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযােজ্য হবে।
  • কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী ফসল উৎপাদনের পঞ্জিকা ও ঋণ পরিশােধ সূচিতে উল্লিখিত গম ও ভুট্টা চাষের উৎপাদন পঞ্জিকা ও পরিশােধ সূচি অনুযায়ী কৃষক পর্যায়ে বিতরণকৃত ঋণের মেয়াদ নির্ধারিত হবে।
  • অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণের তারিখ হতে অনধিক ৮ মাসের মধ্যে আসল এবং সুদ/মুনাফা (বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ০.৫০% সুদ/মুনাফা হারে) পরিশােধ করবে।

কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে পুনঃঅর্থায়ন আবেদন পদ্ধতি কি?

কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ শুরু করার পর অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহকে মাসিক ভিত্তিতে পুনঃঅর্থায়ন এর অর্থ প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পুনঃঅর্থায়ন প্রাপ্তির লক্ষ্যে নিম্নোক্ত প্রয়ােজনীয় তথ্য/কাগজপত্রসহ পরিচালক, কৃষি ঋণ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয় এর নিকট পুনঃঅর্থায়নের জন্য আবেদন করবে। প্রকৃত বিতরণ সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র;  বিতরণকৃত ঋণের সমন্বিত বিবরণী (সংযুক্ত ছক-১ মােতাবেক);  ঋণ পরিশােধের প্রতিশ্রুতিপত্র (ডিপি নােট);  সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য।

কৃষি ব্যাংক ঋণ সুদের হার ২০২২ । গম ও ভূট্টা উৎপাদনে ৪% সুদে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা নীতিমালা দেখুন: ডাউনলোড