নববর্ষ আনন্দ শোভাযাত্রা ২০২৫ । মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রথম কোথায় শুরু হয়েছিল? - Technical Alamin
Latest News

নববর্ষ আনন্দ শোভাযাত্রা ২০২৫ । মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রথম কোথায় শুরু হয়েছিল?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রা আয়োজন করা হবে ‘নববর্ষ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে—ঐতিহ্যের ধারায় নতুন পদক্ষেপ– নববর্ষ আনন্দ শোভাযাত্রা ২০২৫

মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রথম কোথায় শুরু হয়েছিল? মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে শুরু হয়েছিল। শুরুতে এর নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। ১৯৮৯ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এটি প্রবর্তিত হয়। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব হিসাবে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।

আনন্দ শোভাযাত্রা ছিল পূর্ব নাম? হ্যাঁ। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নামকরণ হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে ভোরবেলায় হয়। এটি একটি গণ শোভাযাত্রা। এটি বাংলাদেশী জনগণের ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয়ের একটি অভিব্যক্তি। এটি ঐক্যকে উন্নীত করার উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়।

নববর্ষ আনন্দ শোভাযাত্রা কি? মঙ্গল শোভাযাত্রা (সরকারি নাম বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা) হচ্ছে প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত একটি নতুন বর্ষবরণ উৎসব। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এটি প্রবর্তিত হয়। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব হিসাবে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।

মঙ্গল শোভা যাত্রা আপন নামে ফিরে গেল / প্রথম নামকরণ কি আনন্দ শোভা যাত্রা ছিল?

নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন কি? নব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সূচনা হয় ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ যখন তৎকালীন সেনাপ্রধান লেঃ জেঃ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবৈধভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন । সে সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিএনপি মনোনীত ও জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।

Caption: Anonda Shuva Jatra

নববর্ষ আনন্দ শোভাযাত্রা ২০২৫ । মঙ্গল শোভা যাত্রার কার্যক্রম কি ছিল?

  1. মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে ভোরবেলায় অনুষ্ঠিত হয়। এই শোভাযাত্রায় বিভিন্ন প্রতীকী শিল্পকর্ম, বাংলা সংস্কৃতির প্রতীক, রঙিন মুখোশ, প্রাণীর প্রতিকৃতি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে।
  2. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই শোভাযাত্রার আয়োজন করে।
  3. শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ধরনের প্রতীকী শিল্পকর্ম বহন করা হয়।
  4. বাংলা সংস্কৃতির পরিচয়বাহী নানা প্রতীকী উপকরণ নিয়ে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়।
  5. বিভিন্ন রঙ-এর মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়।
  6. শোভাযাত্রায় চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে।
  7. এই উৎসবটিকে বাংলাদেশী জনগণের ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয়ের একটি অভিব্যক্তি এবং ঐক্যের প্রচারের উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

মঙ্গল শোভা যাত্রায় রাক্ষুসী মূর্তি কেন থাকতো?

এবার আর মূর্তি বা প্রতিমূর্তি থাকবে না। মঙ্গল শোভাযাত্রায় রাক্ষুসী মূর্তি থাকে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে ভোরবেলায় হয়। এই শোভাযাত্রায় বাঁশ-কাঠ-কাগজের তৈরি হাতি, ঘোড়া, বাঘ, সিংহ, প্যাঁচা, ময়ূরসহ নানা ধরনের মুখোশ পরে অংশ নেওয়া হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলাদেশের নববর্ষ উদযাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই শোভাযাত্রা বাংলাদেশী জনগণের ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয়ের একটি অভিব্যক্তি এবং ঐক্যের প্রচারের উপায়। ইউনেসকো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে, এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নয়, বরং এটি সমগ্র দেশ ও বিশ্বের মানুষের ঐতিহ্য। মঙ্গল শোভাযাত্রায় রাক্ষুসী মূর্তি থাকে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে।

মঙ্গল শোভাযাত্রা (সরকারি নাম বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা) হচ্ছে প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়আয়োজিত একটি নতুন বর্ষবরণ উৎসব। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এটি প্রবর্তিত হয়। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব হিসাবে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
   
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *