ব্যাংক ঋণের জামিনদার/ গ্যারান্টর ২০২৩ । লোন জামিনদারের সিআইবি প্রভাব পড়বে কি?

ব্যাংক ঋণের জামিনদার/ গ্যারান্টর ২০২৩ । লোন জামিনদারের সিআইবি প্রভাব পড়বে কি?

ব্যাংক ঋণ গ্রহীতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে গ্যারান্টরকে পরিশোধ করতে হবে- গ্রহীতা খেলাপী হতে গ্যারান্টর পরিশোধে ব্যর্থ হতে সেও খেলাপী চিহ্নিত হবে – ব্যাংক ঋণের জামিনদার/ গ্যারান্টর ২০২৩

ব্যাংক জামানত বা জামিনদার কে? প্রদত্ত ঋণের অর্থ ফেরত না পেলে ব্যাংককে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তাই ব্যাংক ঋণ বা অগ্রিমের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে প্রদত্ত ঋণ বা অগ্রিমের বিপরীতে কোনো মূল্যবান সম্পদ বন্ধক রাখার বা ঋণগ্রহীতার ব্যক্তিগত বা কোনো তৃতীয়পক্ষের ব্যক্তিগত জামিনের যে বন্দোবস্ত করা হয় তাকে ঋণের জামানত বলে। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে আপনার কলিগ বা আত্মীয়ের ঋণ আপনি পরিশোধ করতে বাধ্য থাকিবেন এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার নামই গ্যারান্টি বা জামিন হওয়া বুঝায়।

ব্যাংক ঋণের জামিনদার/গ্যারান্টর হওয়ার পূর্বে কোন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে? ঋণগ্রহীতার ঋণ গ্রহণের কারণ/উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত হতে হবে। ঋণগ্রহীতার গৃহীতব্য ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা আছে কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। জামিনদার হওয়ার পূর্বে ঋণ/জামানত সংক্রান্ত চুক্তির শর্তাবলী ভালো করে পড়ে বুঝে নিতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ/আইনজ্ঞের মতামত নিতে হবে । ঋণের শর্তাবলী লেখা নেই এমন কোনো সাদা কাগজে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকুন । মূল ঋণগ্রহীতা খেলাপি হলে আপনিও খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন । আপনার সিআইবি রিপোর্টে এর প্রভাব পড়বে।  ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে আপনি তা পরিশোধ করতে বাধ্য হবেন । তাই উক্ত ঋণ পরিশোধে আপনি সক্ষম কিনা তা ভেবে দেখুন ।

তারাহুরো করে গ্যারান্টর হতে যাবেন না- জামিনদার হওয়ার পূর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে- লিখিতভাবে জামিনদারের সম্ভাব্য দায়ের ধরণ ও পরিমাণ সম্পর্কে জানা আপনার অধিকার। ঋণের শর্তাবলী এবং জামিনদারের দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত হওয়া আপনার অধিকার। জামিনদার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালিত না হলে বা কোনো প্রকার হয়রানি করা হলে ফোন করুন ১৬২৩৬ নম্বরে  অথবা, ই-মেইল করুন bb.cipc@bb.org.bd ঠিকানায়।

গ্যারান্টর হলেই কি ঋণ পরিশোধের দায় নিতে হবে? / হ্যাঁ। আপনার বন্ধু বা কলিগের গ্যারান্টর বা জামিনদার মানেই আপনি ঐ ঋণ পরিশোধ করতে বাধ্য যদি ঋণ গ্রহীতা পরিশোধ করতে বাধ্য হয়।

কারও গ্যারান্টর হলেও ব্যক্তিগত ঋণ সীমা কমে যায় এবং আপনি ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে জামানতের অর্ধেক আপনার হিসাবে যোগ হবে।

Caption: Notice for Bank Loan Guarantor

ব্যাংক ঋণের গ্যারান্টর বা জামানতদার । গ্যারান্টর ফর্মে কি কি লেখা থাকে?

  1. গ্যারান্টির আওতায় হোলসেল সাধারণ জমি ক্রয়/গৃহ নির্মাণ/ফ্ল্যাট ক্রয়/বাড়িক্রয়/গৃহ মেরামত বাবদ গৃহীত ঋণের কিস্তি প্রদানে ব্যর্থ হইলে উক্ত ঋঋণের সমুদয় অর্থ (সুদসহ) ঋণের নীতিমালা মোতাবেক বিরতিহীন ভাবে বা এককালীন পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবো ।
  2. ঋণ অবশিষ্ট টাকা থাকা অবস্থায় ঋণ গ্রহণকারী চাকুরীচ্যুত হইলে বা মৃত্যুবরণ করিলে ঋণের অবশিষ্ট টাকা সুদ- আসলে তাহার আনুতোষিকের প্রাপ্য টাকা হইতে ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে পুনঃনির্ধারিত হারে এককালীন পরিশোধিত না হইলে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত নিয়মে পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিব ।
  3. সুদ আসল সহ ঋণের সমুদয় অর্থ গ্রহীতা কর্তৃক আদায় করা সম্ভব না হইলে আমার প্রাপ্য আনুতোষিক, গোষ্ঠি বীমা, কল্যাণ তহবিল বা অন্যান্য প্রাপ্য অর্থ হইতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তন করিতে পারিবে ।
  4. আমার প্রাপ্য আনুতোষিক, গোষ্ঠি বীমা, কল্যাণ তহবিল বা অন্যান্য প্রাপ্য অর্থ হইতে ঋণ গ্রহণকারীর অপরিশোধিত ঋণ (সুদ-আসলসহ) পরিশোধ না হইলে আমি আমার নিজস্ব স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া অর্থ পরিশোধে বাধ্য থাকিব। এক্ষেত্রে আমার ওয়ারিশগণ কর্তৃক কোন বাধা গ্রাহ্য হইবে না এবং কোন আইনানুগ কার্যক্রম এই প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করিতে পারিবে না ।
  5. জনাব… এর অবর্তমানে ঋণ অবশিষ্ট থাকা অবস্থায় আমি যদি মৃত্যুবরণ করি তাহা হইলে ঋণের অবশিষ্ট টাকা ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে পুনঃনির্ধারিত হারে সুদ-আসলে আমার ওয়ারিশগণ দিতে বাধ্য থাকিবে এবং কোন আইনানুগ কার্যক্রম এই প্রক্রিয়ার বাধা সৃষ্টি করিতে পারিবে না।
  6. আমি পূর্বে অন্য কোন ঋণ গ্রহীতার জামিনদার হই নাই ।

ব্যাংক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র লাগে?

যে ডকুমেন্টগুলো ছাড়া আপনি ব্যক্তিগত ব্যাংক লোন পাবেন না। আবেদনকারীর রঙিন ফটো ২ কপি (পাসপোর্ট সাইজ)। আবেদনকারীর আইডি কার্ড ফটোকপি -২ কপি (জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি)। জিম্মাদারের রঙিন ফটো ২ কপি-গ্যারান্টরের পাসপোর্ট সাইজের ছবি। জিম্মাদারের আইডি কার্ড ফটোকপি-২ কপি -গ্যারান্টরের জাতীয় পরিচয়পত্র কপি। স্পাউজ গ্যারান্টরের (স্ত্রী/স্বামী) রঙিন ফটো ২ কপি। স্পাউজ গ্যারান্টরের (স্ত্রী/স্বামী)আইডি কার্ড ফটোকপি-২ কপি। ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প। ৩০০ টাকার এডেসিভ স্ট্যাম্প। ১০ টাকার রেভেন্যু স্ট্যাম্প-৭ টি = ৭০ টাকা। প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যালেন্স সার্টিফিকেট। জিম্মাদার ও ঋণগ্রহীতার স্বাক্ষরিত ব্ল্যাঙ্ক চেক।

ব্যাংক ঋণের সুদের হার ২০২৩ । আমানত ও ঋণের সুদের হার কি বাড়তেই থাকবে?ঘরে বসে ঋণ পাওয়ার উপায় ২০২৩ । অনলাইনে কোন কোন ব্যাংক ঋণ দেয়?ডাচ-বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন ২০২৩ । ব্যাংক ঋণ নিতে কি কি কাগজপত্র লাগে?

ব্যাংক ঋণ চার্জ ডকুমেন্ট । স্বাক্ষরের সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে NID এর সাথে মিলাতে হবে?

One comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *