অসচ্ছল আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা অনুদান ২০২৫ । ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা অনুদান অনলাইন আবেদন করার নিয়ম কি?
বাংলাদেশের ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণির দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা অনুদান প্রদানের লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট প্রান্তের আবেদন গ্রহণ করা হবে–শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা অনুদান ২০২৫
শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা অনুদান আবার কি? প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন চিকিৎসা অনুদান প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ লক্ষ্যে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন চিকিৎসা অনুদান প্রদান নির্দেশিকা, ২০২০ প্রণয়ন করা হয়।
চিকিৎসা অনুদান কত টাকা পাওয়া যাবে? দুর্ঘটনার কারণে গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন চিকিৎসা অনুদান প্রদানের ফলে অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় ব্যাঘাত ঘটবে না তথা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত হবে। এ নির্দেশিকার আলোকে এককালীন ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা অনুদান হিসেবে প্রদান করা হয়। অনলাইনে আবেদন লিংক: www.eservice.pmeat.gov.bd/medical/login
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি লাগবে? ছবি, স্বাক্ষর, জন্ম নিবন্ধন সনদ, /অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের সন্তান মর্মে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানপ্রধানের সুপারিশ (নির্ধারিত ফর্মে), দুর্ঘটনার প্রমাণে জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন/সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার/উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সুপারিশ (নির্ধারিত ফর্মে), পিতা মাতা/অভিভাবকের কর্মরত প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন পত্র (প্রজাতন্ত্রের বেসামরিক কর্মে নিয়োজিত ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর সন্তানগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।
শিক্ষার্থীর চিকিৎসা অনুদান কখন করতে হয়? / আবেদনের স্ট্যাটাস কিভাবে জানা যাবে?
আবেদনের প্রাপ্তির ০৩-০৪ মাস পর অর্থ প্রেরণ করা হয়। শিক্ষার্থী চিকিৎসা অনুদানের জন্য নির্বাচিত হলে তাঁর মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
Caption: info Source
শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা অনুদানের জন্য আবেদন করার নিয়ম ২০২৫ । যেভাবে আপনি গুরুতর চিকিৎসার জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন
- সর্বপ্রথমে প্রতিষ্ঠানপ্রধান এবং চিকিৎসক কর্তৃক সুপারিশ গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ফরম ডাউনলোড করুন।
- তারপর প্রিন্ট করে পূরণ করুন ও আপনার চিকিৎসক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট থেকে সুপারিশ গ্রহণ করুন।
- অতঃপর ছবি, স্বাক্ষর, জন্মসনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও সুপারিশের কপি স্পষ্ট করে ছবি তুলুন।
- রেজিষ্ট্রেশন করুন (যদি একাউন্ট না থাকে)
- মোবাইল ভেরিফিকেশন করুন
- লগইন করুন
- আবেদন করুন
- ড্যাশবোর্ড থেকে আবেদন অবস্থা জানুন
শিক্ষার্থী নিজে কি আবেদন করতে পারবে?
হ্যাঁ। পারবে। শিক্ষার্থী/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসেবে আপনার অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে www.eservice.pmeat.gov.bd/medical/login লিংকে গিয়ে একাউন্ট করে নিতে হবে এবং নির্দেশনা মেনে আবেদন করতে হবে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরেও ৩ লক্ষ টাকার চিকিৎসা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। তাই দেরী না করে আবেদন করুন।
২০২০-২১ | মাধ্যমিক | ৪ | ১ | ৫ | ২,২০,০০০ | ৪,৬০,০০০ |
উচ্চ মাধ্যমিক | ০ | ২ | ২ | ৯০,০০০ | ||
স্নাতক | ২ | ১ | ৩ | ১,৫০,০০০ | ||
২০২৩-২৪ | মাধ্যমিক | ৫ | ১ | ৬ | ২,০০,০০০ | ৩,০০,০০০ |
উচ্চ মাধ্যমিক | ১ | ০ | ১ | ৫০,০০০ | ||
স্নাতক | ১ | ০ | ১ | ৫০,০০০ |
দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান দেবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট
ঢাকা, বাংলাদেশ – প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট (PMEAT) দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অস্বচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এককালীন চিকিৎসা অনুদান প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে । ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এই আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারবে । ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর/২০২৫ প্রান্তের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে, যার সময়সীমা ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৫৯ মিনিট পর্যন্ত
আবেদনের যোগ্যতা ও প্রক্রিয়া
এই অনুদানের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হতে হবে এবং তার চিকিৎসার সময়কাল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অর্থবছর অথবা এর ১ বছরের মধ্যে হতে হবে । একজন শিক্ষার্থী একটি দুর্ঘটনার জন্য একবারই আবেদন করতে পারবে । আবেদনটি সম্পূর্ণরূপে অনলাইন-ভিত্তিক এবং কোনো হার্ড কপি পাঠানোর প্রয়োজন নেই ।
আবেদন করতে, শিক্ষার্থীদের ‘ই-চিকিৎসা অনুদান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’-এর
https://www.eservice.pmeat.gov.bd/medical এই লিংকে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে ।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও শর্তাবলী
আবেদনের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি আপলোড করতে হবে:
- দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার প্রমাণ হিসেবে সিভিল সার্জন বা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত চিকিৎসা সনদ ।
- শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), শিক্ষার্থীর ছবি এবং স্বাক্ষর ।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র ।
- শিক্ষার্থীর বা তার পিতা/মাতার নিজস্ব ব্যাংক হিসাব নম্বর এবং এর প্রমাণক হিসেবে চেকের পাতা বা ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপি ।
অনুদান পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের পূর্ববর্তী পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬০% নম্বর পেতে হবে । বেসামরিক সরকারি চাকরিজীবী পিতা/মাতা/অভিভাবকের ক্ষেত্রে ‘জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫’ অনুযায়ী ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সন্তানরা যোগ্য বিবেচিত হবে । অন্যান্য ক্ষেত্রে, পিতা/মাতা/অভিভাবকের বার্ষিক আয় দুই লক্ষ টাকার কম হতে হবে । অনুদান হিসেবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদেরকে ১০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান করা হবে । প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সোহাগ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে ।