পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রমের বাস্তবায়ন নির্দেশনা । ১০ টাকা সার্ভিস চার্জে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত এক বছর মেয়াদী ঋণ বিতরণ
দারিদ্র বিমোচনে সমাজসেবা অধিদফতরের ঋণ বিতরণ স্কিম – সুদ বিহীন এ ঋণ প্রদান করা হয় – পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রমের বাস্তবায়ন নির্দেশনা
পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রমের কৌশলগত উদ্দেশ্য- সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। নারীর ক্ষমতায়ন, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা। সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান এবং নারীদের সুসংগঠিত করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা। ইউনিয়ন ও মাতৃকেন্দ্রের গ্রাম নির্বাচন পদ্ধতি অনুসরণ করা। তুলনামূলকভাবে অনুন্নত ও আর্থ-সামাজিক অবস্থায় পিছিয়ে পড়া এলাকাকে মাতৃকেন্দ্রের গ্রাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। গর্ভবতী মায়ের সরকারি ভাতা ২০২৩
যে সমস্ত গ্রামে সরকারি অথবা বেসরকারি পর্যায়ে কোনাে দারিদ্র্য বিমােচন কর্মসূচি নেই কিংবা তুলনামূলক কম, ঐ সকল গ্রামকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য গ্রাম নির্বাচন চূড়ান্ত করতে হবে। পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালার আলােকে নির্বাচিত গ্রামের পরিবার জরিপ (আর্থ সামাজিক অবস্থার বিবরণী) সম্পাদন করতে হবে। গর্ভবতী ভাতা ২০২২ । মাতৃত্বকালীন ভাতার (২০২২-২০২৩) আবেদন করতে ইউপিতে খোঁজ নিন
মাতৃকেন্দ্রের লক্ষ্যভূক্ত জনগােষ্ঠির ক শ্রেণীভূক্ত দরিদ্রতম ও বিত্তহীন পরিবারের মহিলা সদস্যদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ তহবিল হতে ঋণ প্রদান করা হবে। প্রতি সদস্যকে স্কীম ভেদে ১০,০০০ (দশ হাজার) হতে ৩০,০০০/-(ত্রিশ হাজার) টাকা পর্যন্ত এক বছর মেয়াদী ঋণ প্রদান করা যাবে । ঋণগ্রহনেচ্ছুক নারীদের বয়স হবে ১৮ হতে ৫০ বছর। যে সকল সদস্য মাতৃকেন্দ্রের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের সার্বিক দিকগুলাে পালন করেন তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ প্রদানের জন্য নির্বাচন করতে হবে।
একজন সদস্যকে সর্বোচ্চ তিনবার ঋণ প্রদান করা যাবে। লক্ষ্যভুক্ত সকল সদস্যকে চাহিদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির সুবিধা প্রদান করা হবে। মাতৃকেন্দ্র তহবিল গঠণের লক্ষ্যে ঋণ গ্রহীতার নিকট হতে বার্ষিক শতকরা ১০ টাকা হারে সার্ভিস চার্জ আদায় করা হবে। ঋণদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
প্রতি অর্থ বছরে কিস্তিতে কিস্তিতে বিপুল অর্থ ছাড় করা হয় / চতুর্থ কিস্তিতে ১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মাতৃকেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালনার স্থান :মাতৃকেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের গণমিলনায়তন কেন্দ্রসমূহ ব্যবহার করা হবে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট মাতৃকেন্দ্রের সম্পাদিকা কিংবা সভানেত্রীর গৃহে অথবা স্থানীয় কোন গণ্যমান্য ব্যক্তির বৈঠকখানা ব্যবহার করা যাবে।
পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রমের আওতায় পরিবার বলতে একান্নভুক্ত (একই সাথে বসবাসকারী স্বামী-স্ত্রী, সন্তান, মাবাবা, ভাই-বােন এবং পােষ্য) পরিবারকে বুঝাবে।
পল্লী মাতৃকেন্দ্রের কার্যাবলী । লক্ষ্যভূক্ত পরিবার ও তার কার্যাবলী কি কি?
- আবাসস্থল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা;
- নিজস্ব জমি থাকলে সে জমিতে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানাে;
- বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানি এবং আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন পদ্ধতির ব্যবহার;
- স্কুলগামী ছেলেমেয়েদের স্কুলে প্রেরণ ও ঝরে পড়া রােধ;
- পরিবারের সদস্য যাতে অসামাজিক কাজে জড়িয়ে না পড়ে সে জন্য ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা এবং
পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ়করণ; - বয়স্ক নিরক্ষরদের স্বাক্ষরজ্ঞান লাভ;
- শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং পারিবারিক স্বাস্থ্য ক্লিনিকে সেবা গ্রহণ;
- এইচ.আই.ভি (এইডস) প্রতিরােধে সচেতন থাকা;
- পরিবেশ দূষণ রােধে সচেতন থাকা;
- যথাসময়ে শিশুদের রােগ প্রতিষেধক টিকা দানের ব্যবস্থা নেয়া;
- গর্ভবতী/প্রসূতি মায়ের টিকাদানসহ যত্ন নেয়া;
- প্রযােজ্য ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে পরিকল্পিত পরিবার গঠন;
- বাল্য বিবাহ রােধ ও বহুবিবাহ নিরুৎসাহিতকরণ;
- যৌতুক গ্রহণ ও প্রদান না করা;
- নারী নির্যাতন রােধে কার্যকর ভূমিকা পালন করা ও এসিড সন্ত্রাস সম্পর্কে সচেতন হওয়া;
- এতিম, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণদের প্রতি যত্নবান হওয়া;
- প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও যােগাযােগ রক্ষা করা;
- নিয়মিত মাতৃকেন্দ্রের সভায় যােগদান;
- সেবা/উন্নয়নমূলক কাজে নেতৃত্ব সৃষ্টিতে উদ্বুদ্ধকরণ;
- পরিবারের সকল সদস্য মিলে উন্নত পারিবারিক পরিবেশ গড়ে তােলা;
- খেলাধুলা ও চিত্তবিনােদনমূলক কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ;
- সঞ্চয়ী মনােভাব গড়ে তােলা এবং নিয়মিত সঞ্চয় জমাকরণ;
- পরিবারের প্রত্যেক সদস্য কোনাে না কোনােভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থেকে পরিবারের আয় বৃদ্ধি করা; স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য সক্ষমতা অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান;
- শিশু শ্রম বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন ;
- সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মাদক মুক্ত পরিবার গঠন; এবং
- শিশুর জন্ম নিবন্ধন।
প্রার্থী বাছাই হবে কিভাবে?
মাতৃকেন্দ্র মূলত গ্রামীণ দুঃস্থ নারীদের সংগঠন। প্রতিটি মাতৃকেন্দ্ৰভুক্ত গ্রামের ‘ক’ ও ‘খ’ শ্রেণীভুক্ত পরিবার হতে নূ্যনতম ২০ (বিশ) জন সদস্য নিয়ে মাতৃকেন্দ্র গঠন করা হবে। সরকারি বা বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত কোন ব্যক্তি মাতৃকেন্দ্রের সদস্য হতে পারবেন না। কার্যক্রমভুক্ত এলাকায় নিয়মিত বসবাস করেন কেবল তারাই মাতৃকেন্দ্রের সদস্য হতে পারবেন। লক্ষ্যভুক্ত পরিবারের ১৪ হতে ৫০ বছর বয়স্ক নারীগণ মাতৃকেন্দ্রের সদস্য হতে পারবেন। সদস্য নির্বাচনের সময় তালাকপ্রাপ্ত, স্বামী পরিত্যক্ত ও নির্যাতিত নারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। উক্ত গ্রামের অন্যান্য দুঃস্থ নারীদেরও পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।
সম্পূর্ণ পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রমের বাস্তবায়ন নির্দেশনা: ডাউনলোড
https://technicalalamin.com/%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AE/