এনআইডি ভেরিফাই নিয়ে কড়া নির্দেশনা ২০২৫ । পাসপোর্ট আবেদনে 'NID ভেরিফায়েড কপি' চাওয়া যাবে না? - Technical Alamin
NID CARD INFO

এনআইডি ভেরিফাই নিয়ে কড়া নির্দেশনা ২০২৫ । পাসপোর্ট আবেদনে ‘NID ভেরিফায়েড কপি’ চাওয়া যাবে না?

পাসপোর্ট আবেদনকারীদের হয়রানি বন্ধে এবং প্রক্রিয়া সহজ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (DIP)। এখন থেকে পাসপোর্ট আবেদনের সময় কোনো কর্মকর্তারাই আবেদনকারীর কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) ভেরিফায়েড কপি বা যাচাইকৃত অনুলিপি চাইতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের সাথে অধিদপ্তরের সরাসরি তথ্য যাচাইয়ের চুক্তি থাকার পরও অনেক সময় পাসপোর্ট অফিসে এই অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় নথি চাওয়া হচ্ছিল, যা নিয়ে আবেদনকারীদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল।

​অধিদপ্তর সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করে জানিয়েছে যে, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) যাচাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশন (EC) এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (DIP) মধ্যে সমঝোতা চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় DIP কর্তৃপক্ষ সরাসরি ইসির সার্ভার থেকে অনলাইনে এনআইডি তথ্য যাচাই করতে পারে।
​কর্তৃপক্ষের মতে, যেহেতু অনলাইনে তথ্য যাচাই করার সুযোগ রয়েছে, তাই কোনোভাবেই আবেদনকারীর কাছ থেকে আলাদাভাবে নির্বাচন অফিস থেকে NID ভেরিফায়েড কপি সংগ্রহ করে জমা দেওয়ার জন্য বলা যাবে না। এই ধরনের বাড়তি কাগজপত্র চাওয়ার ফলে আবেদনকারীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছিল এবং তারা অহেতুক ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন।
​নির্দেশনার মূল বিষয়: ​এনআইডি ভেরিফায়েড কপি চাওয়া অগ্রহণযোগ্য: চুক্তির মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও NID ভেরিফায়েড কপি চাওয়া হচ্ছে, যা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
​অনলাইনে যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক: পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অবশ্যই অনলাইনে ইসির সার্ভার থেকে NID তথ্য যাচাই করতে হবে।
​হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপ: এই নির্দেশনার লক্ষ্য হলো আবেদন প্রক্রিয়াকে সহজ ও দ্রুত করা এবং অপ্রয়োজনীয় নথির নামে আবেদনকারীকে হয়রানি করা থেকে বিরত থাকা।
​অধিদপ্তর আশা করছে, এই কড়া নির্দেশনার ফলে পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে এবং সাধারণ মানুষ দ্রুত সেবা পাবে। এই নির্দেশ অমান্যকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

ই-পাসপোর্ট আবেদনে নতুন নিয়ম: এনআইডি বা জন্মসনদের ‘অনলাইন ভেরিফায়েড কপি’ বাধ্যতামূলক

ই-পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং তথ্যের নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে নতুন কঠোরতা আরোপ করেছে সরকার। এখন থেকে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের (বিআরসি) একটি ‘অনলাইন ভেরিফায়েড কপি’ দাখিল করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আবেদনকারীদের জমা দেওয়া তথ্যের সাথে নির্বাচন কমিশন বা জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভারে সংরক্ষিত তথ্যের শতভাগ মিল নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আগে শুধু মূল এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদর্শন করলেই হতো।

যা থাকছে নতুন নিয়মে:

  • আবশ্যকতা: ই-পাসপোর্ট আবেদনপত্র অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে এবং এর অনলাইন ভেরিফায়েড কপি দাখিল করতে হবে।
  • বয়সসীমা: ২০ বছরের ঊর্ধ্বে সকল আবেদনকারীর জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক।
  • ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য: যাদের এনআইডি নেই, তাদের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) এবং পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন ভেরিফায়েড কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
  • সত্যায়ন বাতিল: ই-পাসপোর্ট ফরমে কোনো ছবি সংযোজন বা কাগজপত্র সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।
  • তথ্য সংশোধন: এনআইডি বা পূর্ববর্তী পাসপোর্টের তথ্যে কোনো ধরনের গড়মিল থাকলে নির্ধারিত ফরমেটে পূরণকৃত অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রমাণক জমা দিতে হবে।

কর্তৃপক্ষের মতে, এই নতুন প্রক্রিয়াটি আবেদনকারীর পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ভুয়া তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট করার প্রবণতা কমাবে। আবেদনকারীদের সংশ্লিষ্ট অনলাইন পোর্টাল থেকে যাচাইকৃত কপি সংগ্রহ করে আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করতে বলা হয়েছে।

বি. দ্র. : আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার আগে সকলকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সর্বশেষ নির্দেশিকা ভালোভাবে দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *