উপবৃত্তি প্রদান শুরু হয়েছে – গত ১১ জুন উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রম -এর শুভ উদ্বোধন করা শেষে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতি কিস্তি বাবদ ৪,৯০০/-টাকা + ক্যাশআউট চার্জ ৯০/- টাকাসহ ধাপে ধাপে দেওয়া শুরু করেছে। অন্যান্য সহযোগী পার্টনার / বিভিন্ন ব্যাংক – একাউন্টে উপবৃত্তি প্রদান শীগ্রই শুরু করবে।

এখন আপনাদের কি করতে হবে? নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের চিন্তা করার কিছু নেই! একাউন্ট ইনফরমেশন ঠিকঠাক থাকলে অবশ্যই উপবৃত্তি সরাসরি আপনার একাউন্টে পৌঁছে যাবে। গতবছর এই অনুদান দেওয়ার কার্যক্রম শেষ হতে ১ সপ্তাহে পর্যন্ত সময় লাগেছিল। তাই ধৈর্য্য রেখে অপেক্ষা করুন।

উপবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে আপনার কাছ থেকে কোনো ইনফরমেশন চাওয়া হবে না। তাই ফ্রড কল এড়িয়ে চলুন। সরাসরি অর্থপ্রাপ্তির মেসেজ পাবেন। তাই কাউকে কোনো ইনফরমেশন শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ডিগ্রি ও সমমান পর্যায়ে প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫৩ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।

উপবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠান  / উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কেমন ম্যাসেজ আসে?

উপবৃত্তি প্রাপ্তির পূর্বে বা পরে কোন প্রকার হেল্প লাইন থেকে কল করা হয় না বা অর্থ পেয়েছেন কিনা এমন তথ্য নিশ্চিতের জন্য কল করা হবে না। সতর্ক থাকুন।

উপবৃত্তি প্রাপ্তির ম্যাসেজ

Caption: উপবৃত্তি প্রাপ্তির ম্যাসেজ 4900 taka with 90 taka cashout charge / No phone call or information will be wanted by call

সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপবৃত্তি ও অন্যান্য ভাতার হার

শ্রেণি

স্নাতক (পাস) ও সমমান

উপবৃত্তির হার

টাকা

মোট টাকাবই ক্রয়পরীক্ষার ফিসসর্বমোটমন্তব্য
১ম বর্ষ২০০ x ১২২৪০০/=১৫০০/=১০০০/=৪৯০০/=
২য় বর্ষ২০০ x ১২২৪০০/=১৫০০/=১০০০/=৪৯০০/=
৩য় বর্ষ২০০ x ১২২৪০০/=১৫০০/=১০০০/=৪৯০০/=

কেন এবং কত জনকে এ উপবৃত্তি দেওয়া হইবে?

মোবাইল ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের এই অর্থ মোবাইল ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ করা হবে। বিতরণ যোগ্য অর্থের মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪০ লাখ ১৩ হাজার ৪৩৪ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৬৭৪ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪৫০ কোটি ৩০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫৩ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বাবদ ৭৪ কোটি ৮২ লাখ ৩১ হাজার ৭০০ টাকা। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিত করতে ৫০৫ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে ভর্তি সহায়তা হিসেবে ৩১ লাখ ১০ হাজার টাকা বিতরণ করা হবে। অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট স্থাপন করা হয়।