দলিলের নকল বের করার নিয়ম । দলিল নং দলিলের কোথায় লেখা থাকে?
একটি দলিল সম্পত্তির মালিকানা স্বত্ব ও স্বার্থ রক্ষা করার জন্য প্রধানত স্বাক্ষ্য প্রদান করে-মূলত দলিলের মাধ্যমেই একজনের হস্তান্তরিত সম্পত্তির স্বত্ব বা মালিকানা চেনা যায় – দলিলের নকল বের করার নিয়ম
জরাজীর্ণ বা ফটোকপি থেকে দলিলের নকল বের করার নিয়ম– দলিল খুজে বের করার জন্য দলিল নং এবং তারিখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্পত্তির মালিকানা বিভিন্ন সুত্রে হয়ে থাকে, নিজ নামীয় রেকর্ড সুত্রে, পৈত্রিক/ মাতৃক ওয়ারিশ সুত্রে অর্থাৎ পূর্ববর্তী ওয়ারিশ এবং বিভিন্ন প্রকার দলিল মূলে সম্পত্তির মালিকানার স্বত্ব বজায় থাকে ৷ অনেকেই আছি দলিলের ভাষা সঠিকভাবে পড়তে ও বুঝতে পারিনা এমনকি একটি দলিলের দলিল নাম্বার কোথায় থাকে বুঝতে পারিনা৷ দলিল নাম্বার কোথায় সেটা জানা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনি যদি কোন সম্পত্তি ক্রয় করতে চান এবং সেই সম্পত্তির মালিক/ বিক্রেতা যদি অন্যের নিকট দলিল মূলে প্রাপ্ত হয়ে থাকেন ৷ তাহলে সেই ভায়া দলিল গুলো ধারাবাহিক ভাবে কিভাবে, কোন প্রকৃতির দলিল এবং দলিল নাম্বার কত তা সঠিকভাবে লিখার মাধ্যমেই একটি দলিলের পূর্ণতা পায়।
দলিল নং বা নম্বর কোথায় উল্লেখ থাকে? একটি দলিলের সবার উপরে বাম পাশের কোণায় দলিল নাম্বার লিখা আছে। অনেক সময় দেখা উপরে লেখা দলিল নাম্বার সঠিকভাবে বুঝা যায় না, এমনটা হলে সেই দলিলের শেষ পৃষ্ঠার অপর পাশে দলিল নাম্বার খুজে পাবেন।
দলিলের তারিখ কোথায় থাকে? যে তারিখে দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে সেটা বের করুন- দলিলের তারিখ বের করাটা খুবই জরুরি। দলিল টি কত তারিখে সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি হয়েছে সেটা উল্লেখ করেই ভায়া দলিলের মাধ্যমে পরবর্তী দলিল সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে।
দলিল নং, তারিখ এবং ভলিয়াম পৃষ্ঠা নং দলিল খুজতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ / একাধিক দলিল বের হলে দলিল রেজিস্ট্রি তারিখ এবং ভলিয়ামে এন্ট্রি হয়েছে কান তা খুবই গুরুত্ব বহন করে।
একটি বিক্রিত জমির একাধিক দলিল বের হলে সেখানে রেজিস্ট্রেশনকৃত দলিল যেটি প্রথমে রেজিস্ট্রি হয়েছে সেটি গ্রহণযোগ্য ও বৈধ।
Caption: Dolil No and Volume No where you can find
জমি আছে দলিল নাই কিভাবে পাবেন? । আপনারা জমির দলিল ২ টি উপায়ে উঠাতে পারবেন।
- উপায় নং-০১: প্রথমে জমির দাগ নাম্বার বের করুন। আপনি যে দাগটি জানেন সেটা কি দাগ তা নিশ্চিত হোন ? আপনি যে দাগটি জানেন অর্থাৎ cs দাগ, না RS দাগ, না BS দাগ নিশ্চিত হোন। দাগ নম্বর জেনে খতিয়ান নাম্বার জানুন। ইউনিয়ন ভূমি বা তফসিল অফিস হতে হতে জমির পর্চা বা খতিয়ান পাওয়া যাবে। খতিয়ানে যদি নামজারি বা খারিজ করা থাকে তাহলে দেখুন কার নামে নামজারি করা। নামজারি বা জমাভাগের কেস বা নথি বের করে নিন। নামজারি বা খারিজের নথিতে দলিলের নাম্বার দেয়া থাকে ওইখান থেকে দলিল নাম্বার নিয়ে নকল বা সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করবেন। জেলা রেকর্ড রুম অথবা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদন করুন। আপনার জমির দলিল যদি বর্তমান সাল থেকে ৫-৬ বছর আগের হয় তাহলে সাব রেজিস্টি অফিস হতে দলিলের নকল বা সার্টিফাইড কপি নিতে পারবেন। আর দলিলটি যদি অনেক বছর আগের বা পুরনো হয় তাহলে জেলা রেজিস্ট্রার অফিস এর জেলা রেকর্ড রুম হতে সংগ্রহ করতে হবে।
- উপায় নং-০২ : উপায় নং ০১ এ কাজ না হলে দলিল তল্লাশি বা সার্চ করতে হবে। তল্লাশি বা সার্চ করতে যা যা লাগবে – সম্ভাব্য সাল, দলিল গ্রহীতা ও গ্রহীতার বাবার নাম ও দলিল দাতার নাম এবং দাগ নাম্বার ও মৌজা অর্থাৎ এই তিনটি তথ্য লাগবে। দলিলটি যদি ৫-৬ বছর আগের হয় তাহলে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিস। আর যদি অনেক বছর আগের বা পুরনো হয় জেলা রেকর্ড রুম, জেলা রেজিস্ট্রার অফিস।
দলিলেল রেকর্ড ভলিয়মের কত পৃষ্ঠা কোথায় পাওয়া যাবে?
যদি দলিলের নকলকপি উঠানো হয়ে থাকে তবে সেটাও খুজে পাবেন দলিলের শেষ পৃষ্টার অপর পাশে দলিলটি রেকর্ড ভলিয়মের কত পৃষ্ঠা হইতে কত পৃষ্ঠা পর্যন্ত নকল করা হয়েছে সেটা উল্লেখ্য করা থাকবে। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেক পুরোনো দলিল হলে লেখা মুছে যায় অথবা লেখাই বুঝা যায় না। তার জন্য যা করতে হবে- সেই দলিলের তারিখ যদি মনে থাকে অথবা দাতা / গ্রহীতার নাম দিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে তল্লাশি দিয়ে দলিল নাম্বার খুঁজে বের করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি গুণতে হয়।
দলিল রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্টস । জমি রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?