শিক্ষা বৃত্তি আবেদনের সময় বৃদ্ধি ২০২৪ । সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির আবেদনের টাইম বৃদ্ধি!
সরকারি কর্মচারীদের সন্তানের জন্য অনলাইনে শিক্ষা বৃত্তির আবেদন করা যায়- এটির সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে– শিক্ষা বৃত্তির আবেদন সময় বৃদ্ধি ২০২৪
আবেদনের পর হার্ডকপি পাঠাতে হবে কি? ১৩-২০ গ্রেডে কর্মরত সরকারি ও বাের্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মচারীর সন্তানদের ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধ্যয়নরত অনধিক ২ (দুই) সন্তানের জন্য শিক্ষাবৃত্তি এবং সরকারি ও বাের্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত কর্মচারীর ৯ম শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধ্যয়নরত অনধিক ২ (দুই) সন্তানের জন্য শিক্ষাবৃত্তির আবেদন করতে পারবেন। শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করা যাবে, আবেদনের কোন হার্ডকপি গ্রহণ করা হবে না।
শিক্ষা বৃত্তি কত টাকা পাওয়া যায়? ৯ম ও ১০ম শ্রেণি বা সমমানের জন্য প্রতি মাসে ২০০/- টাকা। সে হিসেবে বার্ষিক ২৪০০ টাকা। একাদশ ও দ্বাদশ বা সমমানের শ্রেণির জন্য প্রতি মাসে ৩০০/- টাকা। সে হিসেবে বার্ষিক ৩৬০০ টাকা। স্মাতক বা সমমানের জন্য প্রতি মাসে ৪০০/- টাকা। সে হিসেবে বার্ষিক ৪৮০০ টাকা। স্মাতকোত্তর বা সমমানের জন্য প্রতি মাসে ৫০০/- টাকা। সে হিসেবে বার্ষিক ৬০০০ টাকা।
কত তারিখ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে? বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সরকারের অসামরিক খাতের ১৩ হতে ২০ গ্রেডে (মূল পদ গ্রেড) কর্মরত কর্মচারীর (ডাক, তার ও দূরালাপনী, বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে নিযুক্ত কর্মচারীগণ ব্যতীত) ও বোর্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় কর্মরত কর্মচারীর সন্তানদের ‘শিক্ষাবৃত্তি’ এবং সরকারি ও বোর্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত কর্মচারীর সন্তানদের ‘শিক্ষাবৃত্তি’র জন্য অনলাইনে আহবানকৃত আবেদনের সময়সীমা আগামী ১৫ মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪.০০ টা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
সরকারি ও বোর্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত কর্মচারীর সন্তানদের ‘শিক্ষাবৃত্তি’র দরখাস্ত আহবানের সময়সীমা বর্ধিতকরণ আদেশ
সরকারের অসামরিক খাতের ১৩ হতে ২০ গ্রেডে (মূল পদ গ্রেড) সরকারি এবং বোর্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় কর্মরত ১৩ হতে ২০ গ্রেড (মূল পদ গ্রেড) কর্মচারীর সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। ১১ গ্রেডের কর্মচারী আবেদন করতে পারবেন না।
Caption: শিক্ষা বৃত্তির সময়সীমা বৃদ্ধি
সরকারি শিক্ষা বৃত্তি প্রাপ্তির শর্ত ও দরখাস্ত করার নিয়মাবলী ২০২৪ । আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে?
১। ১৩-২০ গ্রেডে কর্মরত সরকারি ও বাের্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মচারীর সন্তানদের ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধ্যয়নরত অনধিক ২ (দুই) সন্তানের জন্য শিক্ষাবৃত্তি এবং সরকারি ও বাের্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত কর্মচারীর ৯ম শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধ্যয়নরত অনধিক ২ (দুই) সন্তানের জন্য শিক্ষাবৃত্তির আবেদন করতে পারবেন;
২। ঢাকা মহানগরীতে কর্মরত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর ও বিভাগের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে নিজ নিজ বিভাগীয় কার্যালয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে; বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ডের ওয়েব সাইট (www.bkkb.gov.bd ) এর “শিক্ষাবৃত্তির অনলাইন আবেদন” লিংকটিতে ক্লিক করে অথবা ব্রাউজারের এড্রেস বারে eservice.bkkb.gov.bd টাইপ করে Enter চাপুন;
৪। হােম পেজ থেকে রেজিস্ট্রেশন” বাটনে ক্লিক করলে একটি পাতা আসবে। ১৩-২০ গ্রেডে কর্মরত সরকারি কর্মচারীর সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির আবেদন করার জন্য কর্মচারীর ধরণ “কর্মরত” এবং কর্মচারীর কর্মক্ষেত্রের ধরণ পছন্দ করতে হবে। উল্লেখ্য কর্মচারীর ধরণ “কর্মরত” এবং কর্মচারীর কর্মক্ষেত্রের ধরণ “রাজস্বখাতভুক্ত” বাছাই করলে পে-ফিক্সেশন নম্বর ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিতে হবে;
৫। সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম/ অবসরপ্রাপ্ত/ মৃত কর্মচারীর সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে “অক্ষম/ মৃত/ অবসরপ্রাপ্ত” পছন্দ করতে হবে। উল্লেখ্য কর্মচারীর ধরণ “অক্ষম/ মৃত/ অবসরপ্রাপ্ত” বাছাই করলে কোন পে-ফিক্সেশন নম্বর লাগবে, শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিতে হবে;
৬। ১৩-২০ গ্রেডে কর্মরত সরকারি কর্মচারীগণকে অর্থ বিভাগের পে-ফিক্সেশন এর ভেরিফিকেশন নম্বর ও বাের্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মচারীগণ জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (১০ অথবা ১৭ ডিজিটের), মােবাইল নম্বরসহ অন্যান্য তথ্যাদি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন” বাটনে ক্লিক করার পর আপনার মােবাইল নম্বরে ৬ ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে। এই কোড নম্বরটি দিয়ে “Submit” বাটনে ক্লিক করলে “অভিনন্দন, আপনার নিবন্ধন সফলভাবে সম্পূর্ন হয়েছে” এই ম্যাসেজ টি দেখাবে। কোড প্রদানের সময়সীমা ১৫ মিনিট। অনলাইনে আবেদন করার জন্য বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ডে একবারই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে;
৭। সফটওয়্যারে লগইন করার জন্য হােম পেজ থেকে “লগইন” বাটনে ক্লিক করে মােবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে;
৮. শিক্ষাবৃত্তির আবেদন করার জন্য “শিক্ষাবৃত্তির আবেদন করতে এইখানে ক্লিক করুন এই লিংকটিতে ক্লিক করে নির্দেশাবলী অনুযায়ী পরবর্তী ধাপে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে;
৯। আবেদন ফরমের প্রতিটি কলাম যথাযথভাবে পূরণ করে কর্মচারীর ছবি ও স্বাক্ষর স্ক্যান করে আপলােড করতে হবে।
১০। ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে সংরক্ষণ করুন” বাটনে ক্লিক করে আবেদন প্রিন্ট করুন, সংশােধন করুন, ডাউনলােড করুন ৩টি বাটন পাবেন;
১১। আবেদন ফরম প্রিন্ট করার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর ও সীল, অফিস কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ও সীল এবং স্মারক নং ও তারিখ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ পূরণকৃত ফরমের স্ক্যান কপি ও ছাত্র/ ছাত্রী বিগত বাৎসরিক বাের্ড/ সেমিস্টার/ টার্ম ফাইনাল যে পরীক্ষায় পাস করেছে তার মূল মার্কশীট এর ফটোকপি ১ম শ্রেণির গেজেটেড অফিসার কর্তৃক/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্তৃক সত্যায়িত করে স্ক্যান কপি এবং কর্মচারী অবসরপ্রাপ্ত হলে অবসর গ্রহনের আদেশের অথবা মৃত হলে মৃত্যুসনদের সত্যায়িত স্ক্যান কপি “চূড়ান্তভাবে দাখিল ” বাটনে ক্লিক করে দাখিল করতে হবে। আবেদনটি সফলভাবে দাখিল হলে আবেদনকারী তাঁর মােবাইল ফোনে আবেদন গ্রহণের ডায়েরি নম্বর ও তারিখ সম্বলিত একটি ক্ষুদেবার্তা পাবেন এবং পরবর্তীতে অনলাইনে লগইন করে তার আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন;
১২। স্বামী/স্ত্রী উভয়ই সরকারি চাকরিতে কর্মরত হলে কেবল একজনই সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি লাভের জন্য আবেদন করতে পারবেন;
১৩। চাকরিরত, অনিয়মিত এবং বিবাহিত এরুপ ছাত্র/ ছাত্রীগণ এ শিক্ষাবৃত্তি লাভের যােগ্য নন;
কেন শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া হয়?
যাদের সন্তান সরকারি স্কুল কলেজে পড়াশুনা করতে পারেন না তাদের ক্ষেত্রেও আবেদন করা যাবে। মেধাবী কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থ অভাবে ভাল শিক্ষা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। ১৩-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের সন্তানদের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য মূলত বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড শিক্ষা বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে। তাছাড়া আপনার মূল বেতনে হতে প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা হারে কল্যান তহবিলে কর্তন হচ্ছে তাই আপনি যদি একটু নিডি হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই শিক্ষা বৃত্তির জন্য আবেদন করুন।
https://bdservicerules.info/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8/
Assalamu oalaikum
অলাইকুমুসসালাম
শিক্ষা বৃত্তির জন্য আবেদন করার পরে সর্বশেষ এসএমএস এ ডায়েরি নাম্বার দেওয়া থাকে ওই নাম্বার সংরক্ষণ করতে হবে। এবার অনেকেই টাকা পায়নি, কারণ জানার জন্য ডাইরি নাম্বার সংরক্ষণ অবশ্যই অতি গুরুত্বপূর্ণ। টাকা না পাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়ার জন্য বিভাগীয় কর্মচারী কল্যাণ অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। তাহলে অবশ্যই সঠিক তথ্য জানা যাবে ইনশাল্লাহ