স্টার লিংক বাংলাদেশ প্যাকেজ ২০২৫ । ৪৯৮০০ টাকা দিলে সংযোগ সহ সবকিছু দিয়ে যাবে? - Technical Alamin
Latest News

স্টার লিংক বাংলাদেশ প্যাকেজ ২০২৫ । ৪৯৮০০ টাকা দিলে সংযোগ সহ সবকিছু দিয়ে যাবে?

সূচীপত্র

অবশেষে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক। ইলন মাস্কের মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি কোম্পানি স্পেসএক্স পরিচালিত এই সেবাটি ২০ মে, ২০২৫ থেকে দেশের ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আবাসিক ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবহারের জন্য বেশ কয়েকটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে– স্টার লিংক বাংলাদেশ প্যাকেজ ২০২৫

আবাসিক প্যাকেজ (Residential Packages) দুটি কি কি? বাংলাদেশের আবাসিক ব্যবহারকারীদের জন্য স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ নিয়ে এসেছে। স্টারলিংক রেসিডেন্সিয়াল (Starlink Residential) এই প্যাকেজটির মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬,০০০ টাকা। রেসিডেন্সিয়াল লাইট (Residential Lite) এই প্যাকেজটি অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী, যার মাসিক খরচ ৪,২০০ টাকা। উভয় আবাসিক প্যাকেজেই ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড বা সীমাহীন ডেটা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।

রোম প্যাকেজ (Roam Package) আছে? হ্যাঁ। – ভ্রমণ বা ভ্রাম্যমাণ ব্যবহারের জন্য যারা বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন বা চলমান অবস্থায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ চান, তাদের জন্য রয়েছে ‘রোম’ প্যাকেজ: রোম (Roam): এই প্যাকেজের মাসিক ফি শুরু হচ্ছে ৬,০০০ টাকা থেকে, যেখানে ব্যবহারকারীরা ৫০ জিবি পর্যন্ত ডেটা পাবেন। রোম আনলিমিটেড (Roam Unlimited): সীমাহীন ডেটা ব্যবহারের জন্য এই প্যাকেজটির মাসিক খরচ ১২,০০০ টাকা।

হার্ডওয়্যার খরচ কত? যেকোনো প্যাকেজ গ্রহণ করার জন্য ব্যবহারকারীকে এককালীন ৪৭,০০০ টাকা খরচ করে স্টারলিংকের স্ট্যান্ডার্ড হার্ডওয়্যার কিট কিনতে হবে। এই কিটে রয়েছে একটি স্যাটেলাইট ডিশ (অ্যান্টেনা), একটি ওয়াইফাই রাউটার, মাউন্টিং ট্রাইপড এবং প্রয়োজনীয় ক্যাবল। বাংলাদেশের গ্রাহকরা স্টারলিংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (starlink.com) থেকে তাদের ঠিকানা দিয়ে সার্ভিস কাভারেজ পরীক্ষা করে অর্ডার করতে পারবেন।স্টারলিংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংযোগ নেওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে সেবা সন্তোষজনক মনে না হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

স্টারলিংক বাংলাদেশ চালু ২০২৫ /স্টারলিংক কি বাংলাদেশে ব্যবহার করা যাবে?

এই সেবা চালুর ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল, যেখানে ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট এখনো পৌঁছায়নি, সেখানকার মানুষ উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

Caption: Order Now

স্টারলিংক বাংলাদেশ ২০২৫ । কিভাবে স্টার লিংক ইন্টারনেট সংযোগের জন্য অর্ডার করা যাবে?

  1. স্টারলিংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান: প্রথমেই আপনাকে স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে (https://www.starlink.com) যেতে হবে। 
  2. সার্ভিস ঠিকানা লিখুন: ওয়েবসাইটের হোমপেজেই আপনি একটি বক্স দেখতে পাবেন যেখানে আপনার ঠিকানা লেখার অপশন থাকবে। এখানে আপনি যে ঠিকানায় স্টারলিংক সংযোগ নিতে চান, সেই ঠিকানাটি সঠিকভাবে লিখুন। বাংলাদেশ থেকে অর্ডার করার ক্ষেত্রে আপনার এলাকার নাম, পোস্ট কোড ইত্যাদি সঠিকভাবে উল্লেখ করুন। 
  3. অর্ডার বা প্রাপ্যতা পরীক্ষা করুন: ঠিকানা লেখার পর “অর্ডার নাউ” (Order Now) বা “চেক অ্যাভেইলেবিলিটি” (Check Availability) বা সমতুল্য কোনো বাটনে ক্লিক করুন। সিস্টেম তখন আপনার দেওয়া ঠিকানায় স্টারলিংক সেবা উপলব্ধ কিনা তা যাচাই করবে। 
  4. প্যাকেজ নির্বাচন করুন: আপনার ঠিকানায় সেবা উপলব্ধ থাকলে, আপনাকে বিভিন্ন প্যাকেজ (যেমন: আবাসিক, রোম ইত্যাদি) দেখানো হবে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি প্যাকেজ নির্বাচন করুন। ২০ মে, ২০২৫ থেকে বাংলাদেশে আবাসিক ব্যবহারের জন্য ‘স্টারলিংক রেসিডেন্সিয়াল’ (মাসিক ৬,০০০ টাকা) ও ‘রেসিডেন্সিয়াল লাইট’ (মাসিক ৪,২০০ টাকা) এবং ভ্রাম্যমাণ ব্যবহারের জন্য ‘রোম’ প্যাকেজ (শুরু ৬,০০০ টাকা থেকে) চালু হয়েছে। 
  5. অ্যাকাউন্ট তৈরি ও ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান: প্যাকেজ নির্বাচন করার পর আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হতে পারে অথবা লগইন করতে হতে পারে। এরপর আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। 
  6. হার্ডওয়্যার ও সার্ভিস ফি পরিশোধ: পরবর্তী ধাপে আপনাকে স্টারলিংক কিটের (স্যাটেলাইট ডিশ, রাউটার ইত্যাদি) জন্য এককালীন মূল্য এবং প্রথম মাসের সার্ভিস ফি পরিশোধ করতে বলা হবে। বাংলাদেশে হার্ডওয়্যারের এককালীন মূল্য ৪৭,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পেমেন্টের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের প্রয়োজন হতে পারে। 
  7. অর্ডার কনফার্ম করুন ও শিপিংয়ের জন্য অপেক্ষা করুন: পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পর আপনার অর্ডার কনফার্ম করা হবে। এরপর স্টারলিংক তাদের কিট আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেবে। শিপিংয়ের সময়সীমা আপনার অবস্থান এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। 
  8. কিট ইনস্টল করুন: স্টারলিংক কিট হাতে পাওয়ার পর তাদের দেওয়া নির্দেশিকা অনুসরণ করে আপনি নিজেই এটি ইনস্টল করতে পারবেন। এটি সাধারণত খুব সহজভাবেই ডিজাইন করা হয়ে থাকে।

স্থানীয় গেইট ওয়ে ব্যবহার করবে?

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্টারলিংকের স্থানীয় গেটওয়ে স্থাপনের কাজ চলছে এবং এর মাধ্যমে সেবার মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আঞ্চলিক অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে স্টারলিংকের প্যাকেজ মূল্য তুলনামূলক কম রাখা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা দেশের ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে এবং সার্বিক ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মনে রাখবেন, যেহেতু সেবাটি সম্প্রতি চালু হয়েছে, তাই কিছু ক্ষেত্রে অর্ডারের চাপ বেশি থাকতে পারে। ধৈর্য ধরে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। কোনো সমস্যায় পড়লে স্টারলিংকের কাস্টমার সাপোর্টের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে পারেন।

হার্ডওয়্যার খরচ: প্যাকেজের মাসিক ফি ছাড়াও আপনাকে এককালীন হার্ডওয়্যার কিট (স্যাটেলাইট ডিশ, ওয়াইফাই রাউটার, মাউন্টিং ট্রাইপড ও ক্যাবল) কেনার জন্য ৪৭,০০০ টাকা এবং শিপিং চার্জ (যেমন ২৮০০ টাকা, মোট ৪৯,৮০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে) পরিশোধ করতে হবে।ডেলিভারি: অর্ডার সম্পন্ন হওয়ার পর সাধারণত ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে আপনার ঠিকানায় স্টারলিংকের সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হবে।সেটআপ: স্টারলিংকের যন্ত্রপাতিগুলো সাধারণত ব্যবহারকারী নিজেই সহজে সেটআপ (self-installation) করতে পারেন। ডিশটি খোলা আকাশের নিচে, বাধাহীনভাবে স্যাটেলাইটের সিগন্যাল গ্রহণ করতে পারে এমন জায়গায় স্থাপন করতে হয়। স্টারলিংক অ্যাপের মাধ্যমে সেটআপ প্রক্রিয়ায় সাহায্য পাওয়া যায়।
   
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *