সেহরি ও ইফতারের নিয়ত । রোজার দোয়া কবুলের সময় কখন?

সেহরি ও ইফতারের নিয়ত । রোজা অবস্থায় দোয়া কবুলের সময় কখন?

রোজায় নিয়ত করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ- সেহরি খাওয়ার পর নিয়ত করার সাথে সাথে খাওয়া বা খাদ্য আহরণ বন্ধ হয়ে যায়- ইফতারের সময় হলেই নিয়ত করার পরই কোন কিছু পান করতে হয়- এ দুটি সময় দোয়া কবুলের সময়- সেহরি ও ইফতারের নিয়ত

ইফতারের নিয়ত কোনটি? আরবি اللهم إني لك صمتُ و على رزقك أفطرتُ فتقبل مني يا كريمُ । বাংলা উচ্চারণ আল্লাহুম্মা ইন্নী লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা আফতারতু ফাতাক্বাব্বাল মিন্নি ইয়া কারীমু। বাংলা অর্থ হে আল্লাহ! তোমার জন্য আমি রোজা রেখেছি এবং তোমার রিযিক দিয়ে আমি ইফতার করছি। তুমি আমার রোজা কবুল করো, হে পরম দয়ালু।

সেহেরির নিয়ত কিভাবে করে? আরবি نَوَيْتُ أَنْ أَصُومَ غَدًا مِنْ رَمَضَانَ هَذِهِ السَّنَةِ لِلَّهِ تَعَالَى । বাংলা উচ্চারণ নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক ফারদাল্লাহু। বাংলা অর্থ আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ করি।

নিয়ত কি শব্দ করে উচ্চারণ করতে হবে? না। ইফতার ও সেহেরির নিয়ত মনে মনে করা যথেষ্ট। তবে মুখে উচ্চারণ করলে আরও ভালো। ইফতারের নিয়ত ইফতার করার আগে করা উচিত। সেহেরির নিয়ত সেহেরি খাওয়ার পূর্বে করা উচিত। নিয়তের সঠিক উচ্চারণ না জানলে অন্যের কাছ থেকে শিখে নেওয়া উচিত।

ইফতারের দোয়া বাংলা অর্থসহ । ইফতারের দোয়া আরবি । সেহরি ও ইফতারের আগে দোয়া

ইফতারের সময় রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: রোজাদারের ইফতারের সময়, ন্যায়পরায়ণ সুলতানের দোয়া এবং মজলুমের দোয়া।” (তিরমিযী) । ইফতারের সময় দোয়া কবুলের জন্য বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

Caption: Hadith

রোজায় সেহেরির সময়ের তাৎপর্য । রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “সেহেরি ও ইফতারের মধ্যে দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।” (ইবনে মাজাহ) সেহেরির সময় দোয়া কবুলের জন্য বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত

  1. রমজানের শেষ দশ দিন: রমজানের শেষ দশ দিন হলো ‘লাইলাতুল ক্বদর’-এর অনুসন্ধানের সময়। এই সময় আল্লাহ তা’আলা অগণিত বরকত ও রহমত বর্ষণ করেন। এই সময় দোয়া কবুলের জন্য বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

  2. জুমার দিন: জুমার দিন হলো সপ্তাহের সেরা দিন। এই দিন আল্লাহ তা’আলা অগণিত বরকত ও রহমত বর্ষণ করেন। জুমার দিন দোয়া কবুলের জন্য বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

  3. সিজদায়: সিজদা হলো ইবাদতের সর্বোচ্চ অবস্থা। এই সময় আল্লাহ তা’আলার কাছে দোয়া করলে দ্রুত কবুল হয়। নামাজের সিজদায় দোয়া করার জন্য বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

  4. কুরআন তেলাওয়তের পর: কুরআন তেলাওয়তের পর আল্লাহ তা’আলার কাছে দোয়া করলে দ্রুত কবুল হয়। কুরআন তেলাওয়তের পর দোয়া করার জন্য বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

  5. দু’আর সময়: দু’আর সময় হলো বৃষ্টির সময়। এই সময় আল্লাহ তা’আলা অগণিত বরকত ও রহমত বর্ষণ করেন। দু’আর সময় দোয়া কবুলের জন্য বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময় কোনটি?

রোজায় দোয়া কবুলের বিশেষ কিছু সময় রয়েছে। এই সময়গুলোতে দোয়া করলে আল্লাহ তা’আলা দোয়া কবুল করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। রাতের শেষ প্রহর- রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।” (তিরমিযী) রাতের শেষ প্রহর হলো তাহাজ্জুদের সময়। এই সময় আল্লাহ তা’আলা জাহান্নামীদের মুক্তি দান করেন এবং দোয়া কবুল করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *