গোপনীয় অনুবেদন ফরম (১৭-২০ গ্রেড) ২০২৪ । প্রযোজ্য অংশ কর্মচারী কর্তৃক স্বহস্তে পূরণ করতে হবে?
সরকারি কর্মচারীদের এসিআর গ্রেড ভেদে ভিন্ন করা হয়েছে- ৪র্থ শ্রেণী তথা ১৭-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য ৫ পৃষ্ঠার এসিআর প্রস্তুত করা হয়েছে – গোপনীয় অনুবেদন ফরম (১৭-২০ গ্রেড) ২০২৪
এসিআর ফর্ম প্রিন্ট করেই ব্যবহার করা যাবে? হ্যাঁ। এটি এখন আর ফরম অফিস হতে সংগ্রহ করতে হয় না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.mopa.gov.bd) থেকে গোপনীয় অনুবেদন ফর্ম (PDF) A4 সাইজ কাগজে উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করে স্বহস্তে পূরণ করতে হবে। এসিআর ফর্মে কোনো প্রকার ওভার রাইটিং/কাটাকাটি/ঘষামাজা/ফ্লুইড ব্যবহার করা যাবে না। তবে অপরিহার্য হলে সংশ্লিষ্ট অংশটুকু একটানে কেটে অনুস্বাক্ষরসহ পুনরায় লিখতে হবে।
এসিআর অনুবেদনকারী কে? যে কর্মচারীর কাজের মূল্যায়ন করা হয় তিনিই অনুবেদনাধীন কর্মচারী; প্রশাসনিক সোপানে অনুবেদনাধীন কর্মচারীর ঊর্ধ্বতন সরাসরি নিয়ন্ত্রণকারী বা দৈনন্দিন কর্মকান্ড যিনি সরাসরি তত্ত্বাবধান করে থাকেন তিনি অনুবেদনকারী; প্রশাসনিক সোপানে অনুবেদনকারীর ঊর্ধ্বতন সরাসরি নিয়ন্ত্রণকারী বা তত্ত্বাবধানকারীই প্রতিস্বাক্ষরকারী।
প্রতি বছরই কি ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের এসিআর প্রেরণ করতে হবে? হ্যাঁ। প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের মধ্যে অনুবেদনাধীন কর্মচারী কর্তৃক পূর্ববর্তী বছরের প্রযোজ্য (বার্ষিক/আংশিক) সকল গোপনীয় অনুবেদন সংশ্লিষ্ট অনুবেদনকারীর নিকট দাখিল আবশ্যক। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে অনুবেদনকারী কর্তৃক গোপনীয় অনুবেদন অনুস্বাক্ষর করে প্রতিস্বাক্ষরকারীর দপ্তরে প্রেরণ আবশ্যক। প্রতিবছর মার্চ মাসের মধ্যে প্রতিস্বাক্ষরকারী কর্তৃক গোপনীয় অনুবেদন প্রতিস্বাক্ষরপূর্বক ডোসিয়ার সংরক্ষণকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ আবশ্যক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গোপনীয় অনুবেদন দাখিল, অনুস্বাক্ষর ও প্রতিস্বাক্ষরের ব্যর্থতা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হবে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা ২০২৪ pdf । নতুন এসিআর ফরম ডাউনলোড
অনুস্বাক্ষরকৃত এসিআর ফর্ম এক দপ্তর হতে অন্য দপ্তরে প্রেরণ করার সময় অবশ্যই সিলগালাযুক্ত খামে ‘গোপনীয়’ লিখে অগ্রায়নপত্রসহ প্রেরণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই ভাঁজ করা যাবে না এবং অনুবেদনাধীন কর্মচারীর মাধ্যমে ডোসিয়ার সংরক্ষণকারীর দপ্তরে প্রেরণ করা যাবে না।
Caption: 17-20 grade Staff ACR Form Download
বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন লেখার নিয়ম । ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের এসিআর ফরম
১। এ,সি, আর মানে বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন। প্রতিবছর জানুয়ারী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে দপ্তর প্রধান তার অধিনস্ত কর্মচারীদের গত বছরের এ,সি আর দিবেন। প্রতি বছরের এ, সি, আর প্রতি বছরই দিতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ক্রমেই তা ফেলে রাখা যাবে না। লক্ষ্য করা গেছে যে, দক্ষতা সীমা, টাইমস্কেল কিংবা পদোন্নতির জন্য কর্মচারীর ৩ বছরের বা ৫ বছরের এ, সি, আর চাওয়া হলে একই সঙ্গে ৩ /৫ বছরের এ, সি আর তৈরি করে জমা দেওয়া হয়। অর্থাৎ ঐ বছর গুলিতে সময়মত তাদের এ, সি, আর দেওয়া হয়নি। এই চর্চা পরিহার করতে হবে। প্রতিবছর নিয়মিত এ, সি, আর না দিলে দপ্তর প্রধান দায়ী থাকবেন।
২। প্রতি কর্মচারীর জন্য ২ কপি করে এ, সি, আর ফরম দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সম্পূর্ণ নিজ হাতে পূরণ করে দপ্তর প্রধানের নিকট গোপনে জমা দিবেন।
৩। এ, সি আর ফরমে প্রত্যেকটি কলাম যথাযথ ভাবে পূরন করতে হবে। কোনো কলাম ফাকা রাখা যাবে না। কিছু লেখার না থাকলে ‘প্রযোজ্য নয়’ কথাটি লেখতে হবে।
৪। এ, সি, আর অত্যন্ত গোপনীয় জিনিস। সুতরাং তা গোপন রাখতে হবে এবং অন্যের হাতে না দিয়ে নিজ হাতে সদর দপ্তরে পৌছাতে হবে। কি এ, সি আর দেওয়া হয়েছে তা কর্মচারীদেরকে জানানো যাবে না।
৫। দপ্তর প্রধানের অধিনে কোনো সহকারী শিক্ষক ৩ মাসের অধিক চাকুরী করলে তার পুরো বছরের এ, সি আর দেওয়া যাবে।
৬। প্রধান শিক্ষক অবসর গ্রহনের পর ১ বছর পর্যন্ত অধিনস্থ শিক্ষকগনের পূর্বে বছর গুলোর এ সি আর দিতে পারবেন।
৭। এ সি আর ফরমের ২ নং পাতায় ‘ফরম পুরনের নির্দেশাবলী’ এর ১ (ক) (খ) (গ) এবং ২ (ক) (খ) (গ) বিশেষ ভাবে পড়ে দেখার জন্য অনুরোধ করা হল।
৮। এ, সি আর ফরম কখনো ভাজ করা যাবে না।আস্ত অবস্থায় প্যাকেট করে জমা দিতে হবে।
৯। এ, সি, আর ফরমের উপরে ‘অফিসের নাম’ এর জায়গায় দপ্তরের নাম লেখতে হবে।
১০। ‘বার্ষিক প্রতিবেদন’ বলতে বুঝায় প্রতিবছর যে এ, সি, আর, দেওয়া হয়। আর ‘বিশেষ প্রতিবেদন’ বলতে বুঝায় বছরের ভাঙ্গা অংশের কয়েক মাসের সি, আর দেওয়া। অথবা কয়েক বছরের এ, সি, আর এক সঙ্গে একই তারিখের সাক্ষরে দেওয়া। সুতরাং বার্ষিক প্রতিবেদন দেওয়া হলে অফিসের নামের নিচে গত ১ বছরের প্রথম তারিখ এবং শেষ তারিখ লেখতে হবে। আর বিশেষ প্রতিবেদন হলে প্রকৃত তারিখ লেখতে হবে।
১১। এ,সি,আর ফরমের ‘অ’ অংশের ৫ (খ) কলাম শিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। ৯ নং কলাম হবে সি, এন, এড, অথবা বি, এড অথবা যে কোন পদোন্নতি পরীক্ষায় পাশের জন্য এবং বিশেষ কনো ট্রেনিং এর জন্য। ১০ নং কলামে ‘চাকুরির সঠিক মেয়াদ’ বলতে বুঝায় কর্মচারীর ঐ বছরের যে তারিখ থেকে যে তারিখ পর্যন্ত দপ্তর প্রধানের অধীনে ছিলেন।
১২।ফরমের ‘আ’ অংশের ১৬,১৭,১৮,১৯ নং কলামে দপ্তর প্রধান কিছু লেখতে চাইলে তা লেখতে পারবেন।
১৩। ফরমের ২ নং পাতায় ‘ই’ অংশের ১ ও ২ অনুচ্ছেদ পূরণ করার আগে পূর্বের পাতায় ‘আ’ অংশের যে মূল্যায়ন করা হয়েছে তা লক্ষ্য রাখতে হবে। কারন ঐ অংশের মূল্যায়নের সঙ্গে এই অংশের মূল্যায়ন সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
১৪। সর্বোপরি বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় যে, এ সি আর দেওয়া একটি পবিত্র দায়িত্ব। সুতরাং অন্যায় ভাবে কারও ভাল এ, সি, আর দেওয়া কিংবা খারাপ এ, সি আর, দেওয়া দুটোই সমান অপরাধ। যিনি এমনটি করবেন তিনি সরকার, দেশ, জাতি এবং স্রষ্টার নিকট দায়ী থাকবেন।
কর্মচারীর বদলিতে কি আংশিক এসিআর লাগে?
হ্যাঁ। বদলির কারণে পৃথক কর্মস্থল/অনুবেদনকারীর অধীনে কর্মকাল ন্যূনতম ০৩ (তিন) মাস হলে প্রতিক্ষেত্রেই আংশিক গোপনীয় অনুবেদন দাখিল বাধ্যতামূলক। আংশিক গোপনীয় অনুবেদন বদলির পরে অথবা বৎসর শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও দাখিল করা যাবে। একাধিক অনুবেদনকারীর নিয়ন্ত্রণে কর্মরত থাকার কারণে কোনো অনুবেদনকারীর নিয়ন্ত্রণে কর্মকাল একটানা ০৩ (তিন) মাস না হয়ে একই কর্মস্থলে একই প্রতিস্বাক্ষরকারীর নিয়ন্ত্রণে কর্মকাল ন্যূনতম একটানা ০৩ (তিন) মাস হলে প্রতিস্বাক্ষরকারীর নিকট সরাসরি গোপনীয় অনুবেদন দাখিল করতে হবে।
কর্তৃপক্ষ কি গোপনে বিরূপ মন্তব্য লিখতে পারে? না। কোনো বৎসর/সময়ে প্রতিস্বাক্ষরকারী একাধিক হলে যাঁর অধীনে অধিকাল কর্মরত ছিলেন তাঁকে উক্ত এসিআর প্রতিস্বাক্ষর করতে হবে। প্রত্যেকের নিয়ন্ত্রণে কর্মকাল সমান হলে যিনি সর্বশেষ তাঁকে প্রতিস্বাক্ষর করতে হবে। বিরূপ মন্তব্য প্রদানের পূর্বে অনুবেদনাধীন কর্মচারীকে অবশ্যই লিখিতভাবে সতর্ক করে সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে। এসিআর সংক্রান্ত অনুশাসনমালা অনুসরণপূর্বক বিরূপ মন্তব্যের বিষয়ে সতর্কীকরণ নোটিশের কপিসহ দালিলিক তথ্যপ্রমাণ এসিআর এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
১-২০ গ্রেডের আলাদা আলাদা এসিআর ফরম ডাউনলোড করুন: গুগল ড্রাইভ
ACR New Form 2024 । সর্বশেষ প্রকাশিত এসিআর ফরমসহ নিয়মাবলী