সরকারি কর্মচারী ও পরিবার ব্যক্তিবর্গের অবশ্যই পেনশন নীতিমালা ও আইন জেনে রাখা উচিৎ কারণ কর্মচারীর মৃত্যুর পর অজ্ঞতার কারণে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয় – পেনশন সংক্রান্ত আইন ও বিধি
পেনশন কি? – পেনশন বলতে সরকারি চাকরি শেষে একজন চাকরিজীবী পেনশন বা মাসিক ভিত্তিতে একটি ভাতা পেয়ে থাকেন। তাহাই পেনশন নামে পরিচিত। প্রকৃত পক্ষে মাসিক পেনশন ভাতা ও আনুতোষিক দুটোর সমন্বয়কে পেনশন বলা হয়। পেনশন পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো সরকারি নিয়মকানুন অনুসারে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট চাকরিকাল অতিবাহিত করতে হবে।
পেনশন সহজীকরণ নীতিমালায় কি আছে? প্রেষণ/ লিয়েন থাকালীন লীভ স্যালারি ও পেনশন কন্ট্রিবিউশন রুলস।বিতর্কিত চাকরিকাল কি হবে সে বিষয়ে বিধি। পেনশন কেইস নিষ্পত্তির অগ্রগতি পরিদর্শন ও মনিটরিং।সাময়িক পেনশন প্রদান করা হবে কখন। চিকিৎসা ভাতা উৎসব ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা প্রদান সংক্রান্ত আইন। পারিবারিক পেনশন বিধিমালা। অবিবাহিত, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত কন্যার পেনশন প্রাপ্তির বয়স সীমা।আত্মহত্যার ক্ষেত্রে পেনশন কেমন হবে। পেনশন সম্পর্কিত সমস্ত ফরম ও বিধিমালা পেনশন সহজীকরণ নীতিমালা ২০২০ এ সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
স্ত্রী মারা গেলে স্বামীও কি পেনশন পায়? হ্যাঁ। আজীবন পাবে, তবে পেনশনারের অবসর গ্রহণ হতে ১৫ বৎসরের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে, স্বামীর পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে এমন আইন পূর্বে থাকলেও এখন তা আজীবন করা হয়েছে। মোট পেনশন ১৬আনা। স্ত্রী সন্তান মিলে ৪ জনের অধিক হলেই ২ জন স্ত্রী ৪+৪ আনা পাবে, বাকী ৮ আনা সমান হারে সন্তানদের মাঝে বন্টন হবে। অর্থাৎ ১ম স্ত্রী ৪ আনা আর ২য় স্ত্রী সন্তানদের অংশ সহ (৪+৮)=১২ আনা পেনশন পাবে।
যে কোন সময় কর্মচারীর মৃত্যুতে কি পেনশন পাওয়া যায়? / পেনশন পাওয়ার ও দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়ম কানুন রয়েছে যা অনুসরণ করা হয়।
পেনশন পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ৫ বৎসর চাকরি করতে হবে। স্বেচ্ছায় পেনশনে যাওয়ার জন্য ন্যূনতম ২৫ বছর চাকরি করতে হবে।
আর্থিক অনুদান প্রদান নীতিমালা ২০২০(সংশোধিত) পিডিএফ ডাউনলোড
পেনশন সংক্রান্ত সকল আদেশ । আবেদন ফরম, চেকলিস্ট ও যাচাই তালিকা দেখুন
- ৬৫ বছরের উর্ধ্ধে পেনশনারদের ভাতা সংক্রান্ত
- সকল সাধারণ আপত্তি নিস্পত্তি প্রসঙ্গে
- পেনশন সহজিকরন সংক্রান্ত পরিপত্র
- উৎসব ভাতা ৫% হারে বর্ধিতকরণ সংক্রান্ত পরিপত্র
- পেনশন সহজিকরণ আদেশ ২০২০ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন
- পেনশন মঞ্জুরি তে বিলম্বকরন সংক্রান্ত পরিপত্র
- পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন
- মাসিক পেনশন পুনস্থাপন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন
- শতভাগ পেনশন সমর্পণের ক্ষেত্রে ভাতা সংক্রান্ত পরিপত্র
- সরকারী কর্মচারীগণ পিআরএল-এ গমনের পর কতদিন পর্যন্ত সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ)-এর সুবিধা প্রাপ্য হবেন ইত্যাদি বিষয়সমূহ স্পষ্টীকরণ।
- পিআরএল কাল পেনশনযোগ্য কিনা, এসময়ে প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা, অবসর, পিআরএল ও চূড়ান্ত অবসর গ্রহণের তারিখ ইত্যাদি বিষয় স্পষ্টীকরণ।
- Office Order Related to PRL
- (প্রজ্ঞাপন) অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুদান ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকার স্থলে ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টাকায় পুন:নির্ধারণ।
- বেসামরিক প্রশাসনে চাকরিরত অবস্থায় কোনো সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুবরণ এবং গুরুতর আহত হয়ে স্থায়ী অক্ষমতাজনিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর আর্থিক অনুদান প্রদান নীতিমালা ২০২০(সংশোধিত) এর আবেদন ফরম, চেকলিস্ট ও যাচাই তালিকা।
জন্ম তারিখ হিসাব করে কিভাবে পেনশন সময় নির্ধারিত হয়?
অবসরজনিত পেনশন – চাকরির বয়স যাই হোক না কেন আপনার বয়স যদি ৫৯ বছর অতিক্রম করে তবে আপনাকে পেনশনে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জন্ম তারিখের সাথে ৫৯ যোগ করে পেনশন তারিখ বের করা হয়। বার্ধক্য জনিত পেনশনের তারিখ বের করার নিয়ম- আপনার জন্ম তারিখ যদি ০৬-১২-১৯৬৫ হয়ে থাকে তবে ১৯৬৫+৫৯ = ২০২৪ সালে পেনশনে যাবে। ০৬/১২/২০২৪ তারিখ হতে আপনার অবসর উত্তর ছুটি শুরু হবে আপনি চাইলেও বা না চাইলেও।
পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০২০ । পেনশন সহজীকরণ নীতিমালা PDF । পেনশন বিধিমালা ২০২৩