ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি ২০২৩ । প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা ভাতা হারে ২ বছর ভাতা পাওয়া যায়?

ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি ২০২৩ । প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা ভাতা হারে ২ বছর ভাতা পাওয়া যায়?

গত একযুগ আগে থেকেই বেকার ভাতার মতই একটি ট্রেনিং কর্মসূচী বাংলাদেশে চালু রয়েছে-এটি জেলা ভিত্তিক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে- ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি ২০২৩

বাংলাদেশে বেকার ভাতা বা কর্মভাতা পাওয়া যায়?– এটি মূলত বেকার ভাতা নয়। ন্যাশনাল সার্ভিস সরকারের উচ্চ-অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত একটি কর্মসূচি যার মাধ্যমে একজন শিক্ষিত বেকার যুবক/যুবমহিলা জাতিগঠনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়ে ২ বছর মেয়াদী অস্থায়ী কর্মসংস্থান লাভ করে। এ কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট যুবক ও যুবমহিলাদের কর্মমেয়াদ শেষে জীবন গড়ার জন্য জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করে থাকে। শিক্ষিত বেকার যুবক/যুবমহিলাগণ অংশ গ্রহণ করতে পারেন। একজন যুবক/যুবমহিলাকে উচ্চ মাধ্যমিক ও তদূর্ধ্ব শিক্ষগত যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে এবং তার বয়স হতে হবে ২৪-৩৫ বছর।

দৈনিক ভাতা কি মাস শেষে পাওয়া যায়? হ্যাঁ। তবে ৬০০০ টাকার মধ্যে ২০০০ টাকা জমা রাখতে হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষে তা মুনাফা সহ ফেরত পাওয়া যায়। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাসত্মবায়নের জন্য শিক্ষিত বেকার যুবদের অস্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির অধীনে একজন শিক্ষিত বেকার যুবক/যুবহিলাকে নীতিমালা অনুযায়ী ১০টি নির্ধারিত মডিউলে ৩ মাস প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং প্রশিক্ষণোত্তর তাকে ২ বছর মেয়াদী অস্থায়ী কর্মসংস্থান দেয়া হয়। প্রত্যেক যুবক/যুবমহিলা প্রশিক্ষণকালীন দৈনিক ১০০/- টাকা এবং কর্মকালীন দৈনিক ২০০/- টাকা হারে ভাতা প্রাপ্য হবেন। এ কর্মসূচি শিক্ষিত বেকার যুবদের জাতিগঠনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণের একটি উল্লেখযোগ্য প্রক্রিয়া। কর্মসূচির প্রশিক্ষণ ও অস্থায়ী সংযুক্তির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একজন যুবক/যুবমহিলা কর্ম-সমাপনান্তে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণে সক্ষম হবেন।

কর্মসংস্থানের অস্থায়ী ক্ষেত্র কি কি? প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণিতে পাঠদানের কাজে দক্ষতা অর্জন। যে সকল স্কুলে কম্পিউটার কোর্স চালু আছে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজে দক্ষতা অর্জন করানো হয়। জননিরাপত্তা,জনসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, ট্রাফিক আইন এবং মৌলিক আইন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার জন্য কম্যুনিটি পুলিশ হিসেবে কাজ করতে পারবেন। স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতষ্ঠিানসমূহ যেমনঃ হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদি স্থানে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারীদের সহায়তা প্রদানের কাজে সংযুক্তি হিসেবে কাজ করবে। কৃষিঋণ প্রাপ্তিতে কৃষককে সহায়তা প্রদানের কাজে এবং সরকারের অন্যান্য সংস্থার ঋণ প্রাপ্তিতে সাধারণ জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদানের কাজ করবে। উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরা ও অন্যান্য খাদ্য দ্রব্য পরিবেশনকারী প্রতিষ্ঠানে ভেজাল প্রতিরোধে নজরদারি কর্মকান্ডে সহায়তার কাজ করবে।

কৃষি কাজে কোন দক্ষতা অর্জন করানো হবে কি? গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি ও মৎস্য চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক ও যুবমহিলাদেরকে আত্মকর্মসংস্থানের কাজে সহায়তা করা করবে। কৃষি সংক্রান্ত তথ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও কৃষকদের মধ্যে আদান প্রদানের কাজে, কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ সংক্রান্ত তথ্য কৃষকদের নিকট পৌঁছানোর কাজে এবং সার, বীজ, ডিজেল সংক্রান্ত সরকারী সিদ্ধামত্ম বাস্তবায়নে সহযোগিতার কাজ করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টি তথ্য প্রচার এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার ও পুনর্বাসনে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা সেবা প্রদান করবে। বিদ্যালয়ের ক্রীড়া কর্মকান্ড উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়াদিতে সহায়তা প্রদান করবে। পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং নার্সারীতে চারা উত্তোলনের জন্য বীজ সংগ্রহ, চারা উত্তোলন,চারা রোপন,বাগান সৃজন ইত্যাদি কাজে সহায়তা প্রদান করবে। বয়স্কভাতা ও অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজে সহায়তা প্রদান এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক যে সব অবকাঠামো নির্মাণ করা হয় সেগুলোর তদারকি এবং রক্ষণাবেক্ষণ কাজে সহায়তা প্রদান করবে। উপরোক্ত ক্ষেত্র ছাড়াও স্থানীয় প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক ও যুবমহিলাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবামূলক কাজে নিয়োজিত করা যাবে। যে সকল দপ্তর/ সংস্থা এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত যুবদেরকে সংযুক্তি/ পদস্থাপন করা হবে সে সকল প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানেই নিয়োজিত যুবরা কাজ করবেন।

কর্মসূচির প্রশিক্ষণ কার্যক্রম । কর্মসূচির ৩ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণকে মৌলিক প্রশিক্ষণ বলা হয়। মৌলিক প্রশিক্ষণে ১০টি নির্ধারিত মডিউল রয়েছে। মডিউলগুলো হচ্ছে-

কর্মসূচির অস্থায়ী কর্মসংস্থান সাময়িক যার মেয়াদ মাত্র ২ বছর। মেয়াদ শেষে সংশ্লিষ্ট যুবক বা যুবমহিলার অস্থায়ী কর্মসংস্থান স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাপ্ত হবে। এটি কোন সরকারী চাকুরী নয়। স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট যুবক ও যুবমহিলাগণ সংযুক্তি প্রাপ্তির মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে সেবাদান করে থাকে। উল্লেখ্য যে প্রশিক্ষণের পর অস্থায়ী সংযুক্তি প্রাপ্তির পূর্বে প্রশিক্ষিত যুবদেরকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হয়।

ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি ২০২৩ । প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা ভাতা হারে ২ বছর ভাতা পাওয়া যায়?

ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির নীতিমালা (সংশোধিত) PDF Download

শিক্ষত বেকারদের জন্য ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি । কোন কোন জেলায় বাস্তবায়ন হয়েছে? । চাকরি হলেই প্রশিক্ষণ এবং কর্মভাতা বন্ধ হয়ে যাবে

  1. পাইলট কর্মসূচি-১ম পর্ব (কুড়িগ্রাম,বরগুনা ও গোপালগঞ্জ জেলা)
  2. ২য় পর্ব (রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ব্যতীত অবশিষ্ট ৭টি জেলার ৮টি উপজেলা) ২য় পর্বভুক্ত ৭টি জেলার ৮টি উপজেলা হচ্ছে,- পীরগঞ্জ ও কাউনিয়া (রংপুর), হাতিবান্ধা (লালমনিরহাট), ফুলছড়ি (গাইবান্ধা), ডিমলা (নীলফামারী), খানসামা (দিনাজপুর), হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) এবং পঞ্চগড় সদর (পঞ্চগড়)।
  3. ৩য় পর্ব (১৭টি জেলার ১৭টি উপজেলা) ৩য় পর্বভুক্ত ১৭টি জেলার ১৭টি উপজেলা হচ্ছে,- ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, শেরপুর জেলার শেরপুর সদর, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, শরিয়তপুর জেলার গোসাইরহাট, কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ, চাঁদপুর জেলার হাইমচর, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, নাটোর জেলার সিংড়া, খুলনার তেরখাদা, বাগেরহাটের চিতলমারী, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ, পিরোজপুরের কাউখালী, ঝালকাঠির নলছিটি এবং বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলা।
  4. ৪র্থ পর্ব (০৭টি জেলার ২০টি উপজেলা) ৪র্থ পর্বভুক্ত ৭টি জেলার ২০টি উপজেলা হচ্ছে যথাক্রমে বরিশাল জেলার হিজলা, মুলাদী, গৌরনদী, আগৈলঝড়া, উজিরপুর, বাকেরগঞ্জ, বানারীপাড়া ও বাবুগঞ্জ; সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট; ময়মনসিংহ জেলার ময়মনসিংহ সদর, ফুলপুর, তারাকান্দা, ধোবাউড়া ও ঈশ্বরগঞ্জ; রংপুর জেলার গংগাচড়া; শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ; জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ ও ইসলামপুর এবং পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর।
  5. ৫ম পর্ব (১৫টি জেলার ২৪টি উপজেলা) ৫ম পর্বভুক্ত ২৪ টি উপজেলা হচ্ছে ইন্দুরকানি (পিরোজপুর), ভোলা সদর, (ভোলা), কচুয়া, হাজীগঞ্জ, মতলব (দক্ষিণ) (চাঁদপুর জেলা); জাজিরা, শরিয়তপুর সদর, (শরিয়তপুর), বকশীগঞ্জ, জামালপুর সদর, মেলান্দহ (জামালপুর), জকিগঞ্জ সিলেট, আশাশুনি, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা), সাঘাটা, সাদুল্লাপুর, (গাইবান্ধা), ফুলবাড়িয়া, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ), তারাগঞ্জ (রংপুর), জুড়ি (মৌলভীবাজার), বরিশাল সদর (বরিশাল), নাইক্ষংছড়ি (বান্দরবান), রামগড়, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি), বিলাইছড়ি (রাংগামাটি)।
  6. ৬ষ্ঠ পর্ব (১৩টি জেলার ২০টি উপজেলা) ৬ষ্ঠ পর্বভুক্ত ২০টি উপজেলা নিম্নরুপ: বদরগঞ্জ (রংপুর), গৌরীপুর (ময়মনসিংহ), পীরগাছা (রংপুর), নড়িয়া (শরীয়তপুর), শ্রীবর্দী (শেরপুর), নেছারাবাদ (সরুপকাঠি), ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর), রাজাপুর (ঝালকাঠি), শাহরাস্তি (চাঁদপুর), সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা), ডামুড্যা (শরীয়তপু্র), কয়রা (খুলনা), গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা), মিঠাপুকুর (রংপুর), তালা (সাতক্ষীরা), জৈন্তাপুর (সিলেট), লক্ষীপুর সদর (লক্ষীপুর), ত্রিশাল (ময়মনসিংহ), পাংশা (রাজবাড়ি) এবং কলারোয়া (সাতক্ষীরা)।
  7. ৭ম পর্ব (১৩টি জেলার ২০টি উপজেলা) ৭ম পর্বের ২০টি উপজেলা হলো ,- পিরোজপুর সদর (পিরোজপুর), কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট), মতলব (উত্তর) ও ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর), নকলা (শেরপুর), সোনাগাজী (ফেনী) গাইবান্ধা সদর ও পলাশবাড়ি (গাইবান্ধা), শরণখোলা, মোড়লগঞ্জ ও মোল্লারহাট (বাগেরহাট), সরিষাবাড়ি (জামালপুর), দেবহাটা ও সাতক্ষীরা সদর (সাতক্ষীরা), গোদাগাড়ি (রাজশাহী), মুরাদনগর ও নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা), আজমিরিগঞ্জ (হবিগঞ্জ), বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ), নাগরপুর (টাঙ্গাইল)।

দৈনিক কত টাকা করে ভাতা হিসাব করা হয়?

প্রশিক্ষণকালীন একজন যুবক/যুবমহিলা দৈনিক ১০০/- টাকা হরে প্রশিক্ষণভাতা এবং কর্মকালীন একজন যুবক/যুবমহিলা দৈনিক ২০০/- টাকা হরে কর্মভাতা প্রাপ্য হবেন। অন্যান্য সুবিধাদির মধ্যে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার সনদ লাভ এবং বাধ্যতামূলক সঞ্চয় করার সুযোগ পাবে। বিধান অনুযায়ী একজন যুবক/যুবমহিলা মাসিক মোট কর্মভাতা ৬০০০/- টাকার মধ্যে ২০০০/- টাকা বাধ্যতামূলকভাবে তার ব্যাংক হিসাবে সঞ্চয় করবেন যা ২ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর ফেরত পাবেন। কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্তির জন্য কোন ফি জমা দিতে হয় না। অনাবাসিক। নিজ আবাস থেকে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করতে হয়।

ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচিতে অংশ গ্রহনের আবেদন কিভাবে করতে হয়? দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় অন্তর্ভূক্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। অতঃপর ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির্ভুক্ত উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারে বরাবরে আবেদন করতে হয়। ছবি,সকল সনদপত্র,নাগরিকত্বের সনদ,বেকারত্বের সনদ ইত্যাদির সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনপত্রের সাথে দিতে হবে। সত্যায়িত বিষয়টি হচ্ছে সঠিকতা যাচাই। ১ম শ্রেণির গেজেটেড অফিসার কর্তৃক যাবতীয় সনদপত্র সত্যায়িত করতে হবে। যুবদের নিকট থেকে আবেদন প্রাপ্তির পর অফিস পর্যায়ে তা পরীক্ষা করা হয়। আবেদনকারীদের উপর জরিপ পরিচালনা করা হয়। প্রয়োজনে যুবদের কর্তৃক দাখিলকৃত তথ্যাদি যাচাইয়ের জন্য সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতরা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে করণীয় জেনে নিবেন।

কখন কর্মসূচী আবার চালু হবে? উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার নোটিশ বোর্ড থেকে। কর্মসূচির উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে প্রশিক্ষণ শুরুহয়। এজন্য নির্দিষ্ট রুটিন মেনটেন করা হয়। প্রশিক্ষণের নির্দিষ্ট রুটিন থাকে,নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নির্দিষ্ট প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করা হয়। প্রশিক্ষণ ও কর্মভাতা উপস্থিতির ভিত্তিতে মাস শেষে বিল করে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রদান করা হয়ে থাকে । উল্লেখ্য কর্মভাতার বিলের অর্থ সংশ্লিষ্ট যুবকও যুবমহিলাদের ব্যাংক হিসাবে জমা হয় এবং সেখান থেকে তারা কর্মভাতা উত্তোলন করেন । বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী কর্মসংস্থান শেষে নিজ উদ্যোগে কিছু করার চেষ্টা করেন। অন্যথায় বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী লাভের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন । সরকার তাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ।

কর্মভাতা হিসাব করে কিভাবে? কর্মসূচি মূল্যায়ন করার জন্য তিনস্তর বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি রয়েছে ; যথা (১) কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি (২) জেলা সমন্বয় কমিটি ও (৩)উপজেলা সমন্বয় কমিটি। এছাড়া নিয়মিতভাবে কার্যক্রমের অগ্রগতি জানার জন্য নির্দিষ্ট রিপোর্টিং পদ্ধতি রয়েছে। এর বাইরে খ্যাতনামা সরকারী / বেসরকারী প্রতিষ্ঠান দ্বারা কর্মসূচির সামগ্রিক কার্যক্রম মাঝে মাঝে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। কর্মসূচির মূল্যায়ন করা হয়েছে। বার্ড, কুমিল্লা ও আরডিএ, বগুড়া মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পাদন করে। তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয় যে, এ কর্মসূচি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। শিক্ষিত বেকার যুবদের অস্থায়ী কর্মসংস্থানের জন্য এ কর্মসূচি এক মাইল ফলক। যুবক/ যুবমহিলা প্রশিক্ষণ বাছাই প্রক্রিয়া খুবই যৌক্তিক হওয়া প্রয়োজন এর সম্প্রসারণ প্রয়োজন।

১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম পর্বে মোট ১৯৩৯৮৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তন্মেধ্যে ১৯১৬৫০ জনকে অস্থায়ী কর্মে সংযুক্তি প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্বের ১০২৪৯২ জনের ২ বছরের অস্থায়ী সংযুক্তি সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৮৯১৫৮ অস্থায়ী কর্মে নিয়োজিত আছে। এ পর্যন্ত কর্মসমাপনকারী যুবদের মধ্যে ১০২৪৯২ জনের অস্থায়ী কর্মসংযুক্তি সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৮৯১৫৮ জন অস্থায়ী সংযুক্তিতে আছে। ১ম, ২য় ও ৩য় পর্বের মোট ৫৫৯১ জনের কর্মসংস্থান ও ৩৭৪২৩ জনের অস্থায়ী কর্মসংস্থান, মোট ৪৩০১৪ জনের কর্মসংস্থান ও অস্থায়ী কর্মসংস্থান হয়েছে। কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের হার যথাক্রমে ৫.২৮ ও ৪৫.৪৭। ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির নীতিমালা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে এ কর্মসুচি দেশের সব উপজেলায় সম্প্রসারিত হবে । উল্লেখ্য দারিদ্র্যম্যাপ অনুসরণে দারিদ্রের তীব্রতার ক্রমানুসারে মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক এ কর্মসূচির উপজেলা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে । মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধামত্মক্রমে এ কর্মসূচির পরবর্তী পর্বের কার্যক্রম শুরুহবে।

বি:দ্র: আপনার উপজেলা কর্মসূচি টি চালু হয়ে না থাকলে খোজ খবর রাখুন। যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আজই খোজ নিন কবে আপনার এলাকায় কর্মসূচিটি চালু হবে?

ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বিষয়ে সাধারণ জিজ্ঞাসা দেখুন

5 comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *