সোনালি ব্যাংক ই-ওয়ালেট

Sonali E-Wallet ব্যবহার নীতিমালা, শর্ত, লেনদেন সীমা ইত্যাদি।

সরকারি কর্মচারীগণ সোনালি ব্যাংকের বাধ্যতামূলক গ্রাহক হওয়া এবং এটি একটি রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংক হওয়ার দরুন বিপুল পরিমাণ গ্রাহকের সমাগম। সোনালী ব্যাংকের ব্রাঞ্চগুলো সহজ লভ্য হওয়া এবং রাষ্ট্রের প্রতি বিশ্বাস থেকে অধিক গ্রাহক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক ছাড়া অন্য কোন ব্যাংকের সেবা গ্রহন করা যায়নি।

যদি বর্তমানে EFT সেবা চালু হওয়ায় সরকারি লেনদেনেও অন্য ব্যাংক ব্যবহার করা যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার মুখে পড়ায় সোনালী ব্যাংক সম্প্রতি তিনটি নতুন সেবা চালু করেছে  Sonali esheba, Sonali e-wallet and Sonali Bank to Bkash Online Transaction. এগুলোর মধ্যে বর্তমানে সব থেকে জনপ্রিয় সেবাটি হচ্ছে Sonali e-wallet. এটি দিয়ে কি হয় এবং কি শর্তে সেবা পেতে হয় সেটি নিয়েই আজ আলোচনা করবো।

নিম্নলিখিত শর্তসমূহে Sonali e-wallet সেবা প্রদান করা হবে:

ক) কেবলমাত্র ব্যক্তিক হিসাব (সঞ্চয়ী/চলতি) এ Sonali e-wallet সুবিধা পাওয়া যাবে।

খ) যৌথভাবে/ যৌথনামে (Joint Client) পরিচালিত হিসাব এবং কোম্পানি/ প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত হিসাবে এই সেবা প্রদান করা হবে না।

গ) Dormant/ Inoperative/ Deceased হিসাবে এই সেবা প্রদান করা হবে না।

ঘ) সঞ্চয়ী/ চলতি হিসাবে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে ওয়ালেট হিসাব খুলতে হবে।

ঙ) কেবলমাত্র Android বা iOS ভিত্তিক স্মার্টফোন সমূহের মাধ্যমে এই সেবা ব্যবহার করা যাবে।

চ) একজন গ্রহাক একই সাথে একাধিক মোবাইল Device -এ এই সেবা ব্যবহার করতে পারবেন না।

Sonali E-wallet এর মাধ্যমে প্রাপ্ত সুবিধাসমূহ নিম্নরূপ:
  1. Branch/ ATM Location
  2. Balance Check (Account & Wallet)
  3. Mini Statement (Account & Wallet)
  4. Add Money (Bank Account to Wallet)
  5. Deposite Money (Wallet to Bank Account)
  6. Send Money (i) Wallet to Wallet (ii) Bank A/C to Wallet (iii) Bank A/C to Bank A/C (iv) Wallet to Bank A/C
  7. Fund Transfer to other Bank Account (BEFTN) (i) Wallet to other Bank Account (ii) SBL A/C to other Bank Account
  8. Utility Bill Payment
  9. Mobile Recharge
  10. Credit Card Bill Payment (SBL Only)
ই-ওয়ালেট এর মাধ্যমে লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা:

১। ব্যক্তি ই-ওয়ালেট হিসাবে স্থিতি ৪,০০,০০০ টাকা।

২। জমা (Add Money) দৈনিক ১,০০,০০০ টাকা।

৩। ই-ওয়ালেট হিসাবে হতে স্থানান্তর (ব্যাংক হিসাবে/ পারসন টু পারসন) দৈনিক ১,০০,০০০ টাকা, মাসিক ৪,০০,০০০০ টাকা মাত্র।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিজ ব্যাংকে লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা দৈনিক ১,০০,০০০ টাকা ও মাসিক ৪,০০,০০০ টাকা এবং অন্যান্য ব্যাংকে লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা দৈনিক ৫০,০০০ টাকা ও মাসিক ২,০০,০০০ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *