বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ২০২৪ । নাতি-নাতনীগণও কি ভার্সিটি ভর্তি কোটা পায়?
জাবিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫% সংরক্ষণ করা হয় এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রদর্শন করতে হয়- বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ২০২৪
মুক্তিযোদ্ধা কোটা কত শতাংশ?– মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৫% নির্ধারিত যদি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাওয়া না যায় তবে নাতি-নাতনীও গ্রহণযোগ্য। বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যাদের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল সনদপত্র অথবা নম্বরপত্রসহ মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও ভর্তিপরীক্ষার প্রবেশপত্র, সাবজেক্ট চয়েস ফরমের ফটোকপি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচিতির প্রমাণক হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত ডিজিটাল সার্টিফিকেট/এমআইএস কপি (ওয়েব সাইট http://mis.molwa.gov.bd/freedom fighter-list থেকে) ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত (ওয়েব সাইট http://mis.molwa.gov.bd combined list থেকে) বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকার কপি (যে পাতায় মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে সেই পাতা) ডাউনলোড করে আনতে হবে।
জাবি ভর্তির জন্য নির্বাচন পদ্ধতি কি? লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে নিম্নের (খ)-এ বর্ণিত প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে মোট সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিট/বিভাগের আসন সংখ্যার সর্বাধিক ১০ (দশ) গুণ শিক্ষার্থীর পৃথক তালিকা মেধা অনুযায়ী প্রণয়ন করা হবে। C1 ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগের চূড়ান্ত মেধাক্রম ব্যবহারিক পরীক্ষার পরে প্রকাশ করা হবে। গ্রেডিং পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-কে ১.৫ দ্বারা এবং উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-কে ২.৫ দ্বারা গুণ করে ফল তৈরি করা হবে।
ইংরেজী মাধ্যমে কত গ্রেড লাগে? মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষার্থে ০ লেভেল এবং A লেভেল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে A গ্রেডের জন্য ৫, B গ্রেডের জন্য ৪, C গ্রেডের জন্য ৩.৫ এবং D গ্রেডের জন্য ৩ পয়েন্ট গণ্য করা হবে। উল্লিখিত গ্রেডিং/পয়েন্ট ব্যতিত অন্য কোনো গ্রেড পয়েন্ট থাকলে সেক্ষেত্রে আইআইটি’র গ্রেডিং সমতা নির্ধারণী কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের সময়সূচি পরবর্তীসময়ে ওয়েবসাইট ju-admission.org এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশপত্র, মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং সাধারণ বলপেন ছাড়া কোনো প্রকার ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ঘড়ি ও অন্য কোনো সহায়ক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। এসব ডিভাইস পাওয়া গেলে অথবা কোন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করলে এবং যে কোন পর্যায়ে তা ধরা পড়লে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, সময় দেখার জন্য পরীক্ষার হলে ঘড়ির ব্যবস্থা থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাকি নাতি প্রাধান্য পাইবে? / বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা/নাতি-নাতনি কোটায় ১ম বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের সাক্ষাতকার দিতে হয়
প্রাথমিকভাবে সাক্ষাৎকারের জন্য নির্বাচিত কোনো শিক্ষার্থীর নাম একাধিক ইউনিটে থাকলে একবার সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করলেই সে সবকটি ইউনিটে উপস্থিত হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।
Caption: Full Circular 2024
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভার্সিটি ভর্তি ২০২৪ । কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে
- নাতি-নাতনিদের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল সনদপত্র অথবা নম্বরপত্রসহ মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও ভর্তিপরীক্ষার প্রবেশপত্র, সাবজেক্ট চয়েস ফরমের ফটোকপি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি পরিচিতির প্রমাণক হিসেবে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা/ জেলা প্রশাসকের সাম্প্রতিক প্রত্যয়নপত্র সঙ্গে আনতে হবে।
- নাতি/নাতনি প্রমাণের জন্য দাদা/দাদী অথবা নানা/নানী এবং বাবা/মা -এর জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে হবে।
- পরীক্ষার্থীর মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামীর নাম উল্লেখ থাকলে মায়ের জন্মনিবন্ধন কার্ডের কপি নিয়ে আসতে হবে।
- উল্লেখ্য যে, মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা/নাতি-নাতনি উভয়ের ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত কাগজপত্রের ১ সেট ফটোকপি সাক্ষাৎকারের সময় জমা দিতে হবে।
- বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা/নাতি-নাতনি কোটায় সাক্ষাৎকারের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট www.ru.ac.bd তে পাওয়া যাবে। রেফারেন্স ডকুমেন্ট
কোন ক্ষেত্রে কত শতাংশ কোটা আছে?
প্রতিবন্ধি কোটা-২% যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নের মূল কপি ভর্তির সময় প্রদর্শন করতে হবে। (শিক্ষক/শিক্ষিকা ও কর্মচারী কোটা-২%) শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান এবং সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা/কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২ (দুই)% কোটা সংরক্ষিত থাকবে।তবে এক্ষেত্রে আবেদন জমা দেয়ার পূর্বে মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক অনু বিভাগ থেকে প্রত্যয়ন নিতে হবে। সহোদর/সহোদরা/যমজ ভাইঃ এই ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন সংরক্ষিত থাকবে না। কিন্তু প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সাপেক্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে আসন শূন্য থাকার প্রেক্ষিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।