ভূমি জরিপ কখন হবে ২০২৩ । বিডিএস জরিপ কি বাতিল নাকি চলছে?

ভূমি জরিপ কখন হবে ২০২৩ । বিডিএস জরিপ কি বাতিল নাকি চলছে?

বিডিএস জরিপ সম্পূর্ণ হলে বিএস জরিপসহ অন্যান্য জরিপ কার্যকারিতা হারাবে এবং ডিজিটাল জরিপ সকল সময়ের জন্য কার্যকর থাকবে – ভূমি জরিপ কখন হবে ২০২৩

জমির মালিককে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে–ভূমি জরিপ চলাকালে ভূমি মালিকের সর্বোচ্চ সতর্কতা স্বরূপ তার জমি নিজের নামে রেকর্ড করা বলে জরিপের সময় ভূমি মালিকের বেশ কিছু রেকর্ড সংগ্রহে রাখতে হয় এবং কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে নয়তো জমি নিয়ে ভবিষ্যতে নানা রকম হয়রানির শিকার হবেন।

ডিজিটাল জরিপ কোথায় কোথায় শুরু হয়েছে? ডিজিটাল জরিপের পাইলট প্রোগ্রাম চলছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও ধামরাইয়ে এই ডিজিটাল জরিপের কাজ চলছে বলে অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারা দেশে ডিজিটাল জরিপের সক্ষমতা অর্জনে গত বছর এক হাজার তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ বছর মেয়াদি ডিজিটাল সার্ভের উদ্যোগ নেয়া হয়। তিনটি পার্বত্য জেলা ছাড়া দেশের ৪৭০টি উপজেলার মৌজা পর্যায়ে জিওডেটিক সার্ভের মাধ্যমে ২ লাখ ৬০ হাজার ৩১০টি জিও-রেফারেন্সিং পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে ও ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৮৮টি মৌজা ম্যাপের ডাটাবেজ প্রস্তুত করা হবে।

এ পর্যন্ত দেশে কি কি ভূমি জরীপ সম্পন্ন হয়েছে?  আমাদের দেশে ভূমি জরিপ বা রেকর্ডগুলো হচ্ছে- মসী জরিপ ১৮৩২-১৮৪৮ সালে জরিপ, সি.এস জরিপ (Cadastral survey -1888),  এস. এ জরিপ (state acquisition survey), পি.এস জরিপ (Pakistan survey), আর. এস জরিপ (Revisional survey), বি.এস জরিপ (Bangladesh survey 1970-1985), সিটি জরিপ (City survey 1999-2000) এবং বর্তমানে বিডিএস জরীপ চলমান রয়েছে।

অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ে জনবলের প্রকট অভাব । সিটিপি পদ্ধতিতে ম্যাপ উৎপাদনে উপযুক্ত প্রশিক্ষিত ও কারিগরী জ্ঞানসম্পন্ন জনবলের স্বল্পতা প্রশিক্ষিত জনবল ও ডিজিটাল জরিপের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির স্বল্পতা ইত্যাদি জরিপ বিভাগের অন্যতম সমস্যা। তথাপি চলমান জরিপ কাজ সম্পাদন, কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং গৃহিত কর্মসূচী বাস্তবায়ন চলমান জরিপ কাজে অধিদপ্তরের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

ডিজিটাল ভূমি জরিপ ২০২৩ । ভূমি জরিপ পদ্ধতি । বিডিএস জরিপ ২০২৩

বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ডিজিটাল জরিপ চালু করেছে সরকার। ডিজিটাল জরিপ কার্যকর হলে পুরনো জরিপ বাতিল হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ডিজিটাল জরিপ চালু করতে যাচ্ছে সরকার। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সংসদে মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ডিজিটাল জরিপ কার্যকর হলে পুরনো জরিপ বাতিল হয়ে যাবে। এই ডিজিটাল জরিপ কিভাবে হবে? তাছাড়া পুরনো জরিপ বাতিল হয়ে যাবার অর্থ কী?

Caption: সূত্র দেখুন

ভূমি জরিপকালীন ডকুমেন্ট ২০২৩ । ভূমি মন্ত্রণালয় বা অফিস কর্তৃক জরিপকালে জমির মালিক যে সকল কাগজপত্র সংগ্রহে রাখবে

  1. ভূমি জরিপ চলাকালীন সময়ে দখলের ভিত্তিতে নকশা তৈরি করা হয়। তাই ভূমি জরিপে আগেই জমির আইন বা সীমানা নির্ধারণ করে রাখা।
  2. মালিকানা প্রমাণের জন্য সকল প্রকারের কাগজপত্র সংরক্ষণ করা।
  3. জমি নিয়ে যদি কোন মামলা থাকে মামলার কাগজ প্রমাণাদি সংরক্ষণ করা।
  4. মাঠ পর্যায়ে আমীনকে (ভূমি পরিমাপক) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শন করে সঠিকভাবে রেকর্ড করাতে সহায়তা করা।
  5. প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে যথা সময়ে দিসপুট (dispute)/ আপত্তি/আপিল দায়ের করা।
  6. জমির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র তপসিল অফিসারকে দেখিয়ে নিজ আনুকূল্যে তসদিক (attestation) করে নেওয়া।
  7. জমির পরিমাণ কম বেশী হলে বদর ফি দিয়ে পুনরায় পরিমাপের জন্য বদর দরখাস্ত দাখিল করা।
  8. কোন বৈধ মালিকের নাম বাদ পড়লে বা অবৈধভাবে কারো নাম খতিয়ানে উঠানো হলে বা কারণিক কোন ভুল। জমির পরিমাণে ভুল থাকলে তসদিক অফিসারকে অবহিত করে রেকর্ড করে নিতে হবে।
  9. খসড়া প্রকাশ করা হলে বা ডিপি চলাকালে রেকর্ড পরিদর্শন করে যদি রেকর্ডে ভুল থাকে তবে নিয়ম অনুযায়ী আপত্তি কেইস দাখিল করতে হবে।
  10. ডিপির সময় ভূমি মালিকের উচিৎ সংশ্লিষ্ট ভূমি কার্যালয়ে উপস্থিত থাকা।
  11. আপত্তি কেসের রায়ে সংক্ষুব্ধ হলে সময় মতো রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি (certified copy) তুলে ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে আপীল দায়ের করতে হবে।
  12. মুদ্রিত রেকর্ড চূড়ান্ত প্রকাশনার সময় মালিক তার প্রতিনিধি পুনরায় রেকর্ড দেখার সুযোগ পাবে। এসময় ভূমি মালিক মুদ্রিত খতিয়ানের কপি এবং নকশা নির্ধারিত মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন। যদি মুদ্রিত রেকর্ড কোন জালিয়াতি, কারণিক, গাণিতিক বা মুদ্রণ ভুল থাকে তবে এসএস ম্যানুয়ালের ৫৩৩/৫৩৪ ধারায় তা সংশোধনের জন্য চূড়ান্ত প্রকাশনার সময় সেটেলমেন্ট অফিসারের নিকট আবেদন (application) দাখিল করতে হবে।
  13. আপীল রায়ে কেউ সন্তুষ্ট না হলে মৌজা গেজেট হওয়ার ১-৩ বছরের মধ্যে ২০০ টাকার কোর্ট ফি দিয়ে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা যাবে।

জরীপকালের বিশেষ সতর্কতা কি?

জরিপ চলাকালীন সময়ে ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে ভূমি মালিকের সচেতনতা বাড়ানো উচিৎ। তা না হলে কষ্টের উপার্জিত টাকায় কেনা জমি রক্ষা করা সম্ভব হবে না। জরিপ চলাকালে নানা ধরণের দালাল, টাউট, বাটপার আর অসাধু লোক থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে না বুঝলে এদের খপ্পরে না পড়ে আইনজীবীর (সিভিল ল’ইয়ার) পরামর্শ নিতে পারেন।

Bangladesh Digital Survey । ডিজিটাল ভূমি জরিপে জমির রেকর্ড ভুল থাকলে করণীয় কী?ভূমি জরিপ ইতিহাস । জরিপ কার্যক্রম কিভাবে পরিচালিত হয়?সর্বশেষ ভূমি জরিপ । ভূমি জরিপ কখন হবে ২০২৩?

নকশা ও রেকর্ড সংশোধন । ভূমি জরিপে নকশা ও রেকর্ডে ভুল সংক্রান্ত ২০টি প্রশ্নের উত্তর জানুন