ভূমি উন্নয়ন কর হার ২০১৫ । কত বছর জমির খাজনা না দিলে জমি খাস হয়?
কৃষি জমির ক্ষেত্রে ২৫ বিঘা পর্যন্ত খাজনা মওকুফ করে দেয়া হয়েছে। ২৫ বিঘার অধিক থেকে ১০ একর পর্যন্ত জমির প্রতি শতাংশ জমির জন্য ৫০ পয়সা করে – ভূমি উন্নয়ন কর হার ২০১৫
একর প্রতি খাজনা কত? – বাংলা ১৩৮৯ সন থেকে বাংলা ১৩৯৩ সন পর্যন্ত ২ একর জমির জন্য শতাংশ প্রতি ৩ পয়সা, ২ একর থেকে ৫ একর পর্যন্ত জমির জন্য প্রথম দুই একরের জন্য ৬ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশের জন্য ১৫ পয়সা। ৫ একর থেকে ১০ একর পর্যন্ত জমির জন্য প্রথম ৫ একরের জন্য ৫১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশের জন্য ৩৬ পয়সা।
৯২ ধারা মোতাবেক ভূমি খাস করা যায় কি? ধারা – ৯২ (কতিপয় ক্ষেত্রে রায়তের স্বার্থের বিলোপ)- এর (গ) অনুচ্ছেদে বলা আছে যে, যেক্ষেত্রে বকেয়া খাজনা পরিশোধের কোনো ব্যবস্থা না রাখিয়া স্বেচ্ছায় বাসস্থান ত্যাগ করেন ও নিজে বা তাহার পরিবারের সদস্যগণ দ্বারা বা কর্মচারী অথবা শ্রমিক দ্বারা বা অংশীদার অথবা বর্গাদারের সাহায্যে এক নাগাড়ে তিন বৎসরকাল পর্যন্ত তাহার জোত চাষাবাদ করা হইতে বিরত থাকেন। এক্ষেত্রে মূলত স্বার্থ বা স্বত্ব বাতিল হইয়া যাইবে। রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ দেখুন
ভূমি উন্নয়ন করের হার সময়োপযোগী ও ন্যায়ানুগ করার লক্ষ্যে সরকার ভূমি মন্ত্রণালয়ের ইতঃপূর্বে জারিকৃত ৩০/০৫/১৯৯৫ তারিখের প্রজ্ঞাপন নং ভূঃমঃ/শা-৩/কর/১০০/৯২-১০৬(১০০০) বাতিলক্রমে এতদ্বারা ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ ১৯৭৬ (১৯৯৩ সনের ২৯ নং আইন দ্বারা সংশোধিত ) এর ৩(১এ) উপাধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কিছু শর্তাধীন এলাকা ও ব্যবহারভিত্তিক প্রতি শতক ভূমির বার্ষিক ভূমি উন্নয়ন করের পরিবর্তিত হার নির্ধারণ করেছে।
কৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর– ব্যক্তি ও পরিবারভিত্তিক কৃষি জমির মোট পরিমাণ ৮.২৫ একর ( ২৫বিঘা) পর্যন্ত হইলে কোন ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হইবে না। উক্ত মওকুফের আওতায় ইক্ষু আবাদ, লবণ চাষের জমি এবং কৃষকের পুকুর ( বাণিজ্যিক মৎস্য চাষ ব্যতীত) অন্তর্ভুক্ত হইবে; তবে নিম্নের (খ) দফায় বর্ণিত ভূমি অন্তর্ভুক্ত হইবে না । ব্যক্তি ও পরিবারভিত্তিক কৃষি জমির মোট পরিমাণ ৮.২৫ একরের ( ২৫ বিঘার) অধিক হইলে বা কোন সংস্থা কর্তৃক যে কোন পরিমাণ কৃষি জমি অধিকৃত হইলে, যেকোনো মালিক কর্তৃক চা, কফি, রাবার, ফুল বা ফলের বাগান এবং বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ, চিংড়ি চাষ, হাঁস মুরগির ও গবাদি পশুর খামার ইত্যাদি বিশেষকাজে ভূমি ব্যবহার করিলে উক্ত প্রকার ভূমির পরিমাণ যাহাই হউক না কেন সম্পূর্ণ জমির ভূমি উন্নয়ন করের হার বার্ষিক প্রতি শতাংশ ২/-(দুই) টাকা আদায় করিতে হইবে। উল্লিখিত (ক) দফায় বর্ণিত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফের আওতাধীন কৃষি জমির সংশ্লিষ্ট প্রতিটি হোল্ডিং এর ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ বাবদ দাখিলা প্রদানের জন্য আবশ্যিকভাবে বার্ষিক ১০.০০ টাকা আদায় করিতে হইবে। কৃষি জমি গ্রামীণ বা পৌর যে এলাকাতেই হউক উপরে বর্ণিত হার ও শর্ত প্রযোজ্য হইবে।
তিন বছর খাজনা না দিলে জমি হবে খাস । জমির খাজনা দিতে কি কি কাগজ লাগে । জমির খাজনা
জমির খাজনা দিতে কি কি কাগজপত্র লাগে? নির্দিষ্ট জমির খতিয়ান নম্বর এবং পর্চার কপি। জমির দাগ নম্বরের তথ্য, সর্বশেষ পর্চা (বি আর এস অথবা আরএস কপি),যার নামে পর্চা আছে তার জাতীয় পরিচয়পত্র,অনলাইন পেমেন্ট করতে ও ভেরিফিকেশনের জন্য মোবাইল নাম্বার। মনে রাখবেন অন্যের জমির কর আপনার নাম দিয়ে দিতে পারবেন না।
,
ভূমি কর নতুন হার ২০২৩ । বাংলা ১৩৭৮ সনে স্বাধীনতা অর্জিত হলে আগের অনাদায়ী সকল খাজনা মওকুফ করে বাংলা ১৩৭৯ সন থেকে খাজনা ধার্য করা হয়।
- বাংলা ১৩৮২ সন পর্যন্ত কোন পরিবারের ২৫ বিঘা বা ৮.২৫ একর এর উর্দ্ধে জমির জন্য খাজনা ও শিক্ষা কর ছিল।
- ২৫ বিঘার কমজমির জন্য শুধু শিক্ষা কর দিতে হতো কিন্তু বাংলা ১৩৮৩ সন (১৯৭৬ সাল)থেকে বাংলা ১৩৮৮ সন পর্যন্ত ২৫ বিঘা পর্যন্ত বিঘা প্রতি (৩৩ শতাংশ) এর জন্য ৯০ পয়সা এবং ২৫ বিঘার উর্দ্ধে বিঘা প্রতি ৫ টাকা খাজনা ছিল।
- বাংলা ১৩৮৯ সনথেকে বাংলা ১৩৯৩ সন পর্যন্ত ২ একর জমির জন্য শতাংশ প্রতি ৩ পয়সা, ২ একর থেকে ৫ একর পর্যন্ত জমির জন্য প্রথম দুই একরের জন্য ৬ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশের জন্য ১৫ পয়সা।
- ৫ একর থেকে ১০ একর পর্যন্ত জমির জন্য প্রথম ৫একরের জন্য ৫১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশের জন্য ৩৬ পয়সা।
- ১০ একর হতে ১৫ একর পর্যন্ত প্রথম ১০ একরের জন্য ২৩১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশের জন্য৬০ পয়সা।
- ১৫ একর থেকে ২৫ একর পর্যন্ত প্রথম ১৫ একরের জন্য ৫৩১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশের জন্য ৬০ পয়সা।
- ২৫ একরের উপর হলে প্রথম ২৫ একরের জন্য ১৪৮১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশের জন্য ১ টাকা ৪৫ পয়সা।
- বাংলা ১৩৯৪ সন (১৯৮৭ সাল) থেকে বাংলা ১৪০১ সন (১৯৯৪ সাল) পর্যন্ত ২ একর জমির জন্য শতাংশ প্রতি ৩ পয়সা, সব মিলিয়ে এক টাকার কম নয়।
- ২ একর থেকে ৫ একর পর্যন্তজমির জন্য শতাংশ প্রতি ৩০ পয়সা।
- ৫ একর থেকে ১০ একর পর্যন্ত শতাংশ প্রতি ৫০পয়সা। ১০ একরের বেশি জমি হলে শতাংশ প্রতি ২ টাকা।
- বাংলা ১৩৯৮ সনের ১ বৈশাখথেকে ২৫ বিঘা বা ৮.২৫ একর পর্যন্ত কৃষি জমির ওপর থেকে সকল ধরনের কর প্রত্যাহার করা হয়।
ঠিক কত বছর জমির খাজনা না দিলে জমি খাস হয়?
নতুন নয়, বরং ভূমি উন্নয়ন কর আইন অনুযয়ায়ী জমির খাজনা যদি পর পর তিন বছর না দিলে সরকার জমি খাস হয়ে যায়। জমির খাজনার যে সঠিক নিয়মটি সেটি হল বাংলা সনের তারিখ হিসেবে গণনা করা হয়। মানে চৈত্র মাসের ৩০ তারিখের পর থেকেই বৈশাখ মাসের শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আপনার খাজনা বকেয়া বলে গণ্য হতে থাকবে। কোনো কারণে টানা তিন বছর কেউ খাজনা না দিলে তার জমি বাজেয়াপ্ত ও খাস করা হবে। এ ছাড়া জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কারও জমি অবৈধভাবে দখল করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। সরকারী দাবি আদায়ের স্বার্থে ০১-০৩ বছরের অনাদায়ী বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য সরকারি দাবি আদায় আইন, ১৯১৩ এর বিধান মোতাবেক ভূমির মালিকদের বিরুদ্ধে রেন্ট সার্টেফিকেট মামলা দায়ের করা হবে এবং যে সকল ভূমি মালিকের ০৩ (তিন) বছরের উর্দ্ধে ভূমি উন্নয়ন কর বকেয়া রয়েছে তাদের সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ৯২ ধারা মোতাবেক ভূমি খাসকরণসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অকৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর কত? অকৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন করের হার নির্ধারণের জন্য সারা দেশকে অগ্রসরতার মানদণ্ডে নিম্নরূপ ০৬টি ধাপে চিহ্নিত করা হইল। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও সিলেট সিটিকর্পোরেশন ভুক্ত এলাকা। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও কুমিল্লা সিটিকর্পোরেশন ভুক্ত এলাকা। ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলা, সাভার, ধামরাই, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড, হাটহাজারি ও কক্সবাজার জেলা সদরের পৌর এলাকা। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌর এলাকা এবং সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর ও মেঘনাঘাট এলাকা। ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি, জামিরদিয়া, ধানসুর, ভানডাব, কাঁঠালি ও মেহেরবাড়ি মৌজা। নোয়াখালী জেলার চৌমুহনি পৌর এলাকা। রাজউকের আওতাধীন পূর্বাচল আবাসিক এলাকা।
https://reportbd.net/%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A7%AB%E0%A7%A6-%E0%A5%A4-%E0%A7%AF%E0%A7%A8-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AE/
Pingback: জমির খাজনা ও পরিশোধের নিয়ম ২০২৩ । ভূমিকর বাবদ এখন নগদ টাকা প্রদান করা যাবে না - Technical Alamin