সালামের সঠিক উত্তর দেওয়ার নিয়ম । ওয়ালাইকুম আসসালাম নাকি ওয়া আলাইকুমুস সালাম?

সালামের সঠিক উত্তর দেওয়ার নিয়ম । ওয়ালাইকুম আসসালাম নাকি ওয়া আলাইকুমুস সালাম?

সালাম দেওয়ার বিষয়টি সকলে খেয়াল করলেও সালাম নেওয়ার বিষয়টি কিন্তু খেয়াল করা হয় না তাই সালাম দেয়া ও নেয়া নিয়ে সতর্ক থাকুন – সালামের সঠিক উত্তর দেওয়ার নিয়ম

সালামের উত্তরে সঠিক কি বলতে হয়?ওয়াআলাইকুমুসসালাম ( وَعَلَيْكُمُ ٱلسَّلَامُ ) একটি আরবী অভিবাদন, যা বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা প্রায়শই “আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক” অর্থে ব্যবহার করে থাকে। এটি অন্যদের জন্য দোয়াস্বরূপ। এটি আসসালামু আলাইকুম অভিবাদনটির ( ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ ) আদর্শ জবাব । অনেকেই আমরা ভুল ভাবে উচ্চরণ কর উত্তর করে থাকি।

মুসলমান গণ কোন বাক্যটি বেশি ব্যবহার করে? আমরা প্রতিদিন অনেককেই এভাবে সালাম দিতে শুনি যে, স্লামালাইকুম, সালামালাইকুম, আস্লামালাইকুম , সেলামালাইকুম, আস্লামো আলাই, আসসামালাইকুম ইত্যাদি। আবার উত্তর দেয়ার সময়ও শোনা যায় ভুল শব্দের ব্যবহার। যেমন, অলাইকুম সালাম; অলাইকুম আস-সালাম ইত্যাদি।সালামের সঠিক উচ্চারণ হলো “السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ” অর্থাৎ আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি, ওয়া বার-কাতুহ্। وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ অর্থাৎ ‘ওয়া আলাইকুমুস-সালাম, ওয়া রহমাতুল্লাহি, ওয়া বার-কাতুহ্।

(আরবী উচ্চারণ একটু কঠিন তাই জানা কারো কাছ থেকে শিখে নিলে ভালো হয়) আমরা অনেক সময়ই সালামের পূর্ণ জবাব দিতে কার্পণ্য করে থাকি। পুরো উত্তর বলি না, অথবা ভুল উত্তর দেই। অথচ আল্লাহ তাআলা কুরআনেই শিখিয়েছেন; কেউ সালাম দিলে তার চেয়ে উত্তম শব্দে উত্তর দিতে হয়।

ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ নয় বরং ওয়া-আলাইকুমুস সালাম ওয়া-রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

নারীদের সালাম দেয়া পুরুষদের পরস্পরের সালামের মতই কোনো পার্থক্য নাই। একজন পুরুষ অপর পুরুষের সাথে মুসাফাহা করা মুস্তাহাব, অনুরূপভাবে একজন নারী অপর নারীর সাথে মুসাফাহা করা মুস্তাহাব। আবু খাত্তাব বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, “قلت لأنس: أكانت المصافحة في أصحاب رسول الله  قال: نعم” অনুবাদ: আমি আনাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর যুগে মুসাফাহা করার প্রচলন ছিল কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, জ্বি, ছিল।

Caption: Spelling of Salam

সালাম দেওয়ার নিয়ম । কখন কিভাবে সালাম দিতে হবে জেনে নিন

  1. সালাম দেয়া সুন্নাত। কুরআনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন যে, হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম। যাতে তোমরা স্মরণ রাখো। হাদিসে অন্যের গৃহে গিয়ে তিনবার সালাম দিতে বলা হয়েছে এবং অনুমতি প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। অনুমতি নাদিলে চলে আসতে বলা হয়েছে।
  2. কোনো গৃহে প্রবেশের সময় সালাম দেওয়া সুন্নাহ। আল্লাহ্ কুরআনে উল্লেখ করেন, ﴿فَإِذَا دَخَلۡتُم بُيُوتٗا فَسَلِّمُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِكُمۡ تَحِيَّةٗ مِّنۡ عِندِ ٱللَّهِ مُبَٰرَكَةٗ طَيِّبَةٗۚ ٦١ ﴾ [النور: ٦١] অনুবাদ: তবে তোমরা যখন কোনো গৃহে প্রবেশ করবে তখন তোমরা নিজদের উপর সালাম করবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে কৃপাপূর্ণ ও পবিত্র অভিবাদনস্বরূপ। আনাস হতে বর্ণিত, মুহাম্মাদ বলেন,«يا بني إذا دخلت على أهلك فسلم يكن بركة عليك وعلى أهلك» رواه الترمذي، وقال حديث حسن. অনুবাদ: হে বৎস! তুমি যখন গৃহে প্রবেশ করবে, তখন সালাম দাও। তা তোমার জন্য ও তোমার পরিবার পরিজনের জন্য বরকত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
  3. আনাস হতে আরো বর্ণিত, মুহাম্মাদ বলেন, «إذا خرج الرجل من بيته فقال بسم الله توكلت على الله لا حول ولا قوة إلا بالله يقال له هديت وكفيت ووقيت وتنحى عنه الشيطان» رواه الترمذي، و حسنه والنسائي وابن حبان في صحيحه. بسم الله توكلت على الله لا حول ولا قوة إلا بالله অনুবাদ: যখন কোনো ব্যক্তি গৃহ থেকে বের হওয়ার সময় এ দোআ পাঠ করে, তাকে বলা হয়, তোমাকে হেদায়েত দেয়া হয়েছে, তোমাকে বাঁচানো হয়েছে। আর শয়তান তার থেকে দূর হয়ে যায়।
  4. আবু মালিক আল-আশআরী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেন, «إذا ولج الرجل بيته فليقل: اللهم إني أسألك خير المولج وخير المخرج بسم الله ولجنا وبسم الله خرجنا وعلى الله ربنا توكلنا ثم ليسلم على أهله» حديث حسن. «اللهم إني أسألك خير المولج وخير المخرج بسم الله ولجنا وبسم الله خرجنا وعلى الله ربنا توكلنا» অনুবাদ: যখন কোনো ব্যক্তি গৃহে প্রবেশ করে, সে যেন এ দোআ পাঠ করে- হে আল্লাহ! তোমার নিকট উত্তম বাসস্থান চাই এবং উত্তম বের হওয়া চাই। হে আল্লাহ! আমরা আল্লাহর নামে প্রবেশ করলাম এবং আল্লাহর নামে বের হলাম। হে আমাদের রব আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। তারপর সে তার পরিবার-পরিজনকে সালাম দেবে।
  5. আবু হুরাইরা হতে বর্ণিত, মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেন, «لا تدخلوا الجنة حتى تؤمنوا ولا تؤمنوا حتى تحابوا أو لا أدلكم على شيء إذا فعلتموه تحاببتم؟ أفشوا السلام بينكم» رواه مسلم. অনুবাদ: তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ “ঈমানদার” হতে পারবে না। আর ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ “ঈমানদার” হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি তোমরা একে অপরকে ভালবাসবে না, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি জিনিস বাতলে দেব, যা করলে তোমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালো বাসবে? তোমারা বেশি বেশি করে সালামকে প্রসার কর।
  6. কোনো জমায়েতকে সালাম দেয়ার ক্ষেত্রে সালাম শব্দটি “মারেফা” (السلام) বা “নাকিরা” (سلام) উভয় প্রকারে ব্যবহার করা যাবে। কারণ, হাদিসে উভয় প্রকারের ব্যবহার প্রমাণিত আছে। আল্লামা ইবনুল বান্না বলেন, সম্ভাষণের সালাম নাকিরা হবে, আর বিদায়ী সালাম মারেফা হবে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সভা থেকে ফিরে যাওয়ার সময়, সালাম দেয়া মুস্তাহাব। কারণ আবু হুরাইরা হতে বর্ণিত, মুহাম্মাদ বলেন, «إذا انتهى أحدكم إلى المجلس فليسلم فإذا أراد أن يقوم فليسلم فليست الأولى بأحق من الآخرة» অনুবাদ: যখন তোমরা কোনো সভায় গিয়ে পৌছবে তখন তুমি সালাম দেবে। আর যখন তুমি সভা শেষ করে মজলিস থেকে উঠে দাঁড়াবে, তখনও সালাম দেবে। প্রথম সালাম শেষের সালাম থেকে অধিক গুরুত্ব বহন করে না।
  7. জমায়েতের মধ্য হতে যে কোনো একজনের সালাম দেয়া দ্বারা সুন্নাহ আদায় হয়ে যাবে। উত্তম হলো জামাতের সবাইকে সালাম দেয়া। কারণ, হাদিসে বলা হয়েছে «أفشوا السلام بينكم» অনুবাদ: তোমরা তোমাদের পরস্পরের মধ্যে সালামকে প্রসার কর।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] আর যে সব ক্ষেত্রে সালাম দেয়া মাকরু, সে সব ক্ষেত্রগুলোকে আল্লামা গাজ্জি উল্লেখ করেন- যাদের সালাম দেয়া মাকরুহ নিম্নে তাদের আলোচনা করা হল, এরা ছাড়া বাকী যাদের সাথে তোমার দেখা হবে, তাদের সালাম দেয়া সুন্নাহ ও বৈধ। সালাতরত ব্যক্তি, কুরআন পাঠকারী, আল্লাহকে স্বরণকারী, হাদিস পাঠদানকারী, খুতবাদানকারী এবং যারা খুতবা শুনায় মগ্ন [তাদের সালাম দেয়া মাকরুহ]। ফিকহ (আইনশাস্ত্র) নিয়ে আলোচনাকারী, বিচারক যিনি বিচার কার্যে ব্যস্ত [তাকেও সালাম দেয়া মাকরুহ]। আর যারা ফিকহ নিয়ে গবেষণা করছে তাদেরও তোমরা সালাম দেয়া হতে বিরত থাক, যাতে তারা উপকৃত হয়। মুয়াজ্জিন, একামত দানকারি ও পাঠদানকারীদের সালাম দেয়া মাকরুহ। অনুরূপভাবে অপরিচিত যুবতী নারী, [যাদের সালাম দেয়াতে অশান্তির আশঙ্কা থাকে] তাদের সালাম দেয়া কোনো ক্রমেই উচিত নয়(হারাম)। যারা দাবা খেলায় মগ্ন তাদের ও তাদের মত লোকদের সালাম দেয়া মাকরুহ। আর যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে খেল-তামাশায় মগ্ন [তাদের সালাম দেয়া যাবে না]। অমুসলিম ও নগ্ন লোককে সালাম দেবে না, মল-মুত্র লিপ্তদের সালাম দেয়া হতে বিরত থাকবে। অনুরূপভাবে খাওয়ায় ব্যস্ত [লোককে সালাম দেবে না], তবে যদি তুমি ক্ষুধার্ত হও এবং জান যে লোকটি তোমাকে ফিরিয়ে দেবে না। অনুরূপভাবে শিক্ষক যিনি পাঠদানে দেয়ায় ব্যস্ত। মনে রাখবে এই হল, শেষ ব্যক্তি বাকীদের সালাম দেয়াতে তুমি উপকার লাভ করবে।
  8. আগে সালাম দেয়া সুন্নাহ। কারণ, আবু উমামাহ হতে হাদিস বর্ণিত তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেন, «إن أولى الناس بالله من بدأهم بالسلام» অনুবাদ: নিশ্চয় আল্লাহর নিকট উত্তম ব্যক্তি সে যে মানুষকে আগে সালাম দেয়। বাচ্চাদের সালাম দেয়া মুস্তাহাব। আনাস হতে বর্ণিত,عن أنس أنه مر على صبيان فسلم عليهم وقال: «كان رسول الله  يفعله» متفق عليه অনুবাদ: আমি বাচ্চাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করি এবং তাদের সালাম দেই। মুহাম্মাদ (সাঃ)-ও অনুরূপ করতেন।
  9. যখন কোনো এক দল লোক কোনো বসা ব্যক্তি বা বসা লোকদের সভা উপস্হবে, তখন সে প্রথমে তাদের সালাম দেবে। কারণ মুহাম্মাদ বলেন, «والمار على القاعد» অনুবাদ: আর যখন কোনো ব্যক্তি দেয়ালের ওপাশ থেকে সালাম দেয়, তখন তার নিকট সালাম পৌছার পর, উত্তর দেয়া ওয়াজিব।
  10. বারা ইবনে আজিব হতে বর্ণিত, মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেন, «ما من مسلمين يلتقيان فيتصافحان إلا غفر لهما قبل أن يفترقا» رواه أبو داود. অনুবাদ: যখন দুইজন মুসলিম একত্র হবে এবং একে অপরের সাথে মুসাফাহা করে তখন তারা উভয় বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বে আল্লাহ্ তাদের উভয়কে ক্ষমা করে দেন।

সালাম দেওয়ার রীতি কোথায় এবং কিভাবে শুরু হয়?

দিস অনুযায়ী আল্লাহ সর্বপ্রথমে প্রথম মানব আদম (আঃ) কে সালামের শিক্ষা দেন। আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত আছে যে নবি মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেন, আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করে বলেন, যাও ফেরেশতাদের দলকে সালাম দাও এবং তোমার সালামের কি উত্তর দেয় মন দিয়ে শুন। এটিই হবে তোমার আর তোমার সন্তানদের জন্য সালাম। সে অনুযায়ী আদম গিয়ে বলেন, “আস্‌সালামু আলাইকুম” (অৰ্থ: আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক)। ফেরেশতারা উত্তর দেন, “ওয়া-আলাইকুমুস সালাম ওয়া-রহমাতুল্লাহি” (অৰ্থ: আপনাদের উপর শান্তি এবং আল্লাহর দয়া বর্ষিত হোক)। এক্ষেত্রে ফেরেশতারা রাহমাতুল্লাহ শব্দটি বৃদ্ধি করেন। অন্যান্য নবিদের জীবনে সালামের প্রচলন ছিল। ইব্রাহিম (আঃ) এর ক্ষেত্রে, কুরআনে বলা হয়েছে: এবং অবশ্যই আমার ফেরেশতারা সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের নিকট এসেছিল। তারা সালাম জানায়। তিনিও ‘সালাম’ দেন।

সালাম দেয়া নাকি নেয়া উত্তম? আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়ে পূর্ণ হিসাবকারী। -(আন-নিসা; ৪:৮৬) । সহীহ হাদীছে এসেছে, ইমরান ইবনু হুসাইন (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন একব্যক্তি নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে এসে বলে, আসসলামু আলাইকুম। নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার সালামের জবাব দিলে সে ব্যক্তি বসে পড়ে। তখন নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, সে দশটি নেকী পেয়েছে। এর পর একব্যক্তি এসে বলে, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। তিনি তার সালামের জবাব দিলে, সে ব্যক্তি বসে পড়ে। তখন নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, সে বিশটি নেকী পেয়েছে। এপর এক ব্যক্তি এসে বলে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাক‘আতুহু। নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার সালামের জবাব দিলে সে বসে পড়ে। তখন তিনি বলেন, সে ত্রিশটি নেকী পেয়েছে। -(আবূ দাঊদ-৫১৯৫, আলবানী বলেন, হাদীছটি সহীহ; আল-আরনাঊত বলেন, হাসান)। আল্লাহ্ আমাদের সকলকে সঠিকভাবে সালাম উচ্চারণের তাওফীক দান করুক। আমীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *