সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া ২০২৫ । ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর বাড়ি ভাড়া কত দাঁড়াবে? - Technical Alamin
সরকারি আদেশ ও তথ্য

সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া ২০২৫ । ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর বাড়ি ভাড়া কত দাঁড়াবে?

সূচীপত্র

সরকারি নিয়মে, প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট (বেতন বৃদ্ধি) পাওয়ার পর বাড়ি ভাড়াও আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পায়। সাধারণত, বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের একটি অংশ হিসাবে ধরা হয় এবং মূল বেতন বাড়লে বাড়ি ভাড়াও বাড়ে। তবে, বাড়ি ভাড়া কত বাড়বে তা নির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন, কারণ এটি বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন – সরকারি কর্মচারী কোন গ্রেডে আছেন, তার মূল বেতন কত, এবং কোন শহরে বসবাস করছেন। – সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া ২০২৫

সরকারি কর্মচারীগণ কত শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া পান? ঢাকা শহর, বিভাগীয় শহর ও অন্যান্য এলাকার জন্য বাড়ি ভাড়া ভিন্ন হয়ে থাকে। বাড়ি ভাড়া সাধারণত মূল বেতনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ হয়ে থাকে। যেমন, “ক” অঞ্চলের জন্য এটি মূল বেতনের ৬০%, “খ” অঞ্চলের জন্য ৫০% এবং “গ” অঞ্চলের জন্য ৪৫% হতে পারে। এক্ষেত্রে মূল বেতন ও কর্মস্থলের অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে বাড়ি ভাড়া নির্ধারিত হয়।

জুলাই মাসে কি বাড়ি ভাড়াও বাড়ে? হ্যাঁ।  যদি কোন সরকারি কর্মচারী ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে ইনক্রিমেন্ট পান, তবে তার বাড়ি ভাড়া ভাতা ১ জুলাই, ২০২৫ থেকেই কার্যকর হবে। বাড়ি ভাড়া কত বাড়বে তা জানতে হলে, কর্মচারীর বর্তমান মূল বেতন এবং শহর অনুযায়ী বাড়ি ভাড়া হার জানা প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোন সরকারি কর্মচারী “উপজেলা” অঞ্চলের বাসিন্দা হন এবং তার বর্তমান মূল বেতন ২০,০০০ টাকা হয়, তবে তার বাড়ি ভাড়া হবে ২০,০০০ * ৪০% = ৮,০০০ টাকা। যদি তিনি ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে ৫% ইনক্রিমেন্ট পান, তবে তার নতুন মূল বেতন হবে ২০,০০০ + (২০,০০০ * ৫/১০০) = ২১,০০০ টাকা। নতুন মূল বেতনের ভিত্তিতে তার বাড়ি ভাড়া হবে ২১,০০০ * ৪০% = ৮,৪০০ টাকা।  সুতরাং, ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর বাড়ি ভাড়া ৫% বা (৪০০ টাকা) বৃদ্ধি পাবে। এই হিসাবটি শুধুমাত্র একটি উদাহরণ, প্রকৃত হিসাব কর্মচারীর বর্তমান বেতন ও শহর অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। এছাড়া, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর অনুচ্ছেদ ১৭ অনুযায়ী, বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়।

১৮৪০০ টাকা মূল বেতন হলে বাড়ি ভাড়া উপজেলায় কত হবে? সরকারি কর্মচারীদের বাসা ভাড়া বা বাড়ি ভাড়া গ্রেড ও কর্মস্থল অনুসারে নির্ধারিত হয়ে থাকে। যদি ঢাকা শহরে হয় তবে ১৮৪০০*৫৫% হারে ১০,১২০ টাকা আসবে। যদি বিভাগীয় শহর বা পৌর এলাকায় হয়ে থাকে তবে ১৮৪০০ টাকার উপর ৩ নং কলাম অনুসারে ৪৫% হিসেবে ৮২৮০ টাকা আসবে। যদি উপজেলায় কর্মরত থাকেন তবে ১৮৪০০*৪০% = ৭,৩৬০ টাকা। যদি মূল বেতন কম হয় এবং শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া বের করলে ন্যূনতম বাড়ি ভাড়ার কম আসে তবে সর্বনিম্ন বাড়ি ভাড়া প্রযোজ্য হইবে।

২০১৫ সালের পে স্কেল বাড়ি ভাড়া । সংযুক্ত অবস্থায় সরকারি বাড়ি ভাড়া নিয়ম । বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত গেজেট ।  বাড়ি ভাড়া আইন ২০২৫

ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর বাড়ি ভাড়া কত দাঁড়াবে? ইনক্রিমেন্ট (বেতন বৃদ্ধি) পাওয়ার পর বাড়ি ভাড়ার পরিমাণ মূলত আপনার মূল বেতনের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে, প্রতি বছর ১লা জুলাই তারিখে ৫% হারে ইনক্রিমেন্ট হয়ে থাকে। ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর, বাড়ি ভাড়াও আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পায়। ধরা যাক, আপনার বর্তমান মূল বেতন ৳২৫,০০০ টাকা। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ৫% হলে, আপনার বেতন বৃদ্ধি হবে।  ৳২৫,০০০ * ৫/১০০ = ৳১২৫০ টাকা। সুতরাং, ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর আপনার নতুন বেতন হবে: ৳২৫,০০০ + ৳১২৫০ = ৳২৬,২৫০ টাকা। বাড়ি ভাড়া সাধারণত মূল বেতনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ হারে দেওয়া হয়। তাই, নতুন বেতন অনুযায়ী বাড়ি ভাড়াও বৃদ্ধি পাবে। ধরা যাক, আপনাকে মূল বেতনের ৪০% হারে বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়। তাহলে, ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার আগে বাড়ি ভাড়া: ৳২৫,০০০ * ৪০/১০০ = ৳১০,০০০ টাকা। ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর বাড়ি ভাড়া: ৳২৬,২৫০ * ৪০/১০০ = ৳১০,৫০০ টাকা। সুতরাং, ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর আপনার বাড়ি ভাড়া ৳১০,৫০০ টাকা হবে। আপনার বর্তমান বেতন ও ইনক্রিমেন্টের হার জানালে, আমি আপনার জন্য সঠিক হিসাবটি করে দিতে পারব।

Caption: Govt. House Rent Chart 2025

কেরানির বাড়ি ভাড়া ২০২৫ । যদি মূল বেতন ৯৩০০ টাকা হয় তবে বাড়ি ভাড়া কত হবে

  1. ধরি, ঢাকা শহরে নতুন যোগদানকৃত কেরানির মূল বেতন ৯৩০০ টাকা।
  2. ১ জুলাই বেতন বেড়ে ৯,৭৭০ টাকা।
  3. ঢাকা সিটি অনুসারে ৬০% হারে ৫৮৬২ টাকা আসে।
  4. এখানে ন্যূনতম রেট অর্থা ৫৮৬২ টাকা নয় বরং ৬৪০০ টাকা প্রযোজ্য হইবে। ২নং কলাম অনুসৃত হইবে।
  5. ইনক্রিমেন্ট বাড়লে বাড়ি ভাড়া বাড়ল কি? ৯৩০০ টাকা অনুসারে বাড়ি ভাড়া ছিল ৯৩০০*৬৫% = ৬০৪৫ টাকা। বাড়ি ভাড়া পাবেন। এখন ৯৭৭০ টাকায় ৬০% হারে ৫৮৬২ টাকা আসে অর্থাৎ বাড়ি ভাড়া কমবে না এখানে ন্যূনতম রেট ৬৪০০ টাকা প্রযোজ্য হইবে সে অনুসারে তার ৩৫৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বেসরকারি কর্মচারী শিক্ষকগণও নাকি সরকারি হারে বাসা ভাড়া চায়?

হ্যাঁ। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও কোন সরকারই শিক্ষকদের বৈষম্য নিয়ে কাজ করে নি, বরং সময়ের সাথে সাথে বৈষম্য তৈরি করেছে। শিক্ষার সর্ব্বোচ্চ দায়িত্বে যারা থেকেছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সাথে বৈরি আচরন করেছেন। এমনকি খরচবিহীন সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত করেছে শিক্ষকদের। প্রতিটি শাসক যদি তার শাসনে কিঞ্চিৎ পরিমান সুযোগ সুবিধা ও বেতন ভাতা বর্ধিত করত, এতদিনে সকল বৈষম্য নিরসন হয়ে যেত। শিক্ষকদের পাঠদান রেখে রাস্তায় নামতে হতো না। শুধু বেতন ভাতা নয় শিক্ষাকেও শেষ করে দিয়েছে। ৯৭ ভাগ শিক্ষার দায়িত্ব যাদের হাতে তাদের সুযোগ সুবিধার গুরুত্ব না দিয়ে, প্রতিটি বাজেটে প্রকল্প প্রশিক্ষণ সহ অপ্রয়োজনীয় কাজে অর্থ খরচ করা হয়। পরিশেষে বলতে চাই, যে বৈষম্য বিগত শাসকরা করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সাথে, তা যদি একসাথেও পুরন করে, তারপরও পাওনা থেকে যায় রাষ্ট্রের কাছে। আগামীতে আর কোন বৈষম্য নয়, পর্যাপ্ত বাজেট রাখা হয়েছে এই অর্থ বছরে, তাই আংশিক নয়, নির্দিষ্ট সিলিং (২০০০) নয়, পরিপূর্ন সরকারি নিয়মে বাসা ভাড়া দিতে হবে। তাও যদি সম্ভব না হয় নূন্যতম (২৫-৩০)% দিয়ে যাত্রা শুরু করতে হবে। সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টার কথাকে যথাযথ সম্মান রেখে যৌক্তিক বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা শতভাগ করার লক্ষ্যে শিক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে দাবী করে আসছে।

   
   
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *