ভূমি অফিসে গিয়ে এক্সটা ঝামেলা এড়াতে সরকার ঘরে বসেই ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের সুযোগ করে দিয়েছে-আপনি বিকাশ বা মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহার করেই কর পরিশোধ করতে পারেন – ভূমি উন্নয়ন কর নিবন্ধন পদ্ধতি ২০২৩
অনলাইনে কিভাবে কি করবেন বুঝতে পারছেন না? – আপনি ভূমি অফিসের তৈরি ইউজার ম্যানুয়ালটি ডাউনলোড করে নিলে নিজে নিজেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। ভূমি অফিস অনুমোদন করলে কর পরিশোধ করে অনলাইনেই দাখিলা সংগ্রহ করতে পারবেন।
ভূমি উন্নয়ন কর কি? কোনো জমি ভোগ দখলের সুবিধা গ্রহণের জন্য সরকারকে প্রতি শতাংশ জমির জন্য বছরভিত্তিক যে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করতে হয় সেটাই হচ্ছে ভূমি উন্নয়ন কর। ভূমি উন্নয়ন কর দেয়ার পর দাতা দাখিলা পাওয়ার অধিকার লাভ করেন।
ভূমি উন্নয়ন কর না দিলে কি হয়? সাধারণত বাংলা সন অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা আদায় করা হয়। কেউ যদি নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কর প্রদান না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হতে পারে। ভূমি উন্নয়ন কর এক বছরের বকেয়া হলে সংশ্লিষ্ট বাংলা সনের ৩০ চৈত্রের পরই ওই কর বকেয়া বলে গণ্য হবে এবং মূল পাওনাকৃত করের সঙ্গে ৬.২৫ শতাংশ হারে সুদ যোগ হবে।
ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমে নাগরিক নিবন্ধন পদ্ধতি নিজেই নিজের নামজারীর খাজনা প্রদান করার জন্য লগিন করুন
ঘরে বসে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে জমির খাজনা দিতে আপনাকে এই সাইটে https://ldtax.gov.bd/ একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপর আপনার বিআরএস খতিয়ান নম্বর, আইডি কার্ড নম্বর ও মোবাইল নম্বর বেবহার করে জমির খাজনা দিবেন।
Caption: LDTAX Online Registration Manual 2023 PDF Download
অনলাইনে নাগরিক রেজিস্ট্রেন সহজ নিয়ম । আপনি ছবি দেখে দেখে নিজে নিজেই রেজিস্ট্রেশন ও ইউজার আইডি অনুমোদন করিয়ে নিতে পারেন
- https://ldtax.gov.bd/citizen/register লিংকে গিয়ে নাগরিক কর্নারে প্রবেশ করে নাগরিক নিবন্ধনে ক্লিক করে মোবাইল নম্বর দিয়ে ওটিপি যাচাই করুন।
- মোবাইল নাম্বারে প্রেরিত ওটিপি কোড দিয়ে যাচাই বাটনে ক্লিক করুন।
- নতুন পাসওয়ার্ড সেট করে সংরক্ষন করুন।
- নাগরিক লগইন থেকে মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
- প্রোফাইলে লগইন করার পর এন.আই.ডি ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করুন।
- জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে তথ্য যাচাই ও হালানাগাদ বাটনে ক্লিক করুন।
- প্রোফাইলের সংশোধন অপশনে গিয়ে সম্পাদন বাটনে ক্লিক করে বর্তমান ঠিকানা ও ই-মেইল সেট করুন।
- খতিয়ান অপশন থেকে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, মৌজা, সর্বশেষ খতিয়ান নাম্বার ও কোন সংযুক্তি থাকলে তা দিয়ে খতিয়ান সংযুক্ত করুন।
- সংযুক্ত খতিয়ানগুলো দেখতে প্রোফাইলের খতিয়ান অপশনে ক্লিক করুন।
- ব্যাস আপনার কাজ শেষ।
জমির খাজনা দিতে কি কি কাগজ লাগে?
ঘরে বসে অনলাইনে জমির খাজনা দিতে লাগে সর্বশেষ পর্চা ( বিআরএস) পুরোনো দাখিলা, যার নামে পর্চা তার এন আইডি কার্ড নম্বর, ও মোবাইল নম্বর। এ সব তথ্য দিয়ে আপনি নিজে নিজেই রেজিস্ট্রেশন করে ভূমি কর দিতে পারেন অথবা প্রথমবার ভূমি অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে কর দিয়ে আসতে পারেন। মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে তারপর থেকে নিজে নিজেই কর দিতে পারবেন।
খুবই প্রশংসনীয় উদ্দোগ। সমস্যা হলো খাজনার কপিতে ভুমি অফিসারের স্বাক্ষর নেয়ার জন্য টাকা দিতে হয়, নইলে অনলাইন কপি দিয়ে কি না রেজিষ্ট্রেশন করা যায় না।
কিউআর কোড থাকলে স্বাক্ষর লাগে না। এ সমস্যারও সমাধান হবে আশা করছি।