পাসপোর্ট সংশোধন ফরম ২০২৩ । পাসপোর্ট সংশোধণ করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?

পাসপোর্ট সংশোধন ফরম ২০২৪ । পাসপোর্ট সংশোধণ করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?

ই পাসপোর্টের সংশোধন আবেদনের সময় DATA CHANGE অপশনটি ড্রপডাউন মেন্যু থেকে সিলেক্ট করে ePP করে দিতে হবে – পাসপোর্ট সংশোধন ফরম ২০২৪

ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম কি? পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিলের জন্য দরখাস্ত জমা দেওয়ার দিনই আবেদনকারীর মোবাইলে ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিলের বিষয়ে এসএমএস চলে আসবে। এবার আবেদনকারীকে পাসপোর্ট আবেদনের ওয়েবসাইটে তার নিজের অ্যাকাউন্টে লগইন করতে হবে। ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিলের এসএমএস যেহেতু চলে এসেছে, সেহেতু অ্যাকাউন্টে আবেদনের অংশে লাল অক্ষরে স্ট্যাটাস ক্যানসেল দেখাবে। এরপরই থাকবে ডিলিট অপশন, যেটি প্রেস করার মাধ্যমে পুরো আবেদনটি নিজের অ্যাকাউন্ট তথা অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলা যাবে। এরপর সঠিক তথ্য দিয়ে নতুন করে আবার ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইন আবেদন করা যাবে।

ই পাসপোর্ট আবেদনের অবস্থা জানার উপায় কি? ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিল হতে প্রায়ই একটু সময় নিতে পারে। কখনো কখনো ২৪ ঘণ্টার মতো দীর্ঘ সময়ও লেগে যেতে পারে। আবেদন ডিলিট করার পরও প্রায় সময় নতুনভাবে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায় না। মূলত পাসপোর্ট সার্ভারের ত্রুটির কারণে এরকমটা হয়ে থাকে। এই সমস্যাগুলোর বেলায় বার বার চেষ্টা না করে একটু বেশি সময় অপেক্ষা করে চেষ্টা করতে হবে। এই সময়টি ৩ থেকে শুরু করে কখনো কখনো ৭ দিন লেগে যেতে পারে। এই সময়ে ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিল হয়েছে কিনা তা নিয়মিত অনলাইনে যাচাই করা যেতে পারে। এর জন্য পাসপোর্ট আবেদনের ওয়েবসাইটের চেক স্ট্যাটাস মেন্যুতে যেতে হবে। ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করুন

ই-পাসপোর্ট আবেদন সাবমিট করার পর ভুল ধরা পড়লে? ই-পাসপোর্ট আবেদন পরিপূর্ণভাবে শেষ করে তা ডাউনলোড করে প্রিন্ট করার পর দেখা গেল তাতে ছোট্ট একটি ভুল আছে। এ অবস্থায় মূলত ২ পদ্ধতিতে ভুল সংশোধনের চেষ্টা করা যেতে পারে। (১) নিতান্ত উপেক্ষণীয় ভুলের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কম্পিউটার অপারেটরকে অনুরোধ করে ভুলটি সংশোধন করে নেওয়া যেতে পারে। ছোট ছোট ভুল নিয়ে তেমন সমস্যা সৃষ্টি হবে না। তবে বড় ভুল হলে পাসপোর্ট অফিস আবেদনই গ্রহণ করতে চাইবে না। (২) বড় ভুলটি সংশোধনের জন্যও পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাকে অনুরোধ করে দেখা যেতে পারে। যদি তিনি সংশোধন করে দেন তাহলে তো ভালোই, আর তা না হলে শেষ উপায় হচ্ছে আবেদনপত্র বাতিল করবেন। পরবর্তীতে নতুন করে আবেদন করবেন।

অনলাইনেই পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন করতে হবে / ফি সহ অন্যান্য ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।

যে ধরণেরই পাসপোর্ট হোক না কেন MRP বা E passport, পাসপোর্ট সংশোধন বা রিনিউ করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ই পাসপোর্ট আবেদনে সকল তথ্য জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসারে দিতে হবে। যেহেতু এটি সংশোধন বা রিনিউ আবেদন সেহেতু ID Documents অপশন থেকে পুরাতন পাসপোর্টের তথ্য দিয়ে আবেদনটি Submit করুন।

পাসপোর্ট সংশোধন ফরম ২০২৩ । পাসপোর্ট সংশোধণ করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?

Caption: Apply for Correction of Your passport

পাসপোর্ট সংশোধন ডকুমেন্টস । পাসপোর্ট সংশোধণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি যা লাগবে

  1. অনলাইন আবেদন ফরম এবং Appointment / শিডিউলপত্র ( Print summary); ব্যাংক চালান (অনলাইন কিংবা SMS এর মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি জমাদানকারী গ্রাহকগণকে পাসপোর্ট এর আবেদনপত্রের সাথে চালানের প্রিন্ট কপি সংযুক্ত করবেন [পুন: আবেদনকৃত]); অফলাইন ফরম ডাউনলোড করুন
  2. জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ (ইংরেজি ভার্সন) মূলকপি ও ফটোকপি (১৮-২০ বছরের মধ্যে);
  3. পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
  4. তথ্য সংশোধনের জন্য অঙ্গীকারনামা (অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে); NID/BRC Online Verified copy;
  5. পূর্বের পাসপোর্ট (মূল ও ফটোকপি)/পাসপোর্ট হারানো জিডির মূলকপি;
  6. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
  7. স্বামী/স্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত/ডিভোর্স হলে ম্যারেজ/ডিভোর্স সার্টিফিকেট/ মৃত্যু সনদ;
  8. NOC/GO আবেদনকারীগণের ক্ষেত্রে চাকুরিতে প্রবেশের সময় তথ্যাদি জমা দেন বিধায় এ ধরনের তথ্য পরিবর্তনের আবেদন বিবেচনার কোন অবকাশ নেই। তবে যারা চাকুরির পূর্বে পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন, তাদের প্রমাণক পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক তথ্য সংশোধন করা যেতে পারে;
  9. সরকারী চাকুরিজীবীগণ অবসর প্রাপ্ত হলে অবসর গ্রহণের প্রমাণক দাখিল করতে হবে;
  10. ০৬ (ছয়) বছর বয়সের নিচের আবেদনকারীর ক্ষেত্রে 3R সাইজের ০১ (এক) কপি ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ড রঙ্গীন ছবি দাখিল করতে হবে;
  11. বর্তমান ঠিকানার স্বপক্ষে যথাযথ প্রমাণক দিতে হবে (বিদ্যুৎ/গ্যাস/ওয়াসার বিলের কপি);

ই পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?

পাসপোর্ট সংশোধন বা নতুন পাসপোর্ট করতে একই পরিমাণ অর্থ লাগে। পাসপোর্ট সংশোধন করতে নতুন পাসপোর্ট ফি অনুযায়ী ৪,০২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০,৩৫০ টাকা (ভ্যাট সহ) প্রয়োজন হবে। সংশোধনের জন্য আলাদা এবং অতিরিক্ত কোন ফি প্রযোজ্য নয়। পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য শুধুমাত্র পাসপোর্ট ফি এ চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। পাসপোর্ট সংশোধন মানেই আপনাকে পুনরায় নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে তা সাধারণ বা ই পোসপোর্ট হোক না কেন।

পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩ । নতুন পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *