বাংলাদেশী নাগরিকদের বিবাহের পরই জাতীয় পরিচয়পত্রে বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন কনা প্রয়োজন। যদিও জাতীয় পরিচয়পত্রে বৈবাহিক অবস্থা উল্লেখ থাকে না। জাতীয় পরিচয়পত্রের স্বামী/স্ত্রীর নাম পরিবর্তন বা সংযোজন বা বিয়োজন সম্পর্কে জানবো।
আপনারা অনেকেই জানেন যে আগে থাকলেও এখন আর কোনো বিবাহিত নারীর জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামীর নাম থাকে না। নারী বা পুরুষ নির্বিশেষে সবার জাতীয় পরিচয়পত্রে এখন পিতার নাম থাকে।
তবে বিবাহিত নারী বা পুরুষের জাতীয় পরিচয়পত্র ডাটাবেজে সঠিক স্বামী বা স্ত্রীর নাম থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বৈবাহিক অবস্থার তথ্যের মাধ্যমে ওয়ারিশ, উত্তরাধিকার, নমিনী, পেনশন সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে সাহায্য পাওয়া যায়।
ভোটার নিবন্ধনের সময় কোনো পুরুষ বা মহিলা তার বৈবাহিক অবস্থা ‘বিবাহিত’ দিলে তার স্বামী বা স্ত্রীর নাম ভোটার নিবন্ধন ফরমে উল্লেখ করতে হয়, যা পরবর্তীতে তার জাতীয় পরিচয়পত্র ডাটাবেজে লিপিবদ্ধ করা হয়।
ভোটার নিবন্ধনের সময় ‘অবিবাহিত’ দেয়া কোনো নারী বা পুরুষ যদি পরবর্তীতে তার বৈবাহিক অবস্থা ‘বিবাহিত’ করতে চায় এবং তার স্বামী বা স্ত্রীর নাম সংযোজন করতে চায়, তাহলে তাকে অনলাইনে বা সংস্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে কাজী অফিস কর্তৃক প্রদত্ত কাবিননামা এবং স্বামী বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র কপি দিয়ে সংশোধন আবেদন করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, অনেকে বিবাহের প্রমানস্বরূপ কোর্টের এভিডেভিড দাখিল করেন যার আসলে কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। ইসলাম ধর্মালম্বীদের অবশ্যই কাজী অফিস কর্তৃক প্রদত্ত কাবিননামা দালিখ করতে হবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে বিবাহের রেজিস্ট্রার কপি দাখিল করতে হবে। কারো স্বামী বা স্ত্রী দীর্ঘদিন প্রবাসী হওয়ার কারনে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে, তার ভিসা সংবলিত পাসপোর্টের কপি দাখিল করতে হবে।
তালাক জনিত কারনে এবং পরবর্তীতে পুনরায় বিবাহ জনিত কারনে কোনো বিবাহিত নারী বা পুরুষ তার স্বামী বা স্ত্রীর নাম পরিবর্তন করতে চাইলে তাকে পূর্বের স্বামী বা স্ত্রীর সাথে কাজী অফিস কর্তৃক প্রদত্ত তালাকনামা, পরবর্তীতে পুনরায় বিবাহের কাজী অফিস কর্তৃক প্রদত্ত কাবিননামা এবং পরবর্তী স্বামী বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র কপি দাখিল করতে হবে। ইসলাম ধর্মালম্বীদের অবশ্যই কাজী অফিস কর্তৃক প্রদত্ত তালাকনামা প্রদান করতে হবে।
তালাকের নোটিশ বা এভিডেভিড গ্রহনযোগ্য নয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বী ক্ষেত্রে ডিভোর্সের কোনো সুনির্দিষ্ট ডকুমেন্ট নেই বিধায় ডিভোর্সের প্রমানস্বরূপ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত এভিডেভিড গ্রহনযোগ্য।
স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যু জনিত কারনে এবং পরবর্তীতে পুনরায় বিবাহ জনিত কারনে কোনো বিবাহিত নারী বা পুরুষ তার স্বামী বা স্ত্রীর নাম পরিবর্তন করতে চাইলে তাকে পূর্বের স্বামী বা স্ত্রীর অনলাইন মৃত্যু সনদ, পরবর্তীতে পুনরায় বিবাহের কাজী অফিস কর্তৃক প্রদত্ত কাবিননামা এবং পরবর্তী স্বামী বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
তালাক জনিত কারনে কোনো বিবাহিত নারী বা পুরুষ তার স্বামী বা স্ত্রীর নাম বিয়োজন করতে চাইলে এবং তার বৈবাহিক অবস্থা বিবাহিত এর স্থলে তালাকপ্রাপ্ত করতে চাইলে তাকে স্বামী বা স্ত্রীর সাথে কাজী অফিস কর্তৃক প্রদত্ত তালাকনামা দাখিল করতে হবে। ইসলাম ধর্মালম্বীদের অবশ্যই কাজী অফিস কর্তৃক প্রদত্ত তালাকনামা প্রদান করতে হবে। তালাকের নোটিশ বা এভিডেভিড গ্রহনযোগ্য নয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বী ক্ষেত্রে ডিভোর্সের কোনো সুনির্দিষ্ট ডকুমেন্ট নেই বিধায় ডিভোর্সের প্রমানস্বরূপ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক এভিডেভিড গ্রহনযোগ্য।
স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যু জনিত কারনে কোনো বিবাহিত নারী বা পুরুষ তার স্বামী বা স্ত্রীর নাম বিয়োজন করতে চাইলে এবং তার বৈবাহিক অবস্থা বিবাহিত এর স্থলে বিধবা বা বিপত্নীক করতে চাইলে তাকে স্বামী বা স্ত্রীর অনলাইন মৃত্যুসনদ দাখিল করতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামী/স্ত্রীর নাম সংশোধন সংক্রান্ত আবেদনের জন্য ১১৫/- সরকারি ফি জমা দিতে হবে।
Habibur
টুম্পা মল্লিকের এনআইডি কাডের প্রয়োজন
প্রথমে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। অতপর স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড বের করা যাবে।