ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২২
বাংলাদেশে আজ হতে বিভিন্ন উপজেলায় নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সরকারি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ বলতে শুধু নতুন ভোটার অন্তর্ভূক্ত ও মৃত্যু ভোটার বাতিল হিসাব ও তথ্য অন্তর্ভূক্ত হবে।
নতুন ভোটার হতে কি কি তথ্য প্রয়োজন পড়বে?
জন্ম সাল ০১-০১- ২০০৭ হতে হবে। অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি। পিতা/মাতার আইডি (NID) ফটোকপি। স্বামী/স্ত্রীর আইডি ফটোকপি। শিক্ষা সনদের ফটোকপি। রক্তের গ্রুপ পরিক্ষার সার্টিফিকেট।। হােল্ডিং টেক্স রশিদের ফটোকপি এ তথ্যগুলো সংগ্রহে রাখতে হবে।
রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্ট থাকলেও কেবল আপনার রক্তের গ্রুপ যুক্ত করা যাবে জাতীয় পরিচয়পত্রে। জাতীয় পরিচয়পত্রে যদি বিবাহিত শব্দটি যুক্ত করতে চান তাহলে কাবিন নামা প্রদর্শন করতে হবে। অন্যদিকে যদি আপনি চাকরিজীবী এ শব্দটি অন্তর্ভূক্ত করতে চান হতে আপনাকে চাকরির নিয়োগপত্র দেখাতে হবে।
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে বায়োমেট্রিক আইডেনটিফিকেশন বিদ্যমান। সকল বাংলাদেশী যারা ১৮ বছর বয়স বা তার চেয়ে বেশির বয়সী তারা সকলে কেন্দ্রীয় বায়োমেট্রিক তথ্যভান্ডারের সাথে সংযুক্ত, যা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করে। ২০১৬ সালের পুর্বে সাধারণ আইডেনটিটি কার্ড সরবরাহ করা হত যেখানে শুধুমাত্র আইডিধারী ব্যক্তির নাম, পিতা ও মাতার নাম, জন্ম তারিখ, আইডি নাম্বার, ছবি ও স্বাক্ষর উল্লেখ ছিল।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইং ২০১৬ সালের অক্টোবরে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র উপস্থাপন করে। স্মার্ট কার্ডে একটি ইন্টারগ্রেট সার্কিট কার্ড (আইসিসি) সংযুক্ত আছে যা চিপ কার্ড নামেও পরিচিত। স্মার্টকার্ডে এ চিপ কার্ড মেশিনের সাহায্যে রিড করা যাবে। সেখানে নাগরিকের সব তথ্য সংরক্ষিত আছে। স্মার্ট কার্ডের ডিজাইনে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় পাখি, শাপলা ফুল, চা বাগান, স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি।
এনআইডি বা স্মার্ট এনআইডি কার্ড হোল্ডাররা যে সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন বা সকল কাজে আইডি কার্ড লাগে –
- নাগরিক অধিকার ও সুবিধা সমূহ
- জাতীয় পরিচয়
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- মটর যান রেজিস্ট্রেশন
- পাসপোর্ট
- জমি ক্রয় ও বিক্রয়
- ব্যাংক হিসাব খুলতে
- ব্যাংক ঋণ নিতে
- টিন নাম্বার
- মোবাইল সিম পেতে
- সরকারি অনুদান ও ভাতা পেতে
- চাকরির আবেদন করতে
যা প্রয়োজন
- এসএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেট ফটোকপি
- জন্ম নিবন্ধ সনদের ফটোকপি
- পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা টিন সার্টিফিকেট
- ইউটিলিটি বিলের কপি
- নাগরিকত্ব সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- পিতা, মাতা স্বামী /স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি
আরও জানতে দেখুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২২ : ডাউনলোড