ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স ২০২৪ । একবার বিআরটিএ অফিসে গেলেই ঘরে আসবে লাইসেন্স কার্ড?
অনলাইনে ঘরে বসে আবেদন এবং মাত্র ১ বার বিআরটিএ অফিসে গিয়ে স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স পাবেন বাসার ঠিকানায় – লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজীকরণে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ– ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স ২০২৪
আবেদনও অনলাইনে করতে হবে?- লার্ণার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য দু’টি আবেদনের পরিবর্তে অনলাইন বেজড একটি কম্বাইনড ফরম ১৬ নভেম্বর ২০২২ তারিখ থেকে বিআরটিএ সার্ভিস পাের্টালে (BSP) চালু হবে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে ৩/৪ বারের পরিবর্তে শুধুমাত্র ০১ (এক) বার পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা প্রদান ও বায়াে-এনরােলমেন্টের জন্য আসতে হবে। অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ২০২২ । E Learner Driving License Smart Card Only Apply
এছাড়াও এ সিস্টেম থেকে আবেদনকারীগণ ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে অনলাইন ভেরিফিকেশন বেজড QR কোড সম্বলিত লার্ণার লাইসেন্স গ্রহণ, ফি প্রদান, পরীক্ষার ফলাফল জানা, সিষ্টেম জেনারেটেড স্মার্ট কার্ড আবেদন দাখিল, QR কোড বেজড সিষ্টেম জেনারেটেড মােটরযান চালনার অস্থায়ী অনুমতিপত্র বা Acknowledgement Slip প্রাপ্তি এবং আবেদনপত্র বা কার্ড প্রস্তুতের প্রতিটি পর্যায়ে স্টেটাস জানতে পারবেন।
তাছাড়া ডাকযােগে স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে পারবেন। উক্ত সেবাসমূহ প্রাপ্তির লক্ষ্যে https://bsp.brta.gov.bd/ লিঙ্কে প্রবেশ করে জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার এবং জন্মতারিখ এন্ট্রিপূর্বক ইউজার আইডি খুলতে হবে। Free Driving Learning & Licence । বিনামূল্যে ড্রাইভিং শিখুন।
bsp brta gov bd Portal for Driving Licence/ অনলাইনে আবেদন ট্র্যাকিং করা যাবে। কি অবস্থায় আছে বা আবেদেনের অগ্রগতিও দেখা যাবে
বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল (বিএসপি) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর একটি অনলাইন সেবা প্রদানের মাধ্যম যেখানে ড্রাইভার, গাড়ি মালিক, গাড়ি বিক্রেতাদের নিবন্ধিত করা হয় এবং শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন, ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি সেবার জন্য আবেদন এবং অনলাইনে ফি প্রদান করা যায়।
Caption: BRTA Notice
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার নিয়ম ২০২৪। সত্যিই কি অনলাইনে আবেদন করে পরীক্ষা দিলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড পাওয়া যায়?
- প্রথমে “bsp brta” লিখে গুগল করুন।
- Welcome to BRTA Service Portal তে ক্লিক করুন।
- Register মেন্যুতে ক্লিক করুন।
- জন্ম তারিখ ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করুন।
- অনুসন্ধান ক্লিক করলেই সমস্ত তথ্য এনআইডি থেকে চলে আসবে। মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দুবার দিয়ে নিবন্ধন করুন ক্লিক করুন।
- ইমেইলে লিংক দিয়ে ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে। ইমেইলে ঢুকে Click এ ক্লিক করে ভেরিফাই করে নিন।
- ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে ম্যাসেজ দেখতে পাবেন।
- ইমেইল বা ফোন নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে Login এ ক্লিক করলে মোবাইলে ওটিপি আসবে এবং ওটিপি দিয়ে ভেরিফাই করে প্রফাইলে প্রবেশ করুন। পুনরায় লগিন করবেন এবং উপরের চিত্রের মত তথ্য দেখাবে।
- বামপাশ মেন্যু হতে ড্রাইভিং লাইসেন্স এ ক্লিক করে ট্যাবগুলো থেকে প্রথম শিক্ষানবিশ লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করুন এ ক্লিক করলে ইনস্ট্রাকশন দেখাবে সেখানে থেকে ডাক্তারী সার্টিফিকেটের ফরম সংগ্রহ করুন। মোট কথা ইনফরমেশনগুলো ভাল করে পড়ে ফাইলগুলো ঠিক ঠাকমত স্ক্যান করুন।
- যদি সব ডকুমেন্ট থাকে আমি সম্মত ক্লিক করলেই আবেদন পেইজ আসবে। ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে অপেশাদার সিলেক্ট করে ছবি আপলোড করবেন ফরম্যাট ঠিক রাখবেন।
- সেকশন এ তে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিবেন, জন্ম তারিখ দিবেন এবং অনুসন্ধান এ ক্লিক করলে সকল তথ্য এনআইডি’র বিপরীতে অটো চলে আসবে।
- ইংরেজীতে পিতা মাতার নাম, লিঙ্গ সিলেক্ট করবেন, স্বামী বা স্ত্রীর নাম (যদি থাকে), পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বৈবাহিক অবস্থা, স্বামী স্ত্রীর নাম বাংলায়, রক্তের গ্রুপ, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি দিয়ে দিবেন।
- আবেদনকারীর যোগাযোগের বিবরণে মোবাইল নম্বর এবং জরুরী যোগাযোগের জন্য কারও নাম, মোবাইল নম্বর দিবেন এবং
- সেকশন বি-তে মোটর সাইকেল ধরণ, লাইট বা হেবী ইত্যাদি প্রয়োজন অনুসারে সিলেক্ট করবেন।
- সংযুক্তিতে সকল ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। যা আপনি স্ক্যান করে রেখেছেন। তারপর সংরক্ষণে ক্লিক করলে সংরক্ষণ হবে এবং নিচে অনলাইন ফি জমা’তে
- অনলাইন ফি জমাতে ক্লিক করলে আবেদন রিভিউ দেখতে পাবেন নিচে মোট ফি দেখাবে। ফি জমা দিলে ফি জমাতে ক্লিক করুন।
- তাদের সাথে যে কয়েকটি ব্যাংক রয়েছে তা দেখাবে। মোবাইল নম্বর নিশ্চিত করুনে টিক দিন এবং বিকাশ, ডাচ বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ইত্যাদি মাধ্যমে অর্থ পরিবর্তন করতে পারবেন। ধরি বিকাশে দিবেন।
- বিকাশ সিলেক্ট করে নিচের টার্মস এন্ড কন্ডিশন নিশ্চিত করুন এবং বিকাশ গেইটওয়ে থেকে পেমেন্ট করুন এবং ওটিপি এবং পিন দিয়ে কনফার্ম করলে বিকাশ পেমেন্ট শেষ।
- পেমেন্ট হয়েছে এবং আবেদনটি সম্পন্ন হয়েছে এবং মানি রিসিপ্ট এবং লার্নারটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে পারবেন। লার্নার কার্ডে পরীক্ষার তারিখ এবং ইত্যাদি তথ্য থাকবে। এভাবেই ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারেন।
বিআরটিএ হেল্প লাইন আছে কি?
হ্যাঁ। অনলাইনে আবেদন করতে কোন ঝামেলায় পড়লে আপনি ১৬১০৭ অথবা ০৯৬১০ ৯৯০ ৯৯৮ রবিবার – বৃহস্পতিবার অফিস চলাকালীন সকাল ৯.০০ – বিকেল ৪.০০ টার মধ্যে কল করে হেল্প নেয়া যাবে। যে কোন তথ্য জানা যাবে। বিআরটিএ সম্পর্কে কোন অভিযােগ বা পরামর্শ থাকলে info@brta.gov.bd ইমেইলে প্রেরণ করতে পারবেন।
অপেশদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে খরচ কত হয়?
আপনি যদি নিজে নিজেই আবেদন ও পরীক্ষা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তবে সরকারি ফি দিয়েই লাইসেন্স পেতে পারেন। যদি আপনি বাইক চালনায় দক্ষ হয়ে থাকেন তবে শুধুমাত্র বাইক বা এক শ্রেণীর যানের জন্য ৫১৮ টাকা লার্নার পেতে জমা দিতে হবে। পরীক্ষা ও দক্ষতা যাচাইয়ের পর ১০ বছরের জন্য ৪৫৫৭ টাকা জমা দিতে হবে। তাহলে লাইসেন্স করতে মোট ব্যয় হল ৫০৭৫ টাকা।
সূত্র: বিআরটিএ
Pingback: ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্যতা সহজীকরণ ২০২৪ । ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন আরও সহজ করল বিআরটিএ? - Reportbd