ই-রিটার্ন জমা দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ । অনলাইনে রিটার্ন জমায় ডকুমেন্ট যা যা লাগবে
আয়কর বা রিটার্ণ দাখিল সহজীকরণে সরকার অনলাইনে রিটার্ণ দাখিল ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে – আসুন অনলাইনে রিটার্ণ দাখিল করার অভ্যাস গড়ি– ডকুমেন্ট যা যা লাগবে ২০২৪
রিটার্ণ দাখিলের ক্ষেত্রে যা যা লাগবে- ১) ১২ ডিজিটের ই-টিন নাম্বার। ২) আয়কর দাতার নামে নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বার। ৩) পূর্বে আয়কর দিয়ে থাকলে তার একটি নমুনা। ৪) ব্যাংক স্টেটমেন্ট। ৫) সর্বশেষ বছরের বেতন বিলের পুরনাঙ্গ বিবরণী। ৬) ডিপিএস, এফডিআর, সঞ্চয়পত্রের বিবরণী( যদি থাকে)। ৭) অন্যান্য বিবরণী( যদি থাকে)।
রিটার্ণের হালনাগাদ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র কি?– আয়কর হিসাব বা আয়কর ফাইল ট্যাক্স অফিসে জা দেওয়ার পর রিটার্ণ ফর্মের একটি অংশ কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষর ও সিল দিয়ে গ্রাহক বা করদাতাকে ফেরত দেওয়া হয়। যে স্লিপটিতে রিটার্ণে প্রদর্শিত আয় ও সম্পদ উল্লেখ থাকে সেটিই হচ্ছে রিটার্ণ স্লিপ। আয়কর পরিপত্র ২০২২-২৩ । আয়করের হার বেশ পরিবর্তন হয়েছে
ব্যাংক গুলো সেবা দিতে রিটার্ণ দাখিলের জন্য ইমেইল পাঠাচ্ছে। ইমেলের মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে সতর্ক করছে যে, সেবা পেতে হলে এবং উৎসে কর নির্ধারিত সীমায় রাখতে রিটার্ণ আবশ্যিকভাবে দাখিল করতে হবে। আপনি প্রবাসী বা দেশের নাগরিক যেই হউন না কেন, আপনাকে অফলাইনে বা অনলাইনে রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। আয়কর রিটার্ন যাচাই ২০২২ । আপনার রিটার্ন দাখিল হয়েছে কিনা অনলাইনে চেক করা যাবে
অনলাইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রিটার্ণ দাখিল করুন / উৎকোচ ছাড়া রিটার্ণ দাখিল করুন
নিজের ফাইল নিজেই তৈরি করুন। হ্যাঁ এ জন্য একটু সময় ও পরিশ্রম করতে হবে। একবার পরিশ্রম করে শিখে নিলে সারাজীবন কাজে লাগবে।
Caption: Return Submission PDF Manual টি সংগ্রহ করুন: ডাউনলোড
অনলাইনে রিটার্ণ দাখিল করার সম্পূর্ণ নিয়ম ২০২৪ । ঠিক নিচের নিয়ম বা ধাপ অনুসরণ করে রিটার্ণ দাখিল করুন।
- etaxnbr.gov.bd এই সাইটে প্রবেশ করুন।
- eReturn এ ক্লিক করুন।
- প্রথমে নিচের Registration অপশনে ক্লিক করে ১২ ডিজিটের ই-টিন ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভেরিফাই অপশনে ক্লিক করলে আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি আসবে। প্রাপ্ত ওটিপি দিয়ে আপনার পাসওয়ার্ড সেট করুন। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে আবার ই-টিন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
- Return Submission এ ক্লিক করুন।
- Return Scheme ফিক্সড করা আছে। নিচে Income year ঠিক করে নিন। আপনার যদি আয় (পুরুষ- ৩ লক্ষ, মহিলা/ ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব / ৩য় লিঙ্গ- ৩.৫ লক্ষ) এর বেশি হয় তাহলে Any taxable Income (Yes) দিন। নাহলে (No) দিন। Heads of Income- 1. Salaries ( বেতন-ভাতাদি) 2. Interest on Securities ( সঞ্চয়পত্র, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি থেকে সুদ) 3. Income from House Property ( গৃ্হসম্পত্তি থেকে আয়) 4. Agricultural Income ( কৃষিখাত থেকে আয়) 5. Income from Business or Profession( ব্যবসা বা পেশা থেকে আয়) 6. Capital Gains( সম্পত্তি বিক্রয় বা হস্তান্তর থেকে আয়) 7. Income from other source (উপরের ৬ টির বাইরে অন্য কোন উৎস থেকে আয়)
- আপনার ইনকামের উৎস স্থান নির্বাচন করুন- আপনার যদি আয়কর রেয়াত( জীবনবীমা, ডিপিএস, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার বাজার, কল্যাণ তহবিল ইত্যাদিতে বিনিয়োগ থাকে) পাওয়ার উৎস থাকে তাহলে Claim tax rebate for investment – Yes দিন। আপনার মোট সম্পদের পরিমাণ যদি ৪০ লক্ষ টাকার উপরে হয়, তাহলে Gross wealth over 40,00,000 – Yes দিন।
- চাহিদা অনুযায়ী প্রতিটি ঘর পূরণ করুন।
- Interest on Securities ( সঞ্চয়পত্র, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি থেকে সুদ) এইখানে পূরণ করুন( যদি থাকে)।
- আপনার সম্পত্তির আয়-ব্যয়ের হিসেব এইখানে দিন( যদি থাকে)।
- কৃষিজমি থেকে প্রাপ্ত আয়ের হিসেব এইখানে দিন( যদি থাকে)।
- চেম্বার বা কোন ব্যবসা থাকলে তার তথ্য এইখানে দিন। আপনি একাউন্টস খাতা ব্যবহার করে থাকলে Maintain Books of Accounts – Yes দিন এবং নিচের তথ্যগুলো পূরণ করুন।
- সম্পত্তি বিক্রয় বা হস্তান্তর থেকে আয়ের তথ্য এইখানে দিন।
- অন্য কোন উৎস থেকে আয় থকলে তা এইখানে দিন।
- যাদের সন্তান বা স্বামী / স্ত্রীর আলাদা টিন নেই তারা এইখানে তথ্য দিন।
- আপনার সারা বছরের ব্যয়ের হিসাব এইখানে দিন। প্রত্যেকটি ঘর অতি সতর্কতার সাথে পূরণ করুন।
- এইটি পুরো ফরমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনাকে কখনো এনবিআর বা দূর্নীতি দমন কমিশন ধরতে চাইলে এই অংশ নিয়েই ধরবে। তাই খুব সাবধানে এবং মোটামুটি শুদ্ধভাবে পূরণ করুন।
- ধাপ-১৬ এর নিচে এইটি থাকে। এইখানে এতোক্ষণ আপনার দেওয়া সকল তথ্যের প্রতিফলন ঘটবে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল Difference – 0(zero) আসতে হবে। নাহলে আপনার তথ্যগত ভুল আছে। মোটামুটি সকলের ক্ষেত্রেই Difference একটি পজিটিভ অংক আসে। এই অংকটি হল আপনার Cash in Hand. এইটি Cash and Fund outside Business এর Other Deposits, Balance and Advance এ বসিয়ে দিলে আশা করা যায় Difference 0(zero) আসবে।
- এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার আয়কর রিটার্ন তৈরি হয়ে যাবে। এইখানে সব তথ্য মিলিয়ে নিন।
- আপনি যদি বেতন থেকে ট্যাক্স বা অন্য কোন ট্যাক্স আগে দিয়ে থাকেন তা এইখানে Yes দিয়ে adjust করে নিতে পারেন।
- eReturn LEDGER এর তথ্যগুলো ভাল করে পড়ুন।
- এইখানে এইবছর শুধুমাত্র আইবাসে যাদের বেতন হয় তাদের ইনকাম ট্যাক্স এডজাস্ট করা যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছর থেকে বাকিগুলোও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এডজাস্ট করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
- পেমেন্ট করতে Payment now অপশনে ক্লিক করুন। আপনি যদি অফলাইনে জমা করতে চান তাহলে বামপাশে Proceed to offline(paper) return এ ক্লিক করুন এবং প্রয়োজনীয় অংশ এডিট ( যেমন- পরিশোধিত কর) করে প্রিন্ট করে নিতে পারেন)। যারা অনলাইনে দিবেন, পেমেন্ট সম্পন্ন হলে Proceed to online return এ ক্লিক করুন।
- সবশেষে পেইজের নিচের অংশে Verification অপশনে টিক দিয়ে Submit Return এ ক্লিক করলেই আপনার আয়কর রিটার্ন দেওয়া হয়ে যাবে। এরপর স্কিনের বামপাশে Tax record থেকে Tin Certificate, Tax Certificate, Acknowledgement, Verification slip, Return, Challan ইত্যাদি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
তথ্য এন্ট্রির পর কোনটি বিষয়টি খেয়াল রাখবেন?
প্রতিটি ধাপ শেষে Save & Continue দিবেন। তাহলে কোন তথ্য হারাবে না। আপনি চাইলে সর্বশেষ Submit করার আগে যতবার খুশি পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনি আয়কর বিকাশ/নগদ/ রকেট/ কার্ড/ নেক্সাস-পে তে দিতে পারবেন। মাঝে মাঝে সার্ভার ব্যস্ত থাকলে কিছু সময়পর আবার চেষ্টা করুন। আয়কর রিটার্ন পে করার সাথে সাথে আপনার মোবাইলে এসএমএস আসবে। আসুন সরকারের ডিজিটালইজেশনের সুবিধা নেয়, হয়রানিমুক্ত, দূর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি। সরকারি অফিসে বা ট্যাক্স অফিসে গিয়ে রিটার্ণ দাখিল করে অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হবে না।
ক্রেডিট: Rajib Dey
Pingback: Return slip check bd । রিটার্ন রশিদ অনলাইনে চেক করার নিয়ম দেখুন - Technical Alamin