বৈদ্যুতিক যান চার্জিং স্টেশন মূল্য তালিকা ২০২৪ । দেশের ব্যাটারি চালিত গাড়ির চার্জি স্টেশন সিএনজি স্টেশনের মতই হবে
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩ এর ধারা ২২ (খ) এবং ৩৪ এ প্রদত্ত দায়িত্ব ও ক্ষমতাবলে মধ্যমচাপ লেভেলে স্থাপিত ব্যাটারি/বৈদ্যুতিক যান চার্জিং স্টেশন এর সার্ভিস/স্টেশন চার্জ এবং ভোক্তাপর্যায়ে মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়েছে–বৈদ্যুতিক যান চার্জিং স্টেশন মূল্য তালিকা ২০২৪
রাস্তায় চার্জ ফুরিয়ে গেলে গাড়ি চার্জ দেওয়া যাবে? হ্যাঁ। গ্রাহকশ্রেণি ‘এমটি-৭: ব্যাটারি চার্জিং স্টেশন’ এর বিদ্যমান খুচরা বিদ্যুৎ মূল্যহার অনুযায়ী মধ্যমচাপ (এমটি বা ১১ কেভি) লেভেলে স্থাপিত ব্যাটারি/বৈদ্যুতিক যান চার্জিং স্টেশন এর মূল্যহার কাঠামো জারি করেছে। প্রতি কি:ওয়াট বিদ্যুতের জন্য ১৬-১৮ টাকা গুণতে হবে গাড়ি চার্জ করতে হলে।
ইলেকট্রিক মোটরযান নীতিমালা আছে কি? বৈদ্যুতিক যান রেজিস্ট্রেশন ও চলাচলের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক “ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ও চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা-২০০৩” প্রণয়ন করা হয়েছে (সংযুক্তি-৫) যা এপ্রিল ১৮, ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়। উক্ত নীতিমালায় অনুচ্ছেদ ২.০ এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে ইলেকট্রিক মোটররযান’ বলতে “এক বা একাধিক বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে চালিত যে কোন মোটরযান, যার চালিকা শক্তি উক্ত মোটরযানে বৈদ্যুতিক চার্জ অথবা সংযুক্ত রিচার্জেবল ব্যাটারি। বাইসাইকেল বা রিকশা এবং রিকশা ভ্যান এর অন্তর্ভুক্ত নয়।
এছাড়া উক্ত নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৪.৪ এ ইলেকট্রিক মোটরযানের চার্জিং সিস্টেম বাংলাদেশে প্রচলিত বিদ্যুৎ ব্যবহার বৈশিষ্ট্যের (ভোল্টেজ, ফ্রিকোয়েন্সি ইত্যাদি) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে এবং এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগের বৈদ্যুতিক যান চার্জিং নির্দেশিকা (Electric Vehicle charging Guideline, 2022) অনুসরণ করতে হবে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৭.৩-এ আগামী ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে বাংলাদেশে সড়ক পরিবহণ খাতে ব্যবহৃত মোটরযানের ন্যূনতম ৩০% ইলেকট্রিক মোটরযান ক্যাটাগরিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকের জন্য অর্থ বিভাগ/জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করবে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্যাটারি বা বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন / সিএনজি বা ডিজেল স্টেশনের মতই চার্জিং স্টেশন চালু হচ্ছে
পাবলিক চার্জিং স্টেশনের প্রতিটি চার্জিং পয়েন্টের জন্য পৃথক মিটারিং ব্যবস্থা থাকবে। চার্জিং প্রক্রিয়ার শুরুতেই চার্জিং ব্যয় বৈদ্যুতিক ডিসপ্লে বোর্ড বা সাইনবোর্ডের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করতে হবে। চার-চাকা বিশিষ্ট বৈদ্যুতিক যান চার্জ করার জন্য পাবলিক চার্জিং স্টেশনে ডিসি চার্জার হিসেবে সমন্বিত চার্জিং পদ্ধতির চার্জার কানেক্টরের ন্যূনতম রেটেড পাওয়ার হবে ৫০ কিলোওয়াট।
Caption: Nitimala of Battery Chargin station pdf
ব্যাটারি বা বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন মূল্য তালিকা ২০২৪ । এক ঘন্টা চার্জ দিলে কত টাকা দিতে হবে?
- ফ্ল্যাট আওয়ারে ভোক্তা পর্যায়ে ১৫.২১ টাকা প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা।
- অফ-পীটক আওয়ারে ভোক্তা পর্যায়ে ১৬.২৪ টাকা প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা।
- সুপার অফ-পীক আওয়ারে ভোক্তা পর্যায়ে ১৪.২২ টাকা প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা।
- পীক আওয়ারে ভোক্তা পর্যায়ে ১৮.৯৭ টাকা প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা।
স্টেশনে যে কোন সময় চার্জ দেওয়া যাবে কি?
হ্যাঁ। চার্জিং স্টেশনের Daily operation Hour ১২ ঘন্টা, বার্ষিক পরিচালন দিন ৩৩০, চার্জিং দক্ষতা ৯৮%, অক্সিলিয়ারি বিদ্যুৎ কনজাম্পশন ২%, বার্ষিক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ মোট প্রধান হার্ডওয়্যার খরচের ৫%, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল সাপ্লাই ইক্যুইপমেন্ট (EVSE) ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার খরচ প্রতি ইউনিট ১.০০ টাকা, ইন্সুরেন্স খরচ মোট চার্জিং সিস্টেমের ব্যয়ের ২% ডেবট-ইক্যুইটি অনুপাত ৬০:৪০, ভেবট রি-পেমেন্ট পিরিয়ড ৬ বছর, ঋণের সুদের হার ১৩.০০%, কর্পোরেট কর হার ১৫.০০% বিবেচনা করে।
ফ্ল্যাট | অফ-পীক | পীক |
১৬.২৪ | ১৫.২১ | ১৮.৯৭ |
Pingback: অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি ২০২৪ । পাল্টা কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীও - Technical Alamin