বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড হতে প্রদানকৃত অনুদানের হার পুন:নির্ধারণ ২০২৫ । সরকারি কর্মচারীগণ বোর্ড হতে কি কি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়? - Technical Alamin
সরকারি আদেশ ও তথ্য

বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড হতে প্রদানকৃত অনুদানের হার পুন:নির্ধারণ ২০২৫ । সরকারি কর্মচারীগণ বোর্ড হতে কি কি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়?

সূচীপত্র

বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল থেকে প্রদত্ত অনুদানের হার পুনঃনির্ধারণ ২০২৫ সম্পর্কিত তথ্য আলোচনা করেছি। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী— বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড হতে প্রদানকৃত অনুদানের হার পুন:নির্ধারণ ২০২৫

সরকারি কর্মচারীদের অনুদানের হারের আপডেট (২০২৫) কি? সাধারণ (নন-জটিল) চিকিৎসা অনুদান-সর্বোচ্চ অনুদান বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬০,০০০ টাকা (আগের ৪০,০০০ টাকা থেকে)। জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদান সর্বোচ্চ ৩,০০,০০০ টাকা (তিন লাখ টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে। দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া (কাফন) এবং যৌথবীমা অনুদান-কর্মচারী মৃত্যুর ক্ষেত্রে: আগে ছিল ৩০,০০০ টাকা — আপডেটে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫০,০০০ টাকা। পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে: আগে ছিল ১০,০০০ টাকা — আপডেটে হয়েছে ২০,০০০ টাকা। যৌথবীমা এককালীন অনুদান বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা।

চিকিৎসা অনুদান কত শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে? ২০২৫ সালে কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অনুদানগুলোতে স্পষ্টভাবে বৃদ্ধি ঘটানো হয়েছে, যা কর্মচারী ও তাদের পরিবারের দৃষ্টিতে একটি গুরুত্ব পূর্ণ ইতিবাচক পদক্ষেপ। সাধারণ চিকিৎসা অনুদানে ৫০% বৃদ্ধি, জটিল চিকিৎসায় ৫০% সরাসরি র‍্যাম্প-আপ, দাফন ও যৌথবীমা অনুদানেও যথেষ্ট উন্নয়ন। এখন যেকোন কেসে, কর্মচারীরা কোনো ধরনের আর্থিক প্রয়োজনে—সাধারণ চিকিৎসা, জটিল চিকিৎসা, শেষকৃত্যের খরচ, কিংবা বীমা সুবিধা—এই আপডেটেড অনুদানগুলো থেকে সৎভাবে উপকৃত হতে পারবেন।

বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (BKKB) থেকে অনলাইনে অনুদান আবেদন করবেন? 🔹 ধাপে ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া ১. ওয়েবসাইটে প্রবেশ 👉 welfare.bkkb.gov.bd এ যান। এটি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অনলাইন আবেদন পোর্টাল। ২. লগইন / রেজিস্ট্রেশন- প্রথমবার হলে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে: নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID), কর্মস্থল/পদবি/বেতন গ্রেড, মোবাইল নম্বর (OTP আসবে), ই-মেইল (যদি থাকে), এরপর একটি ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড তৈরি হবে। ৩. আবেদন ধরণ নির্বাচন- লগইন করার পর আপনার ড্যাশবোর্ডে বিভিন্ন সেবা দেখা যাবে:🏥 সাধারণ চিকিৎসা অনুদান, ⚕️ জটিল/ব্যয়বহুল চিকিৎসা অনুদান, ⚰️ দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুদান, 🎓 শিক্ষাবৃত্তি, 💳 মাসিক কল্যাণ ভাতা, 🏢 অফিস যাতায়াত/বীমা সংক্রান্ত অনুদান, যে অনুদানের জন্য আবেদন করতে চান সেটি ক্লিক করুন। ৪. তথ্য পূরণ- ফর্মে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন: আবেদনকারীর নাম ও পরিচয়, কর্মস্থল ও চাকরির ধরণ, পরিবারের তথ্য (যদি পরিবারের কারও জন্য আবেদন হয়), অনুদানের কারণ (যেমন চিকিৎসা/মৃত্যু/শিক্ষা ইত্যাদি)। ৫. কাগজপত্র আপলোড- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে PDF/JPEG আকারে আপলোড করতে হবে: NID কপি, চাকরির সনদ/প্রমাণপত্র, চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র (রসিদ/প্রেসক্রিপশন/রিপোর্ট), মৃত্যু সনদ (যদি দাফন অনুদান হয়), শিক্ষার সনদ/প্রমাণপত্র (যদি শিক্ষাবৃত্তি হয়)। ৬. আবেদন জমা ও ট্র্যাকিং-সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণের পর Submit দিন। আপনার আবেদন নম্বর জেনারেট হবে। পরে যেকোনো সময় Track Application মেনুতে গিয়ে আবেদনের অবস্থা জানতে পারবেন।

📌 গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কি? আবেদন শুধু অনলাইনে গ্রহণ করা হয়। হাতে লিখে দিলে অফিস আপনাকে অনলাইনে এন্ট্রি করিয়ে দেবে। সঠিক ও সম্পূর্ণ কাগজপত্র না দিলে আবেদন Reject হতে পারে। আবেদন অনুমোদন হলে মোবাইলে SMS যাবে। অনুদান টাকা সরাসরি আবেদনকারীর ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড হতে প্রদানকৃত অনুদানের হার পুন:নির্ধারণ ২০২৫ । নির্ধারিত কাগজপত্রসহ আবেদন করলে ৩-৬ মাসের মধ্যেই আর্থিক অনুদান পাওয়া যায় তাই আপনিও অনলাইনে আবেদন করতে পারেন এবং ফরওয়ার্ডিং দিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা প্রেরণ করতে পারেন।

এখন কি অনলাইনে ছাড়া আবেদন গ্রহণ করা হয় না? একদম সঠিক ধরেছেন। বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (BKKB) এখন মূলত অনলাইনের মাধ্যমেই আবেদন গ্রহণ করে। 📌 সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী— সকল অনুদান (চিকিৎসা, কল্যাণ ভাতা, দাফন, শিক্ষাবৃত্তি ইত্যাদি) আবেদন করতে হবে BKKB এর অনলাইন পোর্টাল → welfare.bkkb.gov.bd এবং হাতে লিখিত/অফলাইনে সরাসরি আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না। তবে কোনো কারণে অনলাইন আবেদন করতে অসুবিধা হলে অফিসের সহায়তায় আবেদনকারীকে অনলাইনে এন্ট্রি করে দেওয়া হয়, কিন্তু আবেদনের রেজিস্ট্রেশন অনলাইনেই সম্পন্ন হয়। 📍 এর ফলে: স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে আবেদন যাচাই হয়। আবেদনকারী নিজেই অনলাইনে আবেদন স্ট্যাটাস ট্র্যাক করতে পারেন। দাপ্তরিক ঘোরাঘুরি ও সময় নষ্ট কমে গেছে। 👉 সুতরাং, এখন কার্যত অনলাইন ছাড়া আবেদন গ্রহণ করা হয় না।

Caption: অনুদানের হার পুন নির্ধারণ ২০২৫

বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড সরকারি কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও আর্থিক অনুদান প্রদান করে থাকে। এই সুবিধাগুলো মূলত কর্মচারীর চাকরি জীবন থেকে শুরু করে অবসর জীবন পর্যন্ত বিস্তৃত।

  1. সাধারণ অনুদান- কল্যাণ অনুদান: একজন সরকারি কর্মচারী বা তার পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য এই অনুদান দেওয়া হয়। যৌতুক অনুদান: কর্মরত কর্মচারীর কন্যাকে বিবাহের জন্য এই অনুদান প্রদান করা হয়। ধর্মীয় অনুদান: সরকারি কর্মচারীরা যদি হজ বা ধর্মীয় তীর্থযাত্রার জন্য যান, তবে তাদের কিছু আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

     

  2. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত অনুদান- শিক্ষাবৃত্তি: কর্মচারীর মেধাবী সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করা হয়। এই বৃত্তি নিয়মিতভাবে মাসিক ভিত্তিতে দেওয়া হয়। মেধাবৃত্তি: পাবলিক পরীক্ষায় (যেমন: এসএসসি, এইচএসসি) ভালো ফল করা মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন অনুদান দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ অনুদান: কর্মচারীর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য অনুদান দেওয়া হয়।

     

  3. বিশেষ অনুদান- চিকিৎসা অনুদান: জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত কর্মচারীদের জন্য বিশেষ চিকিৎসা অনুদান প্রদান করা হয়। এই অনুদান ক্যান্সারের মতো ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে সহায়ক। দাফন কাফন অনুদান: কোনো কর্মচারী বা তার পরিবারের সদস্য মারা গেলে দাফন কাফনের খরচ বাবদ এককালীন আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। দুর্ঘটনা অনুদান: চাকরিজনিত কারণে কোনো কর্মচারী দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে বা মারা গেলে এই অনুদান দেওয়া হয়।

     

  4. অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও পারিবারিক অনুদান- এককালীন অনুদান: চাকরি শেষে একজন কর্মচারী এই এককালীন অনুদান পান। এটি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ও পদমর্যাদার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। পারিবারিক ভাতা: কর্মচারী মারা গেলে তার পরিবারকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মাসিক পারিবারিক ভাতা দেওয়া হয়। গোষ্ঠী বীমা: কর্মচারী মারা গেলে গোষ্ঠী বীমার আওতায় তার পরিবারকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়।

     

  5. এই সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ও শর্তাবলী রয়েছে। সাধারণত, কর্মচারীকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চাকরিরত থাকতে হয় এবং আবেদন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে হয়। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.bkkb.gov.bd) দেখতে পারেন।

বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সুবিধা কি সাধারণ জনগণ গ্রহন করতে পারবে?

না, সাধারণ জনগণ বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে না। এই বোর্ডের উপকারিতা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত কর্মচারী ও তাদের পরিবারের জন্য নির্ধারিত। বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (BKKB) এর সেবা পেতে পারেন: সরকারি কর্মচারী (রাজস্বখাতভুক্ত), তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মচারী, তাঁদের পরিবারবর্গ: কর্মরত, অবসরপ্রাপ্ত, অক্ষম বা মৃত কর্মচারীর পরিবারের সদস্যরা। বোর্ডের দেয়া সম্ভাব্য সেবাসমূহ যেমন- সাধারণ চিকিৎসা অনুদান, জটিল রোগের চিকিৎসা, মাসিক কল্যাণ ভাতা, যৌথবীমা অনুদান, দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, শিক্ষাবৃত্তি, অফিস যাতায়াত, কারিগরি প্রশিক্ষণ, ক্রীড়া ইত্যাদি। সাধারণ জনগণ, অস্থায়ী/চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী, অ-সরকারি অন্যান্য ব্যক্তি বা পরিবার বোর্ডের সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন না। “অন্য কোন সাধারণ জনগণ বা অনিয়মিত কর্মচারী, চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী এ সুবিধার আওতায় আসবে না।”

সেবার ধরনপুরনো হারনতুন হার (২০২৫)
সাধারণ চিকিৎসা অনুদান৪০,০০০ টাকা৬০,০০০ টাকা
জটিল/ব্যয়বহুল চিকিৎসা২,০০,০০০ টাকা (দা. ২০২৩ অনুযায়ী)৩,০০,০০০ টাকা
দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া (কর্মচারী)৩০,০০০ টাকা৫০,০০০ টাকা
দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া (পরিবার সদস্য)১০,০০০ টাকা২০,০০০ টাকা
যৌথবীমা এককালীন অনুদান২ লাখ টাকা৩ লাখ টাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *