New Bike Registration – রেজিস্ট্রেশন ফরম, আপনার বাইক ক্রয়ের ক্যাশ ম্যামো, যেখান থেকে বাইকটি কিনেছেন সেখান থেকে গেট পাশ এর স্লীপ নিতে হবে, মূসক (মূল্য সংযোজন কর) চালান যে ডিলার থেকে বাইক কিনেছেন তার সমীপে, মূসক ১১ এর চালান পত্র যে আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান থেকে কিনেছেন তার সমীপে, রেজিস্ট্রেশন ফি ট্রেজারী চালানপত্র ইত্যাদি নিয়ে বিআরটিএ’তে গিয়ে মোটরবাইক ইনস্পেকশন করানো এবং পরবর্তীতে ফিঙ্গার প্রিন্ট ছবি তোলার কাজ শেষ করার মাধ্যমে বিআরটিএ ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে। নম্বর প্লেট ও স্মার্ট কার্ড রেডি হলে মোবাইলে মেসেজ পাবেন। বাইক রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৩। নতুন বাইক রেজিস্ট্রেশনে কোন খাতে কত টাকা ফি দেখে নিন।

চলুন বিস্তারিত জেনে নিই- সেবাপ্রত্যাশী সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তাঁর মোটরযানের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবেন। অত:পর বিআরটিএ অফিস কর্তৃক তাঁর আবেদন ও সংযুক্ত দালিলাদি যাচাই-বাছাই করে সঠিক পাওয়া গেলে গ্রাহককে প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন ফি জমা প্রদান করতে একটি এ্যাসেসমেন্ট স্লিপ প্রদান করা হবে এবং ফি জমা প্রদানের পর গাড়িটি পরিদর্শণের জন্য বিআরটিএ অফিসে হাজির করতে হবে। গাড়িটি পরিদর্শণ করার পর মালিকানা ও গাড়ি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিআরটিএ ইনফরমেশন সিস্টেমে এন্টি পর সহকারী পরিচালক(ইঞ্জি:) কর্তৃক রেজিস্টেশনের অনুমোদন প্রদান করা হয় এবং রেজিস্ট্রেশন রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখপূর্বক একটি প্রাপ্তিস্বীকারপত্র, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও ট্যাক্স টোকেন প্রিন্ট করে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর করত: গ্রাহককে প্রদান করা হয়। Best Motorcycle Chain cleaning System । মোটর সাইকেলের চেইন পরিষ্কার এবং লুব করার উপায় ২০২৩

ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট(ডিআরসি) তৈরীর নিমিত্ত গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) প্রদানের জন্য গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট অফিসে উপস্থিত হতে হবে; এজন্য গ্রাহককে তার মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে অবগত করা হয়। বায়োমেট্রিক্স প্রদানের পর ডিআরসি গ্রহণের জন্যও গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে অবগত করা হয়।

নতুন বাইক রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া / বাইক কেনার পর যেভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন

ডিলারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করলে আপনার কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না। ১৫০০-২০০০ টাকা বেশি নেয় শোরুম কতৃপক্ষ এতে করে ক্রেতা বিআরটিএ ঝামেলা বিহীন বাইক রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারে।

নতুন মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া জেনে নিন ২০২২ । BRTA New Bike Registration

Caption: new bike registration system

নতুন বাইক বা মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি । যে সকল কাগজপত্র ছাড়া বাইক রেজিস্ট্রেশন হয় না।

  1. মালিক ও আমদানিকারক/ডিলার কর্তৃক যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষর করা নির্ধারিত আবেদনপত্র [আবেদন ফরম এ ওয়েবসাইটের DOWNLOAD FORMS থেকে বা বিআরটিএ অফিস হতে সংগ্রহ করা যাবে];

  2. একাধিক ব্যক্তি যৌথভাবে কোনো গাড়ির মালিক হলে সে-ক্ষেত্রে একজনের নামে রেজিস্ট্রেশনের জন্য সকলের সম্মতি সম্বলিত হলফনামা; প্রতিষ্ঠান/কোম্পানির ক্ষেত্রে স্বাক্ষর ও সিলমোহর; ব্যাংক অথবা অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানের সাথে গাড়ির মালিকানার আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্যাডে রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন;
  3. বিল অব এন্ট্রি, ইনভয়েস, বিল অব লেডিং ও এলসিএ কপি;
  4. সেল সার্টিফিকেট /সেল ইন্টিমেশন/বিক্রয় প্রমাণপত্র (আমদানিকারক/বিক্রেতা প্রদত্ত);
  5. প্যাকিং লিস্ট, ডেলিভারী চালান ও গেইট পাশ (সিকেডি গাড়ির ক্ষেত্রে);
  6. টিন সার্টিফিকেট এবং অগ্রিম/অনুমিত আয়কর প্রদানের প্রমাণপত্র;
  7. বিদেশি নাগরিকের নামে রেজিস্ট্রেশন/মালিকানা বদলি হলে বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট এবংভিসার মেয়াদের কপি;
  8. (ক) মূসক-১ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), (খ) মূসক-১১(ক)/ভ্যাট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), (গ) ভ্যাট পরিশোধের চালান(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে )
  9. প্রস্ত্ততকারক/বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদিত বডি ও আসন ব্যবস্থার স্পেসিফিকেশন সম্বলিত ড্রইং (বাস, ট্রাক, হিউম্যান হলার, ডেলিভারী ভ্যান, অটো টেম্পু ইত্যাদি মোটরযানের ক্ষেত্রে);
  10. সিকেডি মোটরযানের ক্ষেত্রে বিআরটিএ’র টাইপ অনুমোদন ও অনুমোদিত সংযোজনী তালিকা;
  11. বডি ভ্যাট চালান ও ভ্যাট পরিশোধের রসিদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
  12. প্রযোজ্য রেজিস্ট্রেশন ফি জমাদানের রসিদ;
  13. কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ছাড়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
  14. ব্যক্তি মালিকানাধীন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/টেলিফোন বিল/বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদির যে-কোনটির সত্যায়িত ফটোকপি এবং মালিক প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে চিঠি;
  15. নিলামে ক্রয়কৃত প্রতিরক্ষা বিভাগের গাড়ির ক্ষেত্রে লগবুকে বর্ণিত প্রস্ত্ততকাল ও প্রস্ত্ততকারকের বিস্তারিত বিবরণ সম্বলিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদত্ত ছাড়পত্র;
  16. নিলামে ক্রয়কৃত সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের গাড়ির ক্ষেত্রে নিলাম সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং মেরামতের বিস্তারিত বিবরণ।
  17. বিকন্ডিশন্ড মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে- ক) ‘টিও’ ফরম (ক্রেতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত), ‘টিটিও’ ফরম ও বিক্রয় রসিদ (আমদানিকারক কর্তৃক স্বাক্ষরিত)। খ) ডি-রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের মূল কপি এবং ডি-রেজিস্ট্রেশনের ইংরেজি অনুবাদের সত্যায়িত কপি (সার্টিফিকেট অব ক্যানসেলেশন এর সত্যায়িত কপি); গ) এক কপিতে একাধিক গাড়ির বর্ণনা থাকলে মূলকপি প্রদর্শনপূর্বক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/বিভাগ কর্তৃক সত্যায়িত কপি দাখিল করা যাবে।
  18. মোটরযান পরিদর্শক কর্তৃক গাড়িটির পরিদর্শন প্রতিবেদন;

শোরুমের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করালে সুবিধা কি?

সুবিধা একটাই দৌড়াতে হবে না – যারা চাকরি করেন বা খুব বেশি ব্যস্ত থাকেন তারা শোরুমের মাধ্যমেই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকেন। প্রকৃত রেজিস্ট্রেশন ব্যয় থেকে হাজার দুই টাকা বেশি দিতে হয়।

সূত্র: ডাউনলোড