সরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি বা ভূমি নামজারিকরণের নির্দেশনা ২০২২ – সরকারি প্রতিষ্ঠানের আওতায় অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। মূলত সম্পদের দাম বৃদ্ধির ফলে এমনটি হচ্ছে। ভূমির দাম এখন অনেক চড়া তাই সরকারি সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষনের জন্য নামজারি বা খারিজ করণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

নামজারি বা মিউটেশন হচ্ছে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে মালিকানা পরিবর্তন করা। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন বৈধ পন্থায় ভূমি/জমির মালিকানা অর্জন করলে সরকারি রেকর্ড সংশোধন করে তার নামে রেকর্ড আপটুডেট (হালনাগাদ) করাকেই নামজারি বলা হয়। কোন ব্যক্তির নামজারি সম্পন্ন হলে তাকে একটি খতিয়ান দেয়া হয় যেখানে তার অর্জিত জমির একখানি সংক্ষিপ্ত হিসাব বিবরণী উল্লেখ থাকে। উক্ত হিসাব বিবরণী অর্থাৎ খতিয়ানে মালিকের নাম, কোন্ মৌজা, মৌজার নম্বর (জেএল নম্বর), জমির দাগ নম্বর, দাগে জমির পরিমাণ, একাধিক মালিক হলে তাদের নির্ধারিত হিস্যা ও প্রতি বছরের ধার্যকৃত খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।

ভূমির মালিকানা অর্জন করার পর পরই ভূমি মালিক/প্রতিষ্ঠানের নামে নামজারি সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এখনও অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান/সংস্থার জমি স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের নামে নামজারি করা হয় নি মর্মে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে সরকারের প্রাপ্য ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে সমস্যার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের আইনগত জটিলতার উদ্ভব হচ্ছে।

ভূমি বেদখল রোধে নামজারি আবশ্যক / ভূমি বেদখল যাতে না হয় তাই খারিজ বা নামজারি বা মিউটেশন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আপনার মন্ত্রণালয়/বিভাগের অধীনে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে তাদের মালিকানাধীন (ক্রয়/অধিগ্রহণ/দান। ইত্যাদি সূত্রে) সকল জমির নিজ প্রতিষ্ঠান/সংস্থার নামে অনতিবিলম্বে নামজারিপূর্বক অনলাইন হােল্ডিং তৈরিসহ ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান। নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্দেশনা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরােধ করা হয়েছে।

Caption: Land Mutation with holding Number and Porcha Ready properly to ensure government property.

Why Mutation? নামজারি বা মিউটেশন কেন করতে হয়?

  1. যে কোনাে সময় জমি বিক্রয় করা যাবে (রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ৫২এ ধারা এবং সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ এর ৫৩সি ধারা অনুসারে, উত্তরাধিকার ব্যতিত অন্য কোন ভাবে প্রাপ্ত জমির নামজারি খতিয়ান না থাকলে সে জমি বিক্রয় করা যায় না)।
  2. ভূমির মালিকানা হালনাগাদ হবে।
  3. ভূমি উন্নয়ন কর আদায়/প্রদান করা সহজ হবে।
  4. খতিয়ান হালনাগাদ থাকার ফলে জরিপ কাজে সুবিধা হবে।
  5. সরকারের খাস জমি সংরক্ষণে সুবিধা হবে।
  6. নদী পয়স্তিজনিত কারনে রেকর্ড সংশােধন হবে।
  7. মূল ভূমি মালিকের মৃত্যুতে উত্তরাধিকারগণের মালিকানার নির্দিষ্ট অংশ সম্বলিত খতিয়ান
    প্রস্তুত হবে।
  8. রেজিস্ট্রিকৃত দলিলমূলে জমি হস্তান্তরের কারণে ক্রেতা বা গ্রহিতার নামে খতিয়ান প্রস্তুত
    হবে।
  9. মামলা-মােকদ্দমা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
  10. বিক্রেতা আপনার ক্রয়কৃত জমি দ্বিতীয়বার বিক্রি করতে পারবে না।

নামজারি না করলে কি ভূমি নিজের বলে দাবী করা যায় না?

নিজের প্রমান করতে অনেক জটিলতা পোহাতে হয়। কোনো কারণে জমি হস্তান্তর হলে খতিয়ানে পুরোনো মালিকের নাম বাদ দিয়ে নতুন মালিকের নাম প্রতিস্থাপন করানোকে বলে মিউটেশন বা নামজারি। উত্তরাধিকারসূত্রে, বিক্রয়, দান, খাসজমি বন্দোবস্তসহ বিভিন্ন ধরনের হস্তান্তরের কারণে জমির মালিকানা বদল হয়। কিন্তু জমির নামজারি না করানো হলে মালিকানা দাবি করার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা তৈরি হয়।

Government Land Mutation bd । সরকারী জমি স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের নামে নামজারিকরণ নির্দেশনা ২০২২: ডাউনলোড