গাড়ি রেজিষ্ট্রেশন এর নতুন মুল্য তালিকা ২০২৩ । গাড়ি রেজিস্ট্রেশন BRTA খরচ কত টাকা?

গাড়ি রেজিষ্ট্রেশন এর নতুন মুল্য তালিকা ২০২৩ । গাড়ি রেজিস্ট্রেশন BRTA খরচ কত টাকা?

গাড়ি রেজিস্ট্রেশন খরচ বেড়ে গেল – নতুন বছরে নতুন রেজিস্ট্রেশন ফি প্রযোজ্য হইবে-তালিকা অনুসারে ফি পরিশোধ করতে হবে – গাড়ি রেজিষ্ট্রেশন এর নতুন মুল্য তালিকা ২০২৩

মোটযান নিবন্ধন সিস্টেম কি? মোটরযানের নিবন্ধন সেবাপ্রত্যাশী সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তাঁর মোটরযানের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবেন। অত:পর বিআরটিএ অফিস কর্তৃক তাঁর আবেদন ও সংযুক্ত দালিলাদি যাচাই-বাছাই করে সঠিক পাওয়া গেলে গ্রাহককে প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন ফি জমা প্রদান করতে একটি এ্যাসেসমেন্ট স্লিপ প্রদান করা হবে এবং ফি জমা প্রদানের পর গাড়িটি পরিদর্শণের জন্য বিআরটিএ অফিসে হাজির করতে হবে।

গাড়িটি পরিদর্শণ করার পর মালিকানা ও গাড়ি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিআরটিএ ইনফরমেশন সিস্টেমে এন্টি পর সহকারী পরিচালক(ইঞ্জি:) কর্তৃক রেজিস্টেশনের অনুমোদন প্রদান করা হয় এবং রেজিস্ট্রেশন রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখপূর্বক একটি প্রাপ্তিস্বীকারপত্র, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও ট্যাক্স টোকেন প্রিন্ট করে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর করত: গ্রাহককে প্রদান করা হয়। ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট(ডিআরসি) তৈরীর নিমিত্ত গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) প্রদানের জন্য গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট অফিসে উপস্থিত হতে হবে; এজন্য গ্রাহককে তার মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে অবগত করা হয়। বায়োমেট্রিক্স প্রদানের পর ডিআরসি গ্রহণের জন্যও গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে অবগত করা হয়।

তাহলে বাড়ছে কি? গাড়ির ফিটনেস ট্যাক্স ট্যাক্স টোকেন ইত্যাদি ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে প্রায় ৫০% বৃদ্ধি করে ফি পুন: নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সড়ক পরিবহণ বিধিমালা ২০২২ জারি হওয়ায় বিভিন্ন ফি’র মধ্যে পরিবর্তন এসেছে।

অগ্রিম করের পরিমান কি বৃদ্ধি করা হয়েছে? / গাড়ির ফিটনেস ফি কত?

AIT বা অগ্রিম কর কি বৃদ্দি করা হয়েছে? না। ১৫০০ সিসির কম ক্ষমতাসম্পন্ন গাড়ির ২৫ হাজার, ১৫০০ থেকে ২০০০ সিসি পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা, ২০০০ থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত ৭৫ হাজার টাকা, ২৫০০ থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৩০০০ থেকে ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩৫০০ সিসির বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন গাড়ির ক্ষেত্রে ২ লাখ টাকা এবং মাইক্রোবাসে ৩০ হাজার টাকা অগ্রীম আয়কর রাখা হয়েছে।

গাড়ি রেজিষ্ট্রেশন এর নতুন মুল্য তালিকা ২০২৩ । গাড়ি রেজিস্ট্রেশন BRTA খরচ কত টাকা?

সড়ক পরিবহণ বিধিমালা ২০২৩ | ড্রাইভিং, যানবাহন নিবন্ধনসহ বিভিন্ন প্রকার ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে

নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে? কার রেজিস্ট্রেশনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

  1. মালিক ও আমদানিকারক/ডিলার কর্তৃক যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষর করা নির্ধারিত আবেদনপত্র [আবেদন ফরম এ ওয়েবসাইটের DOWNLOAD FORMS থেকে বা বিআরটিএ অফিস হতে সংগ্রহ করা যাবে];
  2. একাধিক ব্যক্তি যৌথভাবে কোনো গাড়ির মালিক হলে সে-ক্ষেত্রে একজনের নামে রেজিস্ট্রেশনের জন্য সকলের সম্মতি সম্বলিত হলফনামা;
  3. প্রতিষ্ঠান/কোম্পানির ক্ষেত্রে স্বাক্ষর ও সিলমোহর;
  4. ব্যাংক অথবা অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানের সাথে গাড়ির মালিকানার আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্যাডে রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন;
  5. বিল অব এন্ট্রি, ইনভয়েস, বিল অব লেডিং ও এলসিএ কপি;
  6. সেল সার্টিফিকেট /সেল ইন্টিমেশন/বিক্রয় প্রমাণপত্র (আমদানিকারক/বিক্রেতা প্রদত্ত);
  7. প্যাকিং লিস্ট, ডেলিভারী চালান ও গেইট পাশ (সিকেডি গাড়ির ক্ষেত্রে);
  8. টিন সার্টিফিকেট এবং অগ্রিম/অনুমিত আয়কর প্রদানের প্রমাণপত্র;
  9. বিদেশি নাগরিকের নামে রেজিস্ট্রেশন/মালিকানা বদলি হলে বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট এবংভিসার মেয়াদের কপি;
  10.  (ক) মূসক-১ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), (খ) মূসক-১১(ক)/ভ্যাট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), (গ) ভ্যাট পরিশোধের চালান(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে )
  11. প্রস্ত্ততকারক/বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদিত বডি ও আসন ব্যবস্থার স্পেসিফিকেশন সম্বলিত ড্রইং (বাস, ট্রাক, হিউম্যান হলার, ডেলিভারী ভ্যান, অটো টেম্পু ইত্যাদি মোটরযানের ক্ষেত্রে);
  12. সিকেডি মোটরযানের ক্ষেত্রে বিআরটিএ’র টাইপ অনুমোদন ও অনুমোদিত সংযোজনী তালিকা;
  13. বডি ভ্যাট চালান ও ভ্যাট পরিশোধের রসিদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
  14. প্রযোজ্য রেজিস্ট্রেশন ফি জমাদানের রসিদ;
  15. কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ছাড়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
  16. ব্যক্তি মালিকানাধীন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/টেলিফোন বিল/বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদির যে-কোনটির সত্যায়িত ফটোকপি এবং মালিক প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে চিঠি;
  17. নিলামে ক্রয়কৃত প্রতিরক্ষা বিভাগের গাড়ির ক্ষেত্রে লগবুকে বর্ণিত প্রস্ত্ততকাল ও প্রস্ত্ততকারকের বিস্তারিত বিবরণ সম্বলিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদত্ত ছাড়পত্র;
  18. নিলামে ক্রয়কৃত সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের গাড়ির ক্ষেত্রে নিলাম সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং মেরামতের বিস্তারিত বিবরণ।
  19. বিকন্ডিশন্ড মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে- ক) ‘টিও’ ফরম (ক্রেতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত), ‘টিটিও’ ফরম ও বিক্রয় রসিদ (আমদানিকারক কর্তৃক স্বাক্ষরিত)। খ) ডি-রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের মূল কপি এবং ডি-রেজিস্ট্রেশনের ইংরেজি অনুবাদের সত্যায়িত কপি (সার্টিফিকেট অব ক্যানসেলেশন এর সত্যায়িত কপি); গ) এক কপিতে একাধিক গাড়ির বর্ণনা থাকলে মূলকপি প্রদর্শনপূর্বক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/বিভাগ কর্তৃক সত্যায়িত কপি দাখিল করা যাবে।
  20. মোটরযান পরিদর্শক কর্তৃক গাড়িটির পরিদর্শন প্রতিবেদন;

গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের কি কি কাগজপত্র লাগে?

মালিকানা বদলির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। পূরণকৃত স্বাক্ষরিত টিও ও টিটিও ফর্ম এদুটি ফর্ম সহ অন্যান্য ফর্ম এই Download forms ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। প্রয়োজনীয় ফি জমাদানের রশিদ।ক্রেতার TIN সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কবি ভাড়ায় চালিত নয় এমন কার জীবনে গ্রহের ক্ষেত্রে। মূল রেজিস্ট্রেশন সনদ ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রযোজ্য ক্ষেত্রে। ছবিসহ নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ক্রেতার হলফনামা।সংশ্লিষ্ট নমুনা স্বাক্ষর করা হবে তার নমুনা স্বাক্ষর এবং ইংরেজিতে নাম পিতার নাম স্বামীর নাম পূর্ণ ঠিকানা তিন কপি স্ট্যাম্প আকারে রঙ্গিন ফটো সহ ফরম অন্যান্য সকল তথ্য প্রদান তবে এটা কোন প্রতিষ্ঠান হলে উপরে বর্ণিত কাগজপত্র সহ ফলকনামা ব্যতীত অফিশিয়াল চিঠি।

গাড়ি রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে কি কি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে – গাড়ি কেনার আগে অবশ্যই সবকিছু দেখিয়ে নেওয়া বা দেখে নেওয়া উচিত তাই বিআরটিএ অফিসে অবশ্যই গাড়িটি নিয়ে যেতে হবে। বিআরটিতে ফি জমা দেওয়ার পর অফিস কক্ষে কাগজপত্র দেখিয়ে একটি স্বাক্ষর নিতে হবে। এরপর এসব কাগজপত্র নিয়ে পরিদর্শক কক্ষে গিয়ে বলতে হবে আপনি গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন করতে চান।মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিআরটি অফিস কক্ষে গিয়ে মালিকানার কাগজ সঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিবেন ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নাম্বার সঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিবেন।

মালিকের সাথে ছবির মিল করে নিবেন যাতে ভবিষ্যতে আপনার মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে কোনো ঝামেলায় পড়তে না হয়। মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নন জুডিশিয়াল কোট হতে এফিডেভিট ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য বিআরটিএ নির্ধারিত ফরম নিতে হবে যে মালিকের কাছ থেকে গাড়ি ক্রয় করছেন সে মালিকের ভোটার আইডি ফটোকপি এবং এক কপি ছবি মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অবশ্যই লাগবে অন্যথায় মালিকানা পরিবর্তন করতে আপনি ঝামেলায় পড়তে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *