মিউটেশন করার নিয়ম । ক্রয় কৃত জমি খারিজ করতে কি কি লাগবে?
যদি জমিতে ঝামেলা থাকে বা উপযুক্ত ডকুমেন্ট ঠিকমত না থাকে তবে আপনি অনলাইনে নামজারি করতে পারবেন না-তবে মিউটেশন করা জমি ক্রয়কালে পুন:মিউটেশন করা খুবই সহজ –মিউটেশন করার নিয়ম
ক্রয় কৃত জমি খারিজ করতে কি কি লাগবে? ক্রয়কৃত জমি খারিজ করতে আবেদন কারীর ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (একাধিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্য ছবি প্রযোজ্য। নামজারির জন্য যে যে কাগজপত্র প্রয়োজন: ১.২০(বিশ )টাকার কোর্টফি সহ মূল আবেদন ফর্ম। ২.আবেদনকারীর ১(এক )কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (একাধিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্য ছবি প্রযোজ্য) ৩.আবেদনকারীর পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি (জাতীয় পরিচয়পত্র /ভোটার আইডি /জন্ম নিবন্ধন সনদ / পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স /অন্যান্য ) ৪.খতিয়ানের ফটোকপি /সার্টিফাইড কপি। ৫.বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ। ৬.সর্বশেষ জরিপের পর থেকে বায়া দলিলের সার্টিফাইড কপি বা ফটোকপি।
ওয়াকফ বা দেবোত্তর জমি নামজারি করা যাবে কিভাবে / ওয়াকফ বা দেবোত্তর জমির নামজারি? ওয়াকফ ও দেবোত্তর সম্পত্তি সাধারণভাবে বিক্রয় বা হস্তান্তর নিষিদ্ধ । অপরিহার্য প্রয়োজনে ওয়াকফ সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রয় বা হস্তান্তর করতে হলে ওয়াকফ প্রশাসকের নিকট অবেদন করতে হয়, ওয়াকফ প্রশাসকের সভাপতিত্বে গঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি যাচাই বাছাই করে প্রস্তাবিত হস্তান্তর একান্তই অপরিহার্য দেখা গেলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বিক্রয় বা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। অপর দিকে দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রয় বা হস্তান্তরের অনুমোদনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে যেতে হয়। কাজেই ওয়াকফ সম্পত্তি ক্রেতার আবেদনে নামজারি করতে হলে দলিল ছাড়াও অবশ্যই ওয়াকফ প্রশাসকের মাধ্যমে বৈধভাবে অনুমতি প্রাপ্ত কিনা তার প্রমাণপত্র লাগবে। দেবোত্ত্বর সম্পত্তি ক্রেতার আবেদনে নামজারি করতে হলে অবশ্যই দলিল ছাড়াও বিজ্ঞ সিভিল কোর্টের রায় ডিক্রির প্রমাণ পত্র দেখতে হবে।
উত্তরাধিকার সূত্রে নামজারি না করে জমি বিক্রি করার আইনগত কোন বাধা আছে কিনা? জমি বিক্রয়ের দলিল সম্পদানের কাজ করে সার রেজিষ্ট্রি অফিস । আপনি সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে লাইসেন্স প্রাপ্ত দলিল লেখকদের সংগে যোগাযোগ করুন। তবে উত্তরাধিকারিদের নামে নামজারি থাকলে কেউ অতিরিক্ত জমি হস্তান্তর করতে পারে না।
অনলাইনে নামজারি বা মিউটেশন করতে ১১৭০ টাকা ব্যয় হবে / স্বচ্ছ ও ঝামেলা মুক্ত জমি কিনে অনলাইনে নামজারি করে নিতে পারেন এক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হবে না
ই নামজারি আবেদনে কাগজাদির সফট কপি দেয়া হলেও শুনানীতে হার্ড কপি বা আসল কাগজাদি চাচ্ছে করণীয় কি? ই নামজারি আবেদনে কাগজাদির সফট কপি সংযুক্তি দেয়া হলেও শুনানির দিন/তদন্তে কাগজাদির সঠিকতা যাঁচাইয়ের জন্য শুধুমাত্র কাগজপত্রের হার্ড কপি নিয়ে যেতে হবে।সহযোগিতা করার অনুরোধ করছি। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভূমি সেবা হেল্পলাইন ১৬১২২ নম্বরে কল করুন।
Caption: mutation.land.gov.bd
নামজারি নিয়ম । সব কাগজপত্র থাকলে আপনি অনলাইনেই নামজারি করে নিতে পারেন
- https://mutation.land.gov.bd ক্লিক করে পেইজ ওপেন করুন। অনলাইনে আবেদন করুন ট্যাবে (নামজারি আবেদনের জন্য ক্লিক করুন) এখানে ক্লিক করুন। আপনাকে নামজারি আবেদন করার ফরমে নিয়ে যাওয়া হবে।
- জমি খারিজ বা অনলাইনে নামজারির আবেদন করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় আপনার জনা জরুরী। যেমন আপনি যদি কারো প্রতিনিধি হিসাবে আবেদন করেন তাহলে আবেদন কারীর তথ্য ঘরের নিচে একটি ঘর রয়েছে। আবেদনকারী নিজে না হয়ে প্রতিনিধি হলে এখানে ক্লিক করুন ঘরে টিক মার্ক দিন। আপনার আবেদনটি জরুরী হয়ে থাকলে জরুরী কিন? টিক মার্ক দিন। নথিপত্র আপলোড করার ক্ষেত্রে, এক এক করে আপলোড করতে হবে। নথিটি আপলোড হলে এটি কি ধরণের নথি (দলিল/খতিয়ান/ নাগরিক সনদ) ড্রপডাউন মেনু থেকে সিলেক্ট করে দিতে হবে। প্রথমে যখন আপনি ই নামজারি আবেদন করবেন প্রথমেই কোর্ট ফি বাবদ ২০ টাকা এবং নোটিশ জারি ফি বাবদ ৫০ টাকা মোট ৭০ টাকা অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। কিছু হয়ে গেলে নিচের “দাখিল” বাটনটি ক্লিক করুন। তাহলে আপনার আবেনদটি সাবমিট হবে এবং আপনার মোবাইলে একটা মেসেজ যাবে। আবেদনটি সাবমিট হলে আপনি একটি আইডি নাম্বার পাবেন। এই আইডি নাম্বার দিয়ে আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- আবেদন অনুমোদন হলে রেকর্ড সংশোধন বা হালনাগাদ ফি বাবদ ১০০০/- ( এক হাজার টাকা) এবং প্রতি খতিয়ান সরবরাহ ফি বাবদ ১০০/- (একশত) টাকা অনলাইনে জমা দিতে হবে। ফি পরিশোধ হয়ে গেলে অনলাইন থেকে কিউআর কোডযুক্ত (কুইক রেসপন্স কোড)) অনলাইন ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিট) সংগ্রহ করতে পারবেন।
- আপনার আবেদন কি অবস্থায় রয়েছে বা কতদূর অগ্রগতি তা অনলাইনে জানতে পারবেন। আবেদনটি বাতিল হয়ে গেলেও কি কি কারণে বাতিল করা হয়েছে তা আপনাকে জানানো হবে।বর্তমানে আপনার নামজারি আবেদনটি কি অবস্থায় আছে তা জানার জন্য ই নামজারি ওয়েবসাইটের হোম পেজে যান। ই নামজারি বা জমি খারিজ আবেদন ট্রাকিং ফরম আপনার বিভাগ, আবেদন আইডি ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নাম্বার এবং নিচের ঘরে পাশের শর্তমত যোগফল বা বিয়োগফল লিখুন। এখন সার্চ করলে আপনার আবেদনটির সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে।
- আপনার নামজারি আবেদন অনুমোদন হলে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। শুনানির দিন ধার্য হলে আপনার মোবাইলে একটি মেসেজ যাবে, কত তারিখ শুনানি হবে ও সময় জানিয়ে দেবে। বর্তমানে যে কোন ভুমি মামলার শুনানিতে অনলাইনেও অংশগ্রহণ করা যায়। শুনানিতে আপনি আপনার জরুরী কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত থাকবেন। শুনানি শেষে আপনার নাম জারি বা মিউটেশন এর কাজ শেষ। আপনাকে মোবাইলের মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনাকে।
নামজারি আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করার কোনো সুযোগ আছে কি / নামজারি আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় কী / নামজারি আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি?
নামজারি আবেদন দাখিল, তদন্ত ও শুনানীর জন্য প্রয়োজনীয় সময় আবশ্যক। সঠিক তথ্য প্রদান এবং শুনানিতে প্রমাণক উপস্থাপন করলে ভূমি নামজারি কাজে সময় সাশ্রয় হয়ে থাকে। জনগণকে দ্রুত সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনামতে ২৮ দিনের মধ্যে নামজারি আবেদন নিস্পত্তি হয়ে থাকে। তদন্ত ও শুনানীতে সময় কমিয়ে এর কম সময়ে নামজারি করা যেতে পারে। একটি ভূমি অফিসে আবেদিত একটি নামজারি ছাড়াও আরও অনেক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়, নির্ধারিত ২৮ দিনের চেয়ে কম দিনে নামজারি করে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ ঠিক হবেনা। তবে বিশেষ বিবেচনায় প্রবাসী নাগরিক, খেতাব প্রাপ্ত মুক্তি যোদ্ধা ও রপ্তানীমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে কম দিনে নামজারি করে দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
https://reportbd.net/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%89%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%89/