ভালো তরমুজ চেনার উপায় ২০২৪ । তরমুজের গায়ে সাদা দাগ খেয়াল করতে হয় কেন?
দেশে তরমুজ নিয়ে কারসাজি চলছে- সেই সাথে তরমুজ বয়কট করাতে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রনেও এসেছে– ভালো তরমুজ চেনার উপায় ২০২৪
তরমুজ- Cucurbitaceae পরিবারের একটি লতানো ফল। গ্রীষ্মের প্রখর রোদে তরমুজের রসালো লাল শাঁস এবং ঠান্ডা পানি আমাদের দেহকে শীতল রাখে। বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, ঈশ্বরদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল ইত্যাদি জেলায় তরমুজের ব্যাপক চাষ হয়।
তরমুজ কেন খাবেন? ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ, ফাইবার যুক্ত, পানিশূন্যতা দূর করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী, ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক তাই তরমুজ খাবেন। তাজা ফল হিসেবে খাওয়া যায়। জুস তৈরি করে খাওয়া যায় এবং সালাদ এবং ডেজার্ট তৈরি করে বরফ দিয়ে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
রোগীদের জন্য তরমুজ দরকারী কি? হ্যাঁ। মৌসুম গ্রীষ্মকাল, জাত কালো তরমুজ, লাল তরমুজ, হলুদ তরমুজ, তরমুজ মাঝারি আকারের তরমুজে প্রায় 300 ক্যালোরি। ডায়াবেটিস রোগীদের সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত কারণ এতে ডায়বেটিস বেড়ে যেতে পারে। তরমুজ সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল । গ্রীষ্মকালে নিয়মিত তরমুজ খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী ।
ভালো তরমুজ চেনার উপায় /তরমুজের ভিতর আশ থাকা কতটা জরুরী
তরমুজের দাম কমেছে। এটি আমাদের জন্য একটি আনন্দের সংবাদ। তরমুজ খেতে ভালোবাসেনা এমন লোকের সংখ্যা কম। কিন্তু অতি পছন্দের এই মিষ্টি রসালো ফল কিনে ঠকে যাওয়া লোকের সংখ্যা কিন্তু কম নয়।
Caption: Watermelon
ভালো তরমুজ চেনার উপায় ২০২৪ । যে ট্রিকস জানতে তরমুজ কিনলে আর ঠকতে হবে না
- অপেক্ষাকৃত ছোট ও বাঁকা তরমুজ মিষ্টি ও রসালো হয় না। তাই তরমুজ কেনার সময় গোল বা ওভাল শেপের তরমুজ কিনবেন।
- তরমুজ কেনার আগে হাতে নিয়ে দেখবেন যদি ভারী হয় তবে কিনুন। হালকা বা ফাঁপা লাগে তবে সেটি কিনবেন না।
- তরমুজের গায়ে একটি অংশ হলদে রঙের হলে সেটা কিনবেন।
- তরমুজের গায়ে সাদা সাদা দাগ থাকলে সেই তরমুজ কিনবেন না।
- তরমুজের গোড়ায় শুকিয়ে যাওয়া অংশ থাকলে বুঝবেন সেটি ঠিক মতো পেকেছে। তাই এটি কেনা যায়।
- তরমুজ কেনার সময় টোকা দিয়ে দেখুন। যদি ভারী শব্দ আসে তবে কিনুন। যদি শব্দ অতিরিক্ত ভারী হয় তাহলে কিনবেন না।
কেন আপনি তরমুজ খাবেন?
তরমুজ খাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বক ও চোখের জন্য ভালো। ফাইবার যুক্ত – হজমশক্তি উন্নত করে, পেটের সমস্যা দূর করে। পানিশূন্যতা দূর করে – গ্রীষ্মের গরমে শরীরকে শীতল রাখে। পটাশিয়াম – রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। লাইকোপিন – ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক এবং হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী – রক্তনালী শিথিল রাখে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিডনির জন্য ভালো – বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। মাংসপেশীর বৃদ্ধি করে এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক। সর্বশেষ ত্বক ও চুলের জন্য ভালো।