বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ২০২৪ । ১ ইউনিট বিদ্যুতের দাম কত টাকা?
ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলেই মূলত বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে– বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ২০২৪
প্রতি ইউনিটের বিদ্যুতের নতুন দাম কত? – নতুন দাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট সর্বনিম্ন ৩৪ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা পর্যন্ত বাড়বে বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানিয়েছেন। ভোক্তা পর্যায়ে ২০০ -৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ৫ টাকা ৭০ পয়সা এবং ৩০০ থেকে ৪০০ ইউনিটে ৬ টাকা ২০ পয়সা। আবাসিক ৪০০ থেকে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৯ টাকা ৩০ পয়সা দিতে হয়। এখন তা ৩৪-৭০ পয়সা প্রতি ইউনিটে বৃদ্ধি করে ফেব্রুয়ারি মাসের বিল ১ লা মার্চে আসবে সেটিতেই মূলত কার্যকর হবে।
বৈদ্যুতিক গ্যাসের দাম কত টাকা এখন? সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ইউনিট গ্যাসের বর্তমান দাম ১৪ টাকা। নতুন করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা। নতুন দাম চলতি ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এমনটি প্রজ্ঞাপনে জারি করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বা গ্যাসের দাম কত শতাংশ বাড়লো? শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (ক্যাপটিভ) জন্য ইউনিট প্রতি গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে। এতে ৫.৩৬% শতাংশ দাম বৃদ্ধি পাবে এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আগেই বিদ্যুত খাতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করায় বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ আরো বেড়ে যাবে।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ২০২৪ প্রজ্ঞাপন । বিদ্যুতের নতুন দাম ২০২৪ দেখুন শিঘ্রই
বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃক। বিইআরসি বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে দাম নির্ধারণ করে, যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে খরচ হয়, যেমন জ্বালানি, সরঞ্জাম, কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদি। বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার খরচ, যেমন বিদ্যুৎ লাইন, ট্রান্সফর্মার, সাব-স্টেশন ইত্যাদি। সরকারের বিদ্যুৎ খাত সংক্রান্ত নীতিমালা, যেমন ভর্তুকি, কর ইত্যাদি।আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম। বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য। সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি/ ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৬,৫৭০.৫৪ কোটি টাকা।
Caption: info Source
দেশে কোন খাতে কি পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার হয়? । বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারিদের ৮টি গ্রাহকশ্রেণি রয়েছে।
- বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭%,
- শিল্পে ২৩%, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮%,
- গৃহস্থালিতে ১০%,
- সার উৎপাদনে ৭%,
- সিএনজিতে ৪% এবং
- বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১% গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া কি?
বিইআরসি নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে তাদের খরচের তথ্য সংগ্রহ করে। বিইআরসি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার খরচও নির্ধারণ করে। সরকারের নীতিমালা, আন্তর্জাতিক বাজারের দাম এবং গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনা করে বিইআরসি বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করে। বিইআরসি প্রস্তাবিত বিদ্যুতের দাম জনসাধারণের মতামতের জন্য প্রকাশ করে। জনসাধারণের মতামত বিবেচনা করে বিইআরসি চূড়ান্ত বিদ্যুতের দাম ঘোষণা করে। গত বছরের ১৮ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশ জারি করে গ্যাসের দাম গড়ে ৮২ শতাংশ বাড়ানো হয়। ওই সময় সর্বোচ্চ ১৭৯ শতাংশ বাড়ানো হয় বিদ্যুৎ খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম। একই সময়ে শিল্পেও গ্যাসের দাম বাড়িয়ে তিন গুণ করা হয়, যা গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। গত বছর ৫ টাকা ২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে বিদ্যুৎ খাতের গ্যাসের দাম ১৫ টাকা করা হয়েছিল।
ডলার সংকট আর জালানি খাতের ভর্তুকি পূরন করতে অবশ্যকরণীয়।
জি।