সম্পত্তির বাজারমূল্যে রেজিস্ট্রেশন আদেশ ২০২২ । ফ্ল্যাটসহ শহুরে ভূমি রেজিস্ট্রেশন ব্যয় বেড়ে যাবে

সম্পত্তির বাজারমূল্যে রেজিস্ট্রেশন আদেশ ২০২৩ । ফ্ল্যাটসহ শহুরে ভূমি রেজিস্ট্রেশন ব্যয় বেড়ে যাবে

জেলা জজ, রেজিস্টার, সাব-রেজিস্টার সহ অন্যান্যদের নিয়ে কমিটি সম্পত্তির বাজার মূল্য নির্ধারণ করিতে – প্রস্তুতকৃত বাজার মূল্য অনুসারে ক্রয় বিক্রয় হইবে– সম্পত্তির বাজারমূল্যে রেজিস্ট্রেশন আদেশ ২০২৩

জমি বা ফ্ল্যাট ক্রেতার সুবিধা নাকি অসুবিধা?  – জমি বা ফ্ল্যাটের বাজার মূল্য অনুসারে জমি রেজিস্ট্রেশন হলে ঢাকাসহ জেলা শহরের জমি ও ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন ব্যয় অনেক বেশি বেড়ে যাবে। তবে গ্রামের যে সকল জমি চাষা বাদের জন্য নির্ধারিত কিন্তু পার্শ্বেই বাজার সে সকল জমির রেজিস্ট্রেশন ব্যয় কমে যাবে।

সম্পত্তির সর্বনিম্ন বাজারমূল্য নির্ধারণ বিধিমালা-২০১০ (সংশোধিত ২০১২ ও ২০১৫ খ্রিঃ) অনুযায়ী ২০২৩ খ্রিঃ এবং ২০২৪ খ্রিঃ-এর জন্য প্রস্তুতকৃত বাজারমূল্য তালিকা আগামী ০১লা জানুয়ারী ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ হতে পরবর্তী ০২(দুই) বছরের জন্য কার্যকর করা হ’ল এবং তদানুযায়ী দলিল রেজিস্ট্রির জন্য বলা হ’ল। প্রস্তুতকৃত বাজারমূল্য সম্পর্কে কোন আপত্তি থাকলে সংশ্লিষ্ট জেলার বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটির সদস্য সচিব/মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন বরাবর পূনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা যাবে।

সম্পত্তির সর্বনিম্ন বাজারমূল্য নির্ধারণ বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী বাজারমূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি একটি ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি প্রক্রিয়া। অধিকাংশ মৌজায় সম্পত্তির সর্বনিম্ন বাজারমূল্য নির্ধারণ বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্য বিগত কয়েক বছরে প্রকৃত মূল্যের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বাজারমূল্য প্রকৃত বাজার মূল্যের তুলনায় অনেক কম । অর্থাৎ সর্বনিম্ন বাজারমূল্য বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তব অবস্থাকে প্রতিফলিত করে না। বাস্তব ক্ষেত্রে প্রতিটি মৌজার অন্তর্ভূক্ত জমির অবস্থান বিবেচনায় মূল্যের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

যেমন- কোন মৌজার কোন অংশে বাজার, রাস্তা-ঘাট অথবা স্কুল কলেজ বা অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকলে তার আশেপাশের ভূমির মূল্য একই মৌজার সমশ্রেণীভূক্ত অন্যান্য জমির তুলনায় অধিক হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি মৌজার অন্তর্ভূক্ত প্রতিটি শ্রেণীর অবস্থান নির্বিশেষে সমস্ত জমির মূল্য একই হারে নির্ধারিত হয়, যা বাস্তব ভিত্তিক নয়। সমস্যাটি সমাধানের লক্ষ্যে প্রতিটি মৌজার অন্তর্ভূক্ত জমি সমূহের অবস্থানগত প্রকৃতি বিবেচনায় নিয়ে মৌজা সমূহকে গুচ্ছ বা Cluster এ বিভক্ত করে জমির বাস্তবভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ করা একান্ত আবশ্যক।

সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সম্পত্তির সর্বনিম্ন বাজার মূল্য নির্ধারণ বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী প্রণীত ২০১৭ খ্রি: ও ২০১৮ খ্রিঃ এর জন্য প্রযোজ্য বাজারমূল্য তালিকা পরবর্তী ০২(দুই) বছরের (২০২১ খ্রি: ও ২০২২ খ্রি:) জন্য বহাল রাখার নিমিত্তে সরকারের অনুমোদনক্রমে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সূত্র দেখুন

জমি বা সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন ব্যয় বেড়ে যাবে / সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয়ে মন্থরতা আসতে পারে।

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অধীন বিভিন্ন হাউজিং এস্টেটের জমির মূল্য তালিকা ও সেবা ফি দেখুন এখানে ক্লিক করুন।

সম্পত্তির বাজারমূল্যে রেজিস্ট্রেশন আদেশ ২০২২ । ফ্ল্যাটসহ শহুরে ভূমি রেজিস্ট্রেশন ব্যয় বেড়ে যাবে

২০২২-২০২৩ খ্রিঃ সনের জন্য সম্পত্তির সর্বনিম্ন বাজারমূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে।

বাজার মূল্য নির্ধারিত কমিটি ২০২৩ । কমিটিতে কে কে থাকে?

  • (ক) সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ্যে রাখিতে হইবে;
  • (খ) জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ্যে রাখিতে হইবে;
  • (গ) সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ্যে রাখিতে হইবে;
  • (ঘ) জেলা জজের অফিসে সংরক্ষিত থাকিবে;
  • (ঙ) ডেপুটি কমিশনারের অফিসে সংরক্ষিত থাকিবে; এবং
  • (চ) মহাপরিদর্শকের অফিসে সংরক্ষিত থাকিবে।

সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, উত্তরা, ঢাকা জমির সর্বনিম্ন বাজারমূল্য কত?

ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমির উপরিস্থ স্থাপনা, ইমারত, ফ্ল্যাট বা এপার্টমেন্ট হস্তান্তরের দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে হস্তান্তরকারী প্রদত্ত বা স্বনির্ধারণী মূল্য বাজার মূল্য হিসাবে গণ্য করিতে হইবে, তবে উক্ত মূল্য, প্রতি বর্গফুটের জন্য, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে ১৫০০ (পনের শত) টাকা, এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকা ব্যতীত অন্যান্য শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে ১২০০ (বার শত) টাকা ও মফস্বল এলাকার ক্ষেত্রে ১০০০ (এক হাজার) টাকার কম হইবে না।

নতুন মূল্য বনাম পুরাতন মূল্য বা ফি কত?

রাজধানী ঢাকার বাড্ডা সাবরেজিস্ট্রারের এলাকাধীন জোয়ার সাহারা মৌজায় পূর্বে বাড়ি শ্রেণির জমির অযুতাংশ প্রতি মূল্য ছিল ২৬,১৪৯ টাকা, সংশোধিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮,৪৮০ টাকা। খিলক্ষেত্র থানায় ডুমনী মৌজায় আগে ছিল ৫,০৯৯ টাকা, এখন ৬,১২০ টাকা, পাতিরা পূর্বে ৪,৩৮০ টাকা, সংশোধিত মূল্য ৪,৮৩৭ টাকা, বরুয়া পূর্বে ৯,০৬৭ টাকা, সংশোধিত ৯,৭৯৯ টাকা এবং মস্তুলে পূর্বের মূল্য ১০,৩৪৩ টাকা এবং বর্তমানে করা হয়েছে ৩৩,৮৪৮ টাকা।

আবার জোয়ার সাহারা মৌজায় বাড়ি শ্রেণির জমির চেয়ে ভিটি শ্রেণির জমির মূল্য বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। বাড়ির শ্রেণির প্রতি অযুতাংশ ২৮,৪৮০ টাকা হলেও ভিটি শ্রেণির মূল্য ধরা হয়েছে ৫৩,৪৩৮ টাকা। একইভাবে মস্তুল মৌজায় বাড়ি শ্রেণির জমির প্রতি অযুতাংশের মূল্য ৩৩,৮৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হলেও ভিটি শ্রেণির জমির দাম ধরা হয়েছে প্রতি অযুতাংশ ৪৭,৮৫৯ টাকা।

তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ৬১ জেলায় নতুন এ মৌজা রেট আজ থেকে কার্যকর হবে। গতকাল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রতিটি জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে নতুন রেট শিডিউল বহি সাবরেজিস্ট্রারদের কাছে সরবরাহ করা হয়। সরকারি হিসাবে মৌজাভিত্তিক জমির সর্বনিম্ন গড় বাজারমূল্য ধরে সংশোধিত মৌজা রেট নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই মূল্যের নিচে জমি রেজিস্ট্রি করা যাবে না

জমির নতুন মূল্য তালিকা ২০২৩ । বাজার মূল্য অনুসারে ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানের মূল্য নির্ধারণ হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *