টিসিবির পণ্য মূল্য তালিকা ২০২৪ । টিসিবি ডিলারশিপ পাওয়ার নিয়ম কি?
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-এর ডিলারশীপ প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করতে হয়- এছাড়াও জামানত রাখতে হয়- টিসিবির পণ্য মূল্য তালিকা ২০২৪
কত টাকা জমা রাখতে হবে? দোকানে/গুদামে-এ ১-৫ মেঃ টন পণ্য গুদামজাত করার মত প্রয়োজনীয় স্থান সংকুলান থাকতে হয়। টিসিবি কর্তৃক সরবরাহকৃত পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ের নিমিত্ত ডিলারশীপ প্রাপ্তির জন্য ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা অফেরতযোগ্য আবেদন ফি (পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট; ”ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ” এর অনুকূলে) এবং আর্থিক স্বচ্ছলতার সনদসহ নিম্নোক্ত ছকে যাবতীয় তথ্যাদি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করে দাখিল করতে হয়। দাখিলকৃত তথ্যাদি সত্য ও নির্ভুল। টিসিবি’র সকল নিয়ম কানুন ও সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে মানিয়া চলার অঙ্গীকার করতে হয়।
রোজার মধ্যে কি টিসিবি পন্য বিতরণ করে? হ্যাঁ। কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী যথাঃ চিনি, মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, ছোলা ও খেজুর ইত্যাদির মূল্য নিয়ন্ত্রনে রাখার লক্ষ্যে টিসিবি ভোক্তা সাধারণের নিকট সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় ও সরবরাহ করে থাকে। পবিত্র রমজান, ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ- উল-আযহা ও পূজাপার্বণসহ বিভিন্ন জরুরী প্রয়োজনে ডিলারদের মাধ্যমে নির্ধারিত দোকান ও ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে উক্ত পণ্যসমূহ বিক্রয় করা হয়। টিসিবির এসকল বিক্রয় ও বিতরণ কার্যক্রম ডিলারদের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। তাই যথাযথ ডিলার নিয়োগ করা টিসিবি’র জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিলার নিয়োগের সময় আবেদনকারীকে আবেদনের সাথে নমুনা মোতাবেক কর্তৃপক্ষ বরাবর নিম্নবর্ণিত কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করতে হয়;
টিসিবি আবেদনের সাথে কি কি ডকুমেন্ট যুক্ত করতে হয়? ০১। দুই কপি ছবি। ০২। ট্রেড লাইসেন্স (মুদি ব্যবসায়ী) | ০৩। ব্যাংক সলভেন্সী সার্টিফিকেট। ০৪। জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) ০৫। আয়কর সনদপত্র (TIN) ০৬। দোকান ভাড়া দলিল/মালিকানার প্রমাণক । ০৭। VAT নিবন্ধন সনদপত্র (যদি থাকে)। ০৮। চেয়ারম্যান/পৌরসভা/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদ। ০৯। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-এর অনুকুলে আবেদন ফি বাবদ ৫,০০০/-টাকার (অফেরতযোগ্য) পে-অর্ডার/ ব্যাংক ড্রাফট। আবেদন ফিসহ আবেদন কোন ক্রমেই ডিলারশীপ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা বহন করে না।
আবেদন অনুমোদনের পর করণীয় কি? লাইসেন্স ফি দুই বছরের জন্য ১০,০০০/- টাকা (অফেরতযোগ্য)। আবেদন অনুমোদনের পর টিসিবি’র অনুকূলে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। জামানত ৩০,০০০/- টাকা (ফেরতযোগ্য)।প্রতি দুই বছরের জন্য নবায়ন ফি ১০,০০০/- টাকা এবং নবায়ন বিলম্ব ফি প্রতি বছরের জন্য ১,০০০/- টাকা। উপরিউক্ত কাগজপত্রসহ প্রাপ্ত আবেদন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদন্তপূর্বক সুষ্পষ্ট মতামতের ভিত্তিতে ডিলার নিয়োগ করা হয়। কাগজপত্র যথাযথ প্রতীয়মান হলে টিসিবি কর্তৃপক্ষ বর্ণিত তদন্ত ছাড়াই জরুরী প্রয়োজনে/বিশেষ বিবেচনায় যে কোন প্রতিষ্ঠানকে ২ বছরের জন্য সাময়িক ডিলার নিয়োগ করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে তদন্তপূর্বক তদন্ত প্রতিবেদনে বিরূপ কোন মন্তব্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিকভাবে সাময়িক ডিলারশীপ বাতিল করে জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবে সাফল্য জনক ভাবে ২ (দুই) বৎসর সমাপ্তিতে সাময়িক ডিলারগণ নির্ধারিত আবেদন ফি ৫,০০০/-টাকার (অফেরতযোগ্য) পে-অর্ডার/ ব্যাংক ড্রাফট, ২ বছরের লাইন্সেন ফি ১০,০০০/- টাকা অফেরতযোগ্য ও জামানতের ফি ৩০,০০০/- টাকা (ফেরৎযোগ্য) ইতিপূর্বে জমাকৃত ১৫,০০০/- টাকা জামানতসহ পূণরায় যথানিয়মে টিসিবি’র ডিলারশীপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ নিয়ম অন্যান্য ডিলারদের জন্য নবায়নের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। জেলা, উপজেলা, নগর, মহানগর বা অন্য কোন এলাকার ভৌগলিক অবস্থা, যাতায়াত ব্যবস্থা, বাণিজ্যিক গুরুত্ব প্রভৃতি বিবেচনা করে টিসিবি কর্তৃপক্ষ ডিলারের সংখ্যা নিরূপন করবেন।
টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু ২০২৪ । টিসিবির পণ্য মূল্য তালিকা পরিবর্তন হয়?
হ্যাঁ। মূল্যস্ফিতির সাথে পন্য মূল্য পরিবর্তন করা হয়।
ঢাকা মহানগরী বিগত ৩০ দিনের খুচরা বাজার দর
টিসিবির পণ্য মূল্য তালিকা ২০২৪ । টিসিবি পন্যের জন্য মোট কত টাকা দিতে হয়?
- চিনি ৭০.০০ (প্রতি কেজি)
- মশুর ডাল ৬০.০০ (প্রতি কেজি)
- সয়াবিন তেল ১০০.০০ (প্রতি লিটার) সূত্র দেখুন
টিসিবি লাইসেন্স কখন বাতিল হয়?
অফেরতযোগ্য আবেদন ফি ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকার পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট জমা দিয়ে আবেদন দাখিল করতে হয়। ভবিষ্যতে দাখিলকৃত কাগজপত্রে অসংগতি পাওয়া গেলে বা টিসিবি’র নিয়ম পরিপন্থি কোন কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হইলে ডিলারশীপ লাইসেন্স বাতিল করার শর্তে টিসিবি’র ডিলার হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তাই টিসিবি নির্ধারিত নিয়ম কানুন না মানলে চলমান লাইসেন্স বাতিল হয়। ডিলারশীপ চুক্তি পত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণের ২ (দুই) বছরের মধ্যে নবায়ন না করা হলে। টিসিবির অনুমতি ব্যতিত দোকানের স্থান পরিবর্তন করলে বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানা হস্তান্তর করলে। ডিলারশীপ প্রাপ্তির জন্য যে সমস্ত বৈধ কাগজপত্র/দলিলাদি প্রয়োজন উহা (পূর্বে বর্ণিত ১-৫) স্থগিত বা বাতিল হলে বা নবায়ন না করলে অথবা অসত্য প্রমাণিত হলে। কোন অভিযোগ বা অনিয়মের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসন বা কোন কর্তৃপক্ষ ডিলারশীপ বাতিলের সুপারিশ করলে। বরাদ্দকৃত দ্রব্য বিক্রয়ে অনিয়ম, ওজন বা মুল্যে কারচুপি করলে অথবা কালোবাজারে বিক্রয় করলে। টিসিবি’র নিকট কোন ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাপ্ত হলে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে, পর পর তিনবার মাল উত্তোলন করতে ব্যর্থ হলে লাইসেন্স বাতিল হয়।